Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, রোববার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মানুষ কল দিলেই ছুটে গিয়ে সাপ উদ্ধার করেন সিলেটের লিপ্টু

হাতে দাড়াইশ সাপসহ লিপ্টু দাস। ছবি- আই নিউজ

হাতে দাড়াইশ সাপসহ লিপ্টু দাস। ছবি- আই নিউজ

মানুষের বাড়িঘরে সাপের বিচরণে সাপ আতংকে ডাক পড়ে লিপ্টু দাসের। লিপ্টু ছুটে যান সেই বাড়িতে কিংবা জায়গায়। গিয়ে উদ্ধার করে আনেন সাপ। বেসরকারি সংস্থা স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে অনেকদিন ধরেই এ কাজ করে আসছেন সিলেটের এই তরুণ উদ্যোক্তা। 

বিভিন্ন প্রজাতির সাপ ধরতে হয় লিপ্টুকে। বিষহীন, বিষধর যে সাপই হোক না কেন, লোকালয়ে থাকা এসব সাপ ধরে আবার প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেন তিনি। গত দুই বছরে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য বিষধর ও নির্বিষ সাপ উদ্ধার করে উন্মুক্ত পরিবেশে অবমুক্তর পাশাপাশি গণসচেতনা সৃষ্টিতে কাজ করছেন লিপ্টু।


বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখের অধিক মানুষ সাপের দংশনের শিকার হচ্ছেন। আর বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায় ৬ হাজার মানুষ। তার মধ্যে ৭০ ভাগ মানুষ মারা যায় অপচিকিৎসায়। বিশেষ করে গ্রামীণ জনপদ ও বেশি বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারা সাপ আতংকে ভোগেন। 

বিষধর সাপের আচরণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর প্রত্যয়ে সাপ উদ্ধার কাজে মনোনিবেশ করেন হাওর অঞ্চলের বাসিন্দা ওসমানীনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের লিপ্টু দাস। 

দক্ষতা ও কৌশলের মাধ্যমে সাপকে উদ্ধারপূর্বক চিকিৎসা করিয়ে প্রকৃতির ছেড়ে দেয়ার প্রযুক্তির অগ্রগতির অর্জনে প্রথমে লিপ্টু দাস যোগদেন বেসরকারি সংস্থা স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশে। 


সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুর রহমানের ত্বত্তাবধানে প্রশিক্ষণ নিয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দক্ষতার সাথে লোকালয়ে আসা বিষধর ও নির্বিষ সাপ উদ্ধারের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি হয়েছেন সফল ফিল্যান্সার। 

বিগত দুই বছরে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশ নামে সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে সারা দেশে প্রায় দুই হাজারের অধিক বিষধর সাপ উদ্ধার করে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করে দেয়া হয়েছে।

এই ব্যাপারে লিপ্টু দাস বলেন, সময়ের সাথে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।যার ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পরিবেশের উপর পড়ছে। পরিবেশ বাঁচাতে হলে আমাদের প্রকৃতিক পরিবেশের প্রাণীগুলোকে ও রক্ষা করতে হবে। সাপ মানুষের কাছাকাছি বিশেষ করে মানুষের বাড়িতে সাপ ঢুকে পরায় মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে সাপকে তাড়া করে খবর পেল আমরা সেখানে গিয়ে সাপ উদ্ধার করে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেই। 

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য সাপ সম্পর্কিত অনলাইন ভিত্তিক কোর্সও চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী ব্যক্তিরা কোর্সে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মাঝে আমরা সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান এবং সাপ বিষয়ে করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে ধারণা প্রদান করছি। বর্তমানে আমাদের টিমে মোট ৫০ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়া ২শ জন সদস্য বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করছেন।

আই নিউজ/এইচএ 


আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন

৭১ বছরের এক তরুণ, যার কাছে দৌড়ে যুবকেরাও হার মানে

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়