মো. রওশান উজ্জামান রনি
আপডেট: ১৬:৪৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩
ঈগল পাখির ছবি
ঈগল পাখির ছবি | ছবি লিখক
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে ঈগল পাখির ছবি প্রদান করবো। ঈগল পাখির নাম সবাই শুনে এসেছে কিন্তু শহরের মানুষদের দেখার সৌভাগ্য তেমন হয় না। এই ছবিগুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে ঈগল পাখি দেখতে কেমন হয়ে থাকে। শধু ছবি নয় থাকছে ঈগল পাখির বৈশিষ্ট, আচরণ, খাদ্য, প্রজনন, বাসস্থা সহ নানাবিধ তথ্য উপাত্ত।
ঈগল আকাশের বৃহত্তম এবং শক্তিশালী পাখিগুলির মধ্যে একটি। তাদের করুণাময়তা, ভারসাম্যপূর্ণ আগ্রাসন এবং চমত্কার দৃষ্টিশক্তির কারণে তাদের ডাকনাম "শিকারের পাখি" বলা হয়। তারা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ও অসাধারণ শিকারী। এছাড়াও, তারা বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতা, শক্তি এবং অতিক্রমের জীবন্ত প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। ফেয়ারব্যাঙ্কস বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জ্যাক হুইটম্যান, যিনি আইডাহোতে সোনার ঈগল নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, তিনি বলেন, "এগুলি হ"ত্যার জন্য তৈরি করা হয়েছে।" সকল পাখির রাজা হচ্ছে ঈগল পাখি। এছাড়া ঈগলকে শিকারি পাখিও বলা হয়। ঈগল সাধারণত অন্যান্য পাখিদের তুলনায় সাইজে অনেক বেশি বড় হয়ে থাকে।
ঈগলদের একটি অত্যন্ত উন্নত দৃষ্টিশক্তি রয়েছে যা তাদের সহজেই শিকার সনাক্ত করতে দেয়। একজন গড় মানুষের তুলনায় ঈগলের চমৎকার ২০/৫ দৃষ্টি রয়েছে যার কেবল ২০/২০ দৃষ্টি রয়েছে। এর অর্থ হল ঈগলরা ২০ ফুট দূর থেকে এমন জিনিস দেখতে পারে যা আমরা কেবল ৫ ফুট দূর থেকে দেখতে পারি। উত্তর আমেরিকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় শিকারী পাখি (র্যাপ্টর)গুলির মধ্যে একটি, টাক ঈগলগুলি প্রায় ৩০ ইঞ্চি উচ্চতায় দাঁড়ায়, একটি ডানা ৭২-৮৪ ইঞ্চি এবং ওজন 8 থেকে ১৪ পাউন্ডের মধ্যে হয়।অনেক আদিবাসী সংস্কৃতি বিশ্বাস করে যে ঈগল পবিত্র কারণ এটি সৃষ্টিকর্তার সবচেয়ে কাছাকাছি উড়ে যায়। এটি সম্মান, সম্মান, শক্তি, সাহস এবং প্রজ্ঞার প্রতীক। সাসকাচোয়ানে, এর পালকগুলিও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক, পুনর্মিলনের চলমান গল্পের একটি নতুন অধ্যায়।
ঈগল এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে শিকারী পাখিদের উচ্চতর দৃষ্টি রয়েছে, তবে ঈগল সর্বোচ্চ রাজত্ব করে। ঈগলের বড় চোখ, প্রায় মানুষের চোখের মতোই বড়, এর চাক্ষুষ ক্ষমতার চাবিকাঠি। এই পাখিদের চমৎকার শিকারী হতে দেয় এমন একটি উপাদান হল ফোভিয়াস। ঈগলদের প্রাণীজগতে সর্বোত্তম দৃষ্টিশক্তি রয়েছে এবং ২ মাইল পর্যন্ত শিকারকে চিহ্নিত করতে এবং ফোকাস করতে পারে। বাল্ড ঈগলের কোন প্রাকৃতিক শিকারী নেই। তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু মানুষ। বাল্ড ঈগলের মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে রয়েছে গাড়ি এবং পাওয়ার লাইনের সাথে সংঘর্ষ, বৈদ্যুতিক আঘাত, বন্দুকের গুলিতে ক্ষত এবং বিষক্রিয়া।
তিনটি পালকের প্রতীক প্রাচীন খ্রিস্টধর্মে জনপ্রিয় ছিল, বিশেষত মেডিসিদের মধ্যে, যারা এগুলিকে বিশ্বাস, আশা এবং দাতব্য তিনটি গুণের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন। আমার জন্য একটি পালক পরা আমাকে শান্তি এবং আধ্যাত্মিক জগতের সাথে সংযোগের অনুভূতি দেয়। পাহাড়ের উপরে ঈগলরা শব্দহীন উড়ে চক্কর দেয়। আমরা ঈগলকে তার শিকার ধরতে আকাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছি। গোল্ডেন ঈগলের মাথা ছোট এবং আপাতদৃষ্টিতে বাল্ড ঈগলের চেয়ে লম্বা লেজ থাকে। গোল্ডেনদের শক্ত ভেতরের ডানার আস্তরণ থাকে, যখন কিশোর বাল্ড ঈগলদের ডানার আস্তরণ থাকে। এরা ডানা সামান্য উঁচু করে ওড়ে, যেখানে বাল্ড ঈগল সোজা ডানা দিয়ে উড়ে। টাক ঈগলের চেয়ে বড় এবং আক্রমণাত্মক, সোনালী ঈগল তরুণ ডাল ভেড়া এবং ক্যারিবু শিকার করে - এবং এমনকি আরও বড় শিকার নিতে পারে।
ঈগল পাখির ছবি ডাউনলোড করুন ফ্রিতে।
ঈগল পাখি হলো কর্ডাটা প্রজাতির প্রাণী অথবা পাখি। এরা প্রায় ৩০ কেজি পর্যন্ত সর্বোচ্চ ওজন হতে পারে এবং যদি নাম্বার ধারণা প্রদান করি তাহলে ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি পর্যন্ত এরা লম্বা হয়ে থাকে। ঈগল পাখি ১১ হাজার ফুট পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। বাস্তবিক জীবনে এরা স্বামী স্ত্রী একত্রে বসবাস করে এবং এর মাধ্যমে প্রজনন ঘটিয়ে থাকে। ঈগল, চিল এবং বাজ পাখি এরা সবাই শিকারী পাখি। এদের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো শিকার করে আহার করা। সকল শিকারি পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে ঈগল।তবে এদের শিকার ধরার পদ্ধতি প্রায় একই রকম এরা অনেক উপর থেকে শিকার ধরে। তবে এদের আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ঈগল পাখি শীতকালীন আবহাওয়াতে একই স্থান থেকে আরেক স্থান পরিবর্তন করে এবং এরা অনেক উপর আকাশে চলাফেরা করলেও নিচের দিকে চোখ রেখে সকল কিছু দেখতে পায় এবং সে অনুযায়ী শিকার ধরে। তাই বিভিন্ন কথার প্রসঙ্গে ঈগলের চোখ শব্দটি ব্যবহার করা হয় যাতে করে অনেক দূরের বস্তু একজন মানুষ খুব সহজে দেখতে পায় অথবা অনেক দূরের বিষয় সম্পর্কে যার ধারণা থাকে সে প্রসঙ্গে। তাই ঈগল পাখির ছবিগুলো দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন এদের চোখ অন্যান্য পাখির চাইতে আলাদা এবং এদের চোখ সবসময় শিকারি চোখ হয়ে থাকে।
তাই ঈগল পাখি সম্পর্কে এখানে বিস্তারিত ধারণা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবিক জীবনে যারা ঈগল পাখি দেখেননি তারা এখান থেকে ছবি ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা সকলের উদ্দেশ্যে শেয়ার করতে পারেন। ঈগল পাখি ছাড়াও আপনারা যদি আকাশে উড়ে এমন সকল শিকারি পাখির ধারনা পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট সেকশনে লিখে জানিয়ে দিন আপনার কোন ধরনের পাখির ছবি প্রয়োজন। তাহলে আমরা সেই অনুযায়ী আপনাদের কে ছবি প্রদর্শন করবো এবং ছবিগুলো দেখে নেওয়ার মাধ্যমে হয়তো আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য জেনে নেওয়া হয়ে যাবে। ঈগল পাখির ছবি গুলো ডাউনলোড করে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পাখি সংক্রান্ত তথ্য পোস্ট করতে পারেন।
ঈগল পাখির ছবি ;- বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পাখি অথবা পশুপাখি পরিচিতি সংক্রান্ত গ্রুপ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনারা ঈগল পাখির তথ্য প্রদান করার পাশাপাশি যদি ঈগল পাখির ছবি সংযুক্ত করতে পারেন তাহলে এই তথ্যগুলো পড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ছবি দেখে নিয়ে অনেকে ধারণা অর্জন করতে পারবে। সবচেয়ে বড় ঈগল কোনটি তা আমরা অনেকেই জানিনা। অন্যান্য পাখির মতো ঈগল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র গতি সম্পন্ন। বিভিন্ন পাখি যেমন কন্ডর পেলি কান শিকারের জন্য ফাঁদ তৈরি করলেও ঈগল এদের মধ্যে ফাঁদ তৈরি করতে সবচেয়ে বেশি বিশেষজ্ঞ। পৃথিবীব্যাপী সর্বমোট ৬০ প্রজাতির রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ পাখি এশিয়া এবং আফ্রিকা অঞ্চলে বসবাস করে। তবে এক্ষেত্রে কিছু প্রজাতি বন-জঙ্গলে বসবাস করে এবং কিছু প্রজাতি লোকালয়ের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু গাছে বসবাস করে। একটি ঈগলের গতি ঈগলের প্রজাতি এবং এটি যে পরিস্থিতিতে উড়ছে তার উপর নির্ভর করে। ঈগলের কিছু প্রজাতি শিকারের দিকে ডাইভিং করার সময় ২৪০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত গতিতে পৌঁছতে সক্ষম। অন্যরা ধীরগতির এবং শুধুমাত্র ৫০ কিমি/ঘন্টা বা তার কম গতিতে পৌঁছতে পারে।
সাধারণভাবে, ঈগল হল দ্রুত এবং চটপটে শিকারের পাখি যেগুলো শিকারের জন্য অভিযোজিত হয় এবং উড়তে গিয়ে শিকার ধরার জন্য। তারা থার্মালের উপর উড়তেও দক্ষ এবং বায়ু স্রোতে গ্লাইডিং করে দুর্দান্ত উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। বিশ্বে চার প্রজাতির ঈগল রয়েছে। এরা সোনালি ঈগল, গস হক, স্প্যারো হক ও আমেরিকান ঈগল। সোনালি ঈগল এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনালি ঈগলকে জাতীয় প্রতীক ও পাখি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। পাখিদের মধ্যে এরা সব চাইতে বড় বাসা বানায়। এদের বাসা ৬ মিটার গভীর এবং ৯১ সে.মি. বেড় বিশিষ্ট হতেও দেখা গেছে। এদের চোখের দৃষ্টি অসম্ভব প্রখর এবং শ্রবণ শক্তিও খুবই সংবেদনশীল। যে কোন পাখি, খরগোশ ও ইঁদুরসহ ক্ষুদ্র প্রাণী এবং পানির ওপরে ভাসমান মাছ ও জলজ সাপকে এরা তীব্র বেগে উড়ে এসে পায়ের ধারালো নখে বর্শার মতো গেঁথে ফেলে। তারপর উড়ন্ত অবস্থায় অথবা কোন ডালে বসে ধারালো বাঁকা ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে জীবন্ত শিকার। ঈগল পাখির গায়ের রং বাদামি, সোনালি ও সাদা রং মিশেল। অধিকাংশ হক ও ঈগল মাটিতে শিকার না দেখা পর্যন্ত আকাশে চক্কর দিতে বা গাছের ডালে বসে থাকে এবং দেখামাত্র উপর থেকে ঝাপিয়ে পড়ে শিকারকে আহত বা নিহত করে।
জঙ্গলে বসবাসরত ঈগলের ডানা আকারে ছোট হয় এবং লোকালয়ের আশেপাশে বসবাসরত ঈগলদের ডানা বড় আকৃতির হয়। এমন অনেক কৌতুহল সম্পর্কিত তথ্য আজকে আমরা জানব। ঈগল শক্তিধর, দক্ষ শিকারি পাখি। এমনকি ঈগলকে পাখির রাজাও বলা হয়। বানর, ছোট জাতের পাখি, টিকটিকি, হাঁস-মুরগি খেয়ে জীবনধারণ করে থাকে। একটি পূর্ণবয়স্ক ঈগলের ওজন প্রায় ৩০ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৩০-৩৫ ইঞ্চি হয়ে থাকে। এছাড়া একটি পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ঈগল ১১ হাজার ফুট ওপরে উঠতে পারে। এরা জনমানব এলাকার বাইরে ও কমপক্ষে ১০০ ফুট ওপরে বাসা তৈরি করে প্রজনন ঘটায়।
ঈগলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তাদের পায়ের নখ। নখগুলো এতই তীক্ষ্ণ যে নিমিষের মধ্যে শিকারকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে এদের দেখা পাওয়া যায়না বললেই চলে। তবে বাংলাদেশে একসময় সাদা বুকের সমুদ্র ঈগল, কুড়া বা পলাশ মেছো ঈগল, কুল্লে বা সাপখেকো ঝুঁটি ঈগল, ছোট নখের ঈগল দেখা যেতো কিন্তু এখন তারা বিলুপ্তির পথে। ঈগল যেই উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়, সেই উচ্চতায় অন্য কোনো পাখি পৌঁছাতে পারে না। এজন্যেই ঈগল একা উড়ে বেড়ায়। ঈগলের দৃষ্টিশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ যে আকাশে থাকা অবস্থায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পষ্ট দেখতে পায়। ঈগল যখন তার শিকার খোঁজে বের হয় তখন সে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সেটার ওপরেই দেয়। যত বাধাই আসুক না কেন, সেটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ঈগল কোনোভাবেই তার চোখ সরায় না। ঈগল সব সময় জীবন্ত প্রাণীকে খাবার হিসেবে খেয়ে থাকে। কখনোই কোনো মৃত জিনিস তারা ভক্ষণ করে না। ঈগল ঝড়কে এড়িয়ে না গিয়ে ঝড়ের বেগকে কাজে লাগিয়ে উঁচুতে উড়ে যায়। অন্যান্য পাখিরা যখন পাতা ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, ঈগল তখন ঝড়ের বিরুদ্ধে তার ডানা ঝাপটে যায় এবং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে মেঘকে ভেদ করে ওপরে উঠে যায়। এমনকি একবার বাতাসের বেগ পেয়ে গেলেই ঈগল তার ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে দেয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওপরে যেতে থাকে। ঝড়কে যেন সে খুব ভালবাসে। একটা মেয়ে ও ছেলে ঈগল যদি কখনো বন্ধু হতে চায়, মেয়ে ঈগলটি প্রথমেই ছেলে ঈগলটির পরীক্ষা নেয়। সাক্ষাৎ হওয়ার পর মেয়ে ঈগলটি মাটিতে নেমে এসে গাছের একটি ডাল তুলে নেয়।
তার পিছে পিছে ছেলে ঈগলটিও উড়ে যায়। মেয়ে ঈগলটি সেই ডাল নিয়ে ওপরের দিকে উড়ে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ার পর গাছের সেই ডালটি নিচে ফেলে দেয়। তার পিছু নেওয়া সেই ছেলে ঈগলটি তা দেখে ডালটি ধরার জন্য দ্রুত নিচের দিকে যায়। ডালটি সে মেয়ে ঈগলের কাছে ফিরিয়ে আনে। এই কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি কয়েক ঘণ্টা ধরে হতেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়ে ঈগল আশ্বস্ত হয় যে ছেলে ঈগলটি এই ডাল ফিরিয়ে আনার কাজটি আত্মস্থ করতে পেরেছে। একমাত্র ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় দিতে পারলেই পরে তারা দুজন বন্ধু হতে পারে। ডিম পাড়ার সময় আসলে বাবা ও মা ঈগল পাহাড়ের এমন একটি জায়গা বেছে নেয় যেখানে কোনো শিকারির হামলা করার সুযোগ থাকে না। বাসা তৈরির পালা আসলে ছেলে ঈগল এই বাসা নির্মাণের জন্য প্রথমে কিছু কাঁটা বিছায়, তার উপর গাছের ছোট ছোট ডালা, তার উপর আবার কিছু কাঁটা দিয়ে একদম শেষে কিছু নরম ঘাস বিছিয়ে দেয়। ছোট্ট আবাসটির নিরাপত্তার জন্য বাইরের দিকে তারা কাঁটা ও শক্ত ডালা বিছিয়ে রাখে। বাচ্চা ঈগলগুলোর যখন উড়তে শেখার সময় হয়, মা ঈগল তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয় কিন্তু পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছানাগুলো ফিরে আসে। মা ঈগল এবার সব নরম ঘাস সরিয়ে ফেলে পুনরায় তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয়। আর তাই ছানাগুলো যখন ফিরে আসে, কাঁটার সাথে আঘাত পেয়ে তারা নিজেই বাইরে ঝাঁপ দেয়। এবার বাবা ঈগল নিয়োজিত হয় তাদের উদ্ধারকাজে। নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই সে তার পিঠে করে ছানাগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। যতদিন পর্যন্ত ছানাগুলো তাদের ডানা ঝাপটানো না শুরু করে, এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈগল পাখির ডানার পালকগুলো দুর্বল হয়ে পরে, যে কারণে সে আগের মতো খুব দ্রুত গতিতে উড়তে পারে না। দুর্বল বোধ করলে সে এমন একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় যেখানে পাথর রয়েছে। সেখানে সে তার শরীরের প্রতিটি পালক টেনে ছিঁড়ে ও উঠিয়ে ফেলে। নতুন পালক না গজানো পর্যন্ত সেই দুর্বল ঈগল কোথাও বের হয় না। নতুন পালক গজিয়ে গেলে সে পুনরায় বজ্র গতিতে উড়ে বেড়ায়। ঈগলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তাদের পায়ের নখ। নখগুলো এতই তীক্ষ্ণ যে নিমিষের মধ্যে শিকারকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে এদের দেখা পাওয়া যায়না বললেই চলে।
ঈগল পাখির ছবি ও খাদ্যাভ্যাস ;- বাংলাদেশে একসময় সাদা বুকের সমুদ্র ঈগল, কুড়া বা পলাশ মেছো ঈগল, কুল্লে বা সাপখেকো ঝুঁটি ঈগল, ছোট নখের ঈগল দেখা যেতো কিন্তু এখন তারা বিলুপ্তির পথে। ঈগলের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তাদের পায়ের নখ। নখগুলো এতই তীক্ষ্ণ যে নিমিষের মধ্যে শিকারকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। তবে এরা এখন বিলুপ্তির পথে। বাংলাদেশে এদের দেখা পাওয়া যায়না বললেই চলে। তবে বাংলাদেশে একসময় সাদা বুকের সমুদ্র ঈগল, কুড়া বা পলাশ মেছো ঈগল, কুল্লে বা সাপখেকো ঝুঁটি ঈগল, ছোট নখের ঈগল দেখা যেতো কিন্তু এখন তারা বিলুপ্তির পথে। ঈগল যেই উচ্চতায় উড়ে বেড়ায়, সেই উচ্চতায় অন্য কোনো পাখি পৌঁছাতে পারে না। এজন্যেই ঈগল একা উড়ে বেড়ায়। ঈগলের দৃষ্টিশক্তি এতটাই তীক্ষ্ণ যে আকাশে থাকা অবস্থায় ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত স্পষ্ট দেখতে পায়। ঈগল যখন তার শিকার খোঁজে বের হয় তখন সে তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সেটার ওপরেই দেয়। যত বাধাই আসুক না কেন, সেটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ঈগল কোনোভাবেই তার চোখ সরায় না। ঈগল সব সময় জীবন্ত প্রাণীকে খাবার হিসেবে খেয়ে থাকে। কখনোই কোনো মৃত জিনিস তারা ভক্ষণ করে না। ঈগল ঝড়কে এড়িয়ে না গিয়ে ঝড়ের বেগকে কাজে লাগিয়ে উঁচুতে উড়ে যায়। অন্যান্য পাখিরা যখন পাতা ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে, ঈগল তখন ঝড়ের বিরুদ্ধে তার ডানা ঝাপটে যায় এবং ঝড়ের বেগকেই কাজে লাগিয়ে মেঘকে ভেদ করে ওপরে উঠে যায়। এমনকি একবার বাতাসের বেগ পেয়ে গেলেই ঈগল তার ডানা ঝাপটানো বন্ধ করে দেয় এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ওপরে যেতে থাকে। ঝড়কে যেন সে খুব ভালবাসে।
একটা মেয়ে ও ছেলে ঈগল যদি কখনো বন্ধু হতে চায়, মেয়ে ঈগলটি প্রথমেই ছেলে ঈগলটির পরীক্ষা নেয়। সাক্ষাৎ হওয়ার পর মেয়ে ঈগলটি মাটিতে নেমে এসে গাছের একটি ডাল তুলে নেয়। তার পিছে পিছে ছেলে ঈগলটিও উড়ে যায়। মেয়ে ঈগলটি সেই ডাল নিয়ে ওপরের দিকে উড়ে যায় এবং একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় যাওয়ার পর গাছের সেই ডালটি নিচে ফেলে দেয়। তার পিছু নেওয়া সেই ছেলে ঈগলটি তা দেখে ডালটি ধরার জন্য দ্রুত নিচের দিকে যায়। ডালটি সে মেয়ে ঈগলের কাছে ফিরিয়ে আনে। এই কার্যক্রমের পুনরাবৃত্তি কয়েক ঘণ্টা ধরে হতেই থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়ে ঈগল আশ্বস্ত হয় যে ছেলে ঈগলটি এই ডাল ফিরিয়ে আনার কাজটি আত্মস্থ করতে পেরেছে। একমাত্র ‘প্রতিজ্ঞাবদ্ধতার’ পরিচয় দিতে পারলেই পরে তারা দুজন বন্ধু হতে পারে। ডিম পাড়ার সময় আসলে বাবা ও মা ঈগল পাহাড়ের এমন একটি জায়গা বেছে নেয় যেখানে কোনো শিকারির হামলা করার সুযোগ থাকে না। বাসা তৈরির পালা আসলে ছেলে ঈগল এই বাসা নির্মাণের জন্য প্রথমে কিছু কাঁটা বিছায়, তার উপর গাছের ছোট ছোট ডালা, তার উপর আবার কিছু কাঁটা দিয়ে একদম শেষে কিছু নরম ঘাস বিছিয়ে দেয়।
ছোট্ট আবাসটির নিরাপত্তার জন্য বাইরের দিকে তারা কাঁটা ও শক্ত ডালা বিছিয়ে রাখে। বাচ্চা ঈগলগুলোর যখন উড়তে শেখার সময় হয়, মা ঈগল তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয় কিন্তু পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছানাগুলো ফিরে আসে। মা ঈগল এবার সব নরম ঘাস সরিয়ে ফেলে পুনরায় তাদের বাইরে ছুঁড়ে দেয়। আর তাই ছানাগুলো যখন ফিরে আসে, কাঁটার সাথে আঘাত পেয়ে তারা নিজেই বাইরে ঝাঁপ দেয়। এবার বাবা ঈগল নিয়োজিত হয় তাদের উদ্ধারকাজে। নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই সে তার পিঠে করে ছানাগুলোকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। যতদিন পর্যন্ত ছানাগুলো তাদের ডানা ঝাপটানো না শুরু করে, এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈগল পাখির ডানার পালকগুলো দুর্বল হয়ে পরে, যে কারণে সে আগের মতো খুব দ্রুত গতিতে উড়তে পারে না। দুর্বল বোধ করলে সে এমন একটি জায়গায় আশ্রয় নেয় যেখানে পাথর রয়েছে। সেখানে সে তার শরীরের প্রতিটি পালক টেনে ছিঁড়ে ও উঠিয়ে ফেলে। নতুন পালক না গজানো পর্যন্ত সেই দুর্বল ঈগল কোথাও বের হয় না। নতুন পালক গজিয়ে গেলে সে পুনরায় বজ্র গতিতে উড়ে বেড়ায়।
ঈগলের নামের সাথেই প্রতিদিনের অভ্যাসের শিকার পাখির একটি সিরিজ পরিচিত হয় যাদের শক্তিশালী চঞ্চু, তীক্ষ্ণ নখর, একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবং একটি উল্লম্ব উড়ন্ত। ঈগলের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত শিকারী পাখির একটি এবং তা সত্ত্বেও এটি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। নীচে আরও অনেক কিছু খুঁজে বের করুন। ঈগল হল সবচেয়ে বড় শিকারী পাখিদের দেওয়া জাতি। ঈগলের বিভিন্ন প্রজাতি এবং উপ-প্রজাতি অ্যান্টার্কটিকা ব্যতীত কার্যত বিশ্বের যে কোনও জায়গায় পাওয়া যায়। তারা Accipitriformes এর শিকার পাখির ক্রম সংহত করে। এগুলি বিভিন্ন জেনারারও অংশ, যেগুলি আরও উপযুক্ত পুনঃশ্রেণীবিভাগের সাপেক্ষে কারণ বিশেষজ্ঞরা একটি ঐক্যমতের মতামতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
ঈগলগুলি তাদের বিশাল আকার, শক্তিশালী গঠন এবং ভারী মাথা এবং চঞ্চু দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যে কোনো শিকারী পাখির মতো, ঈগলেরও তাদের শিকারের মাংস ছিঁড়ে ফেলার জন্য একটি বড়, শক্তিশালী এবং ধারালো চঞ্চু থাকে। এটিতে খুব শক্তিশালী হিল এবং নখর রয়েছে। সমানভাবে আকর্ষণীয় হল ঈগলদের শক্তি, যা তাদের নিজেদের থেকে অনেক বেশি ভারী শিকারকে উড়াতে দেয়। তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তিও রয়েছে যা তাদেরকে অনেক দূর থেকে সম্ভাব্য শিকার দেখতে সক্ষম করে। সোনালি ঈগলের চোখে এক জোড়া ফোকাল পয়েন্ট রয়েছে, একটি সোজা সামনে দেখতে এবং অন্যটি পাশের দিকে তাকাতে এবং দূরত্বের দিকে তাকাতে। ঈগলগুলি পরিবর্তনশীল আকার উপস্থাপন করে, এটি ক্ষুদ্রতম জাতগুলির মধ্যে একটি, ছোট ঈগল, শুধুমাত্র ৪৫-৫৫ সেন্টিমিটারের কাছাকাছি দৈর্ঘ্যে পৌঁছায়। বিপরীতে, স্টেলার্স ফিশ ঈগল প্রায় ৯১-১০৬ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যে পৌঁছায় এবং এর ডানা ২-২,৫ মিটারের কাছাকাছি হতে পারে।
এই পাখির সমস্ত ইন্দ্রিয়ের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী। চোখ বিশাল, মাথার প্রায় 50% দখল করে এবং মানুষের চোখের সমান ওজনের। ঈগলের দৃষ্টি মানুষের চেয়ে ৪-৫ গুণ বেশি তীক্ষ্ণ। তাদের চোখ মুখের কেন্দ্র থেকে ৪ ডিগ্রিতে স্থাপন করা হয়, যা তাদের দৃষ্টিশক্তির একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র দেয়। মানুষ যে তিনটির তুলনায় ঈগল পাঁচটি মৌলিক রং চিনতে পারে এবং অতিরিক্ত UV আলো শনাক্ত করতে পারে। ঈগলদের রেটিনায় আলো-সংবেদনশীল কোষ থাকে যা আলোকে চিনতে ব্যবহৃত হয় এবং রঙ সংবেদনশীল। মানুষের চেয়ে ঈগলের দৃষ্টিশক্তি বেশি হওয়ার একটি কারণ হল তাদের রেটিনাতে বেশি শঙ্কু থাকে। লোকটির প্রতি বর্গ মিলিমিটারে ২০০.০০০ শঙ্কু রয়েছে, যখন ঈগলের একটি মিলিয়ন রয়েছে। প্রতিটি ঈগলের প্রজাতিই হিংস্র আচরণ এবং একটি শক্তিশালী দেহের সাথে এবং তারা যে কোনও স্থান থেকে দ্রুত উড়তে পারে। এর মাথাটি শরীরের তুলনায় বিশাল এবং এর শক্তিশালী ঠোঁট দিয়ে এটি শিকারের কাঁচা মাংসকে ধ্বংস করতে পারে।
একটি ভাল আকারের ঈগল প্রায় ৭ বা ৮ কিলোগ্রাম বা তার বেশি ওজনে পৌঁছাতে পারে এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় ৯৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যাইহোক, সমস্ত প্রজাতিতে, স্ত্রী পুরুষের চেয়ে বড়। ঈগল শিকারের শীর্ষে রয়েছে। এটি খাদ্য শৃঙ্খলের শীর্ষে রয়েছে। ঈগলরা কী খায় তা নির্ভর করবে প্রজাতি এবং তাদের উপলব্ধ খাবারের উপর, তবে এরা সবাই হিংস্র মাংসাশী এবং মাংস এবং/অথবা মাছের খাদ্যে বাস করে। ঈগলদের চারটি দলে বিভক্ত করা হয়েছে: সমুদ্র ঈগল, বুটেড ঈগল, সর্পেন্ট ঈগল এবং দৈত্যাকার বন ঈগল। দৈত্যাকার ঈগলদের খাদ্য বিভিন্ন বনজ প্রাণীর সমন্বয়ে গঠিত। বৃহত্তম ঈগলগুলির মধ্যে একটি, হারপি ঈগল, বানর, স্লথ এবং কোটিস সহ আরও বড় প্রাণী খায়।
মিলনের মাধ্যমে সমস্ত পাখির মতো ঈগলের প্রজনন ঘটে। স্ত্রী তখন এক জোড়া ডিম পূর্বে তৈরি করা বাসাটিতে ছেড়ে দেয়। পৃথিবীতে যে দুটি ছানা আসে তার মধ্যে একটি মাত্র বেঁচে থাকে, যেহেতু প্রথমটি যে বাচ্চা বের হয় এবং খাওয়ায় সে আরও শক্তি অর্জন করে এবং অন্যটিকে ছেড়ে দেয়, পিতামাতা এতে হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের দ্বারা প্রদত্ত যত্ন প্রায় দেড় বছর ধরে রাখা হয়, একটি সময়কাল যার পরে বাচ্চাদের বাসা ছেড়ে যেতে হবে। ঈগলরা একগামিতার অনুশীলন করে এবং প্রতি বছর তারা তাদের বাসা পুনরুদ্ধার করে, সাধারণত একটি বড় উচ্চতায় তৈরি করা হয়, যা অভ্যন্তরের জন্য লাঠি, শাখা এবং নরম উপকরণ দিয়ে তৈরি। এই বাসাগুলির ওজন যথেষ্ট বড় হতে পারে। ঈগল হল নির্জন পাখি যাকে বলা হয় সারাজীবন সঙ্গী। ডালপালা এবং লাঠির বাসা একটি গাছের সর্বোচ্চ অংশে বা একটি পাহাড়ের উপর একটি সুবিধাজনক স্থানে তৈরি করা হয়, এমন একটি অঞ্চলে যেখানে এটি স্থায়ীভাবে খাওয়াতে পারে।
আরও পড়ুন- পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ঈগল হার্পি
প্রতি বছর বাসাটিতে নতুন উপকরণ যোগ করা হয়, কারণ আগের বাসা থেকে ধ্বংসাবশেষ নতুন সংযোজনের অধীনে পচে যায়। এই উড়ন্ত প্রাণীদের বাসাগুলি বিশাল হতে পারে, ৩ মিটার পর্যন্ত ব্যাস এবং ৪৫০ কিলোগ্রামেরও বেশি ওজনের। ঈগল (সাধারণত দুটি) তৃতীয় বছর পর্যন্ত প্রাপ্তবয়স্ক চিহ্নগুলি প্রদর্শন করে না, যখন তারা পিতামাতার সুরক্ষা ছেড়ে দেয় এবং তাদের নিজস্ব সঙ্গী এবং অঞ্চলগুলির সন্ধানে বেরিয়ে পরে। ঈগল জলাশয়ের কাছাকাছি অঞ্চলে বাস করতে ঝুঁকছে, কারণ তাদের প্রিয় শিকার হল মাছ। এগুলি জলাভূমিতে, উপকূলরেখায়, হ্রদ বা নদীর কাছাকাছি এবং জলাভূমিতে পাওয়া যায়। তাদের উড্ডয়ন, বিশ্রাম এবং বাসা বাঁধার সময়, তারা শক্ত কাঠ যেমন ওক বা কনিফার, যেমন পাইনগুলিতে পার্চ করা বেছে নেয়। দৃশ্যত তারা তাদের উচ্চতা এবং দৃঢ়তা অনুযায়ী গাছ নির্বাচন করে।
ঈগল পাখির ছবি ও তথ্য উপাত্ত;- তারা Accipitridae পরিবারে শিকারী পাখি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যার মধ্যে প্রায় ৬০ টি বিভিন্ন জাত রয়েছে। বেশিরভাগ ইউরেশিয়া এবং আফ্রিকাতে পাওয়া যায়, উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া সহ অন্যান্য অঞ্চলে মাত্র ১৫ টি প্রজাতি পাওয়া যায়। ঈগল খাদ্য শৃঙ্খলের তাদের বিভাগে অপেক্ষাকৃত বৃহত্তম শিকারী। তারা দ্রুত, শক্তিশালী এবং কম-বেশি বুদ্ধিমান। যাইহোক, তাদের ডিম এবং ছানা কাঠবিড়ালি, পেঁচা, ইঁদুর, জেস এবং অন্যান্য আরোহণকারী প্রাণীরা খেয়ে থাকে যারা ডিম এবং ছানা খায়। এর সাথে যুক্ত, ডিডিটি এবং সীসা ইনজেকশনের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঈগলগুলি প্রায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল। ডিডিটি এই পাখিদের ডিমের খোসাকে পাতলা করে দেয় এবং বড় বাসা বাঁধার পাখির ওজনকে সমর্থন করার জন্য ঈগলদের শক্ত খোসাযুক্ত ডিমের প্রয়োজন হয়। ডিডিটি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে, অন্যান্য ভারী পাখির প্রজাতি যেমন অস্প্রে, পেলিকান এবং হেরনের সাথে সমস্ত জাতের ঈগল ফিরে এসেছে।
সীসা গোলাবারুদ একটি বিশাল সমস্যা, কারণ সীসা একটি শিকারী পাখিকে মাটি থেকে স্থির করে দেয়। যেহেতু ঈগলদের শিকার ধরতে এবং পার্চ করার জন্য তাদের পায়ের প্রয়োজন হয়, তাই সীসা বিষাক্ত ঈগলকে মাটিতে অসহায় এবং ধীরে ধীরে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ফেলে। সাম্প্রতিক সময়ে, একজন ব্যক্তিকে ধরা হয়েছিল যে শত শত পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণীকে গুলি করেছিল, যার বেশিরভাগই ছিল ঈগল। মানুষ এমন একটি শিকারী যা অনেক সময়ে যা হত্যা করে তা খাওয়ায় না। ঈগলের উড্ডয়ন জোরালো, প্রভাবশালী, প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২৪০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার গতি অর্জন করার ক্ষমতা সহ (উড়ন্ত প্রাণীদের মধ্যে অন্যতম সেরা গতি)। এটি ছাড়াও এবং এর শক্তিশালী পেশী এবং বিশাল ডানার জন্য ধন্যবাদ, ঈগল অন্যান্য অনেক পাখির চেয়ে বেশি সময় ধরে উড়তে পারে এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭০০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় পৌঁছাতে দেয়।ঈগলের আয়ু গড়ে ১৫ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়, প্রাথমিকভাবে কারণ এটিতে কোন প্রাকৃতিক শিকারী নেই। বড় আয়তনের জাতগুলো বেশি দিন বাঁচতে থাকে।
টাক ঈগল (Haliaeetus leucocephalus) এটি আমেরিকান বা সাদা মাথার ঈগল নামে পরিচিত। এটি উত্তর আমেরিকার স্থানীয় এবং বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকার পরে সুরক্ষার অধীনে রয়েছে। হারপি ঈগল আকর্ষণীয় রঙ এবং ধূসর ক্রেস্টের জন্য বিখ্যাত। এটি আমেরিকার বৃহত্তম ঈগল। ফিলিপাইন ঈগলের মতো। এটি মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকাতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আমাজন জঙ্গলেও প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আইবেরিয়ান ইম্পেরিয়াল ঈগল (অ্যাকুইলা অ্যাডালবারটি). খুব গাঢ় বাদামী রঙের এবং একটি বড় গড় আকারের, এটি আইবেরিয়ান উপদ্বীপের স্থানীয়, বিশেষ করে আন্দালুসিয়ায়। গোল্ডেন ঈগল (Aquila chrysaetos) ইউরোপের বিভিন্ন রাজকীয় বাড়ির প্রতীক, এটি একটি অত্যন্ত বিস্তৃত বৈচিত্র্য, যার গাঢ় কিন্তু আলোকিত প্লামেজ এবং গভীর হলুদ পা রয়েছে।
কালো ঈগল (Buteogallus urubitinga) বাদামী রঙের এবং মাঝারি থেকে বড় আকারের, এটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা, বিশেষ করে আরব উপদ্বীপ এবং সুদানের স্থানীয় হওয়ায় এটি আফ্রিকান ঈগল নামে পরিচিত। এটি একটি খুব "শান্ত" ঈগল হিসাবে অনুমান করা হয়, যদিও প্রয়োজনে এটিকে বানর, হেরন, সরীসৃপ বা এমনকি ক্যারিয়ান খেতে দেখা গেছে। ঈগলের অসংখ্য প্রজাতি বর্তমানে বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত মানব শিল্পগুলি তাদের স্থানীয় পরিবেশে যেমন রাস্তার সম্প্রসারণ, বৈদ্যুতিক তারের ব্যবস্থা ইত্যাদির মধ্যে যে অবনতি তৈরি করে তার কারণে। ঈগল জাতীয় প্রতীক হিসাবে এবং বিশেষ করে একটি সাম্রাজ্যিক প্রতীক হিসাবে অসংখ্য মানুষ ব্যবহার করেছে, কারণ এটি শক্তি এবং সৌন্দর্য উভয়ই প্রদর্শন করে। রোমান সাম্রাজ্যের মধ্যে এটি ছিল যেখান থেকে, সাধারণত, অন্যান্য রাজ্যগুলি একটি ঈগলের সাথে প্রতীকটির সবচেয়ে সাধারণ রূপটি অনুলিপি করেছে; বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য দ্বি-মাথাযুক্ত ঈগলের প্রতীকে অবদান রেখেছিল। প্রাচীন পেরুর মোচিকা, মায়ান এবং অ্যাজটেকের মতো অসংখ্য প্রাচীন মানুষের জন্য ঈগল শক্তির সমতুল্য ছিল।
ঈগল মানে মানবতার জন্য বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে শক্তি, আভিজাত্য, পবিত্রতা, সততা এবং সৌন্দর্যের চিহ্ন। এই কারণে, এটি প্রায়শই ব্যানার, অস্ত্রের কোট, মূর্তি এবং মুদ্রার পাশাপাশি সমসাময়িক পণ্য বা ক্রীড়া গোষ্ঠীর জন্য লোগো তৈরি করে। এটি মধ্যযুগীয় রসায়নের অন্যতম প্রতীক। টাক ঈগল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার প্রতিনিধিত্ব করে। ইউরোপ থেকে বসতি স্থাপনকারীরা উত্তর আমেরিকার উপনিবেশ শুরু করার সাথে সাথে ঈগলের সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করে। সভ্যতার বসতি স্থাপনের জন্য তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশের ধ্বংসের পাশাপাশি, বসতি স্থাপনকারীরা এই বৃহৎ প্রতিযোগী পাখিদের মূল্য দিয়েছিল যেন তারা শিকার এবং তাদের ধ্বংস করে। বসতি স্থাপনকারীরাও ভেবেছিল যে তারা তাদের গবাদি পশু ধ্বংস করবে। আমরা এখন জানি যে তারা খুব কমই অল্পবয়সী বা অরক্ষিত গবাদি পশুদের খাওয়ায়।
টাক ঈগলের জনসংখ্যা, ইতিমধ্যেই বছরের পর বছর অবহেলার কারণে হ্রাস পেয়েছে, একটি কীটনাশক হিসাবে ডিডিটি অন্তর্ভুক্ত করার ফলে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই রাসায়নিকের কারণে ঈগল এবং অন্যান্য অসংখ্য শিকারী পাখি তাদের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। যখন এই রাসায়নিকটি সেবন করা হয় তখন পাখির ডিমের খোলস পাতলা করে এবং সহজেই ভেঙে যায় এবং অন্যদিকে, প্রায়শই তাদের বন্ধ্যাত্ব করে। ১৯৬৩ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ৪৭১ জোড়া ঈগল অবশিষ্ট ছিল। চিড়িয়াখানায় সংরক্ষণ প্রচেষ্টা এবং প্রজনন প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ, ঈগলটি অদৃশ্য হওয়ার ঝুঁকি থেকে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল। ঈগলগুলিকে আবার প্রজনন করা হয়েছিল এবং বন্যের মধ্যে পুনরায় একত্রিত করা হয়েছিল, এবং এখন সংলগ্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯,৭০০ জোড়া ঈগল বাসা তৈরি করছে। ঈগল সম্পর্কে মানুষের অনেক আগ্রহ কাজ করে। তবে এই পাখি সম্পর্কে আপনি আসলে কতটা জানেন?ঈগল সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য তুকে ধরার চেষ্টা করছি। যা আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে সহায়তা করবে। পৃথিবীতে ৬০ টিরও বেশি প্রজাতির ঈগল রয়েছে যাদের বেশিরভাগ এশিয়া এবং আফ্রিকা, ইউরোপে পাওয়া যায়। বাড ঈগল আমেরিকার জাতীয় প্রতীক তবে এই জাতের ঈগলের মাত্র দুইটা প্রজাতি পৃথিবীতে টিকে রয়েছে।
পাখি প্রজাতির মধ্যে ইগল সবচেয়ে শক্তিশালী যারা পায়ে করে ভারি বোঝা বহন করতে সক্ষম। এ পর্যন্ত ঈগলের ১৫ পাউন্ড (৬.৮ কেজি) শিকার পায়ে করে নেয়ার রেকর্ড রয়েছে। পরিবেশের উপর ঈগলের ডানা ও ওজনের বৃদ্ধি নির্ভর করে। যেসব ইগল বনাঞ্চলে থাকে তাদের ডানা ছোট ও ওজন কম হয় আবার যেসব ঈগল বনাঞ্চল বাদে মুক্ত পরিবেশে বসবাস করে তাদের ডানা ও ওজন বেশি হয়। দেখতে সুবিশাল ডানা সম্বলিত শক্তিশালী পূর্ণবয়স্ক একটি পুরুষ ঈগলের ওজন হয় মাত্র নয় পাউন্ড (৪.১ কেজি)। ৬. ৩.৫ ফিট (১.১ মিটার) উচ্চতা ও ৭.৫ ফিট (২.৩ মিটার) ডানা সম্বলিত ঈগল পাখি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম পাখিদের মধ্যে অন্যতম। বাড ঈগলের চেহারা ও বর্ণ অন্য ইগল প্রজাতির চেয়ে আলাদা, এদের মাথার রঙ হয় সাদা আর শরীরের বাকী অংশের রঙ থাকে বাদামী। আকেরিকার মুদ্রায় যে বাড ঈগলের ছবি ব্যবহার হয়েছে সেই ঈগলটির বাস্তব অস্তিত্ব রয়েছে। এই ঈগলটির নাম ছিল পিটার, এটি আমেরিকার ফিন্যান্সিয়াল মিনেস্ট্রির ছাঁদে বাসা বানিয়ে বসবাস করতো। ১৮৩৬ সালে ঈগলটির মৃত্যুর পর আমেরিকান ফিন্যান্সিয়াল মিনেস্ট্রির স্টাফ হিসেবে তার স্বীকৃতি মিলে এবং এখনো পর্যন্ত তার বাসাটি সংরক্ষণ করে দর্শনার্থীদের মাঝে প্রদর্শণ করা হয়। বেশ কিছু দেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈগলদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নেদারল্যান্ডে শত্রুপক্ষের ড্রোণ নিয়ন্ত্রণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঈগল ব্যবহার করা হয়। ধারণা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ইগল নিউজিল্যান্ডে বাস করতো, এদের ডানাগুলি ৯.৮ ফুট (৩ মিটার) প্রশস্ত ছিলো।
একটি মা ঈগল সাধারণত দুটি ডিম দেয়। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশু ঈগলগুলির মধ্যে যে বাচ্চাটি শক্তিশালী সে দুর্বলটিকে হ"ত্যা করে খেয়ে ফেলে। ঈগল অন্য সব প্রাণীর মধ্যে সতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্য বহন করে, যেমন এর নখর প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং এদের চোখের দৃষ্টিশক্তি খুবই প্রখর। এই চোখের সাহার্য্যে অনেক দূরের শিকার এরা দেখতে পারে এবং এদের নখর শিকারের জন্য প্রচণ্ড নির্মম হয়ে থাকে। একটি ঈগল পাখির বাচ্চা পূর্ণবয়স্ক ও শিকার ধরার মত সক্ষম হতে বেশ কয়েকবছর সময় লাগে। সাধারনত একটি ঈগল ৭০ বছর অবধি বেঁচে থাকতে পারে, তবে সব ঈগলের ক্ষেত্রে এমন হয় না, কারণ একটি বিশেষ সময় পর এদের নখ ও ঠোঠ শিকার ধরার কার্যক্ষমতা হারায়। এ সময় পাথর বা শক্ত ডালের সাথে প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে দুর্বল নখ ও ঠোঠ ভেঙে নতুন করে গজিয়ে নিতে না পারলে এরা ৫০ বছরের বেশি বাঁচতে পারে না। ঈগল তাদের চোখ অক্ষিকোঠরের মধ্যে জিরো ডিগ্রিতে ঘোরাতে পারে, একারণে এরা নিজ মাথার অর্ধাংশ দেখতে পারে। এ ক্ষমতা তাদের শিকারকে খুবই ভালভাবে দেখতে সহায়তা করে। ঈগল সাধারণত আজীবন এক সঙ্গীর সাথে বসবাস করে এবং একই স্থানে বাসা বানায়।
একারণে ঈগলদের ‘ক্রিয়েচার অফ হ্যাবিট’ বলা হয়। মা ঈগল ডিম দেয়ার পর টানা প্রায় ৩৫ দিন ডিমে তা দেয়, এ সময় পুরুষ ঈগলটি খাদ্য সরবরাহের পূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। প্রজাতি ভেদে ঈগলের খাদ্যাভাস ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু ঈগল শুধুমাত্র মাছ শিকার করে খায়, কিছু ঈগল নিজ প্রজাতিদের শিকার করে খায় আবার কিছু প্রজাতি অন্য প্রাণীদের শিকার করে খায়। সাধারণত চার বছর বয়স পর্যন্ত ঈগলের পালক ধূসর বর্ণের থাকে। এরপর আস্তে আস্তে বাদামি ও সাদা রঙের পালক জন্মে। ১৯৬৭ সালে গাড ঈগল প্রজাতি অতি বিপন্নের কাতারে পড়েছিলো, তখন সারা পৃথিবীতে এই প্রজাতির মাত্র ৫০০ ঈগল অবশিষ্ট ছিলো। বাড ঈগলেরা আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় সঙ্গীর সাথে মিলিত হয়। ঈগলের নখরে কেরাটিন থাকে, একারণে মানুষের চুল ও নখের মত ঈগলের নখ বাড়তে থাকে। নখ বেশি বড় হলে পাথর বা গাছে নখ ঘসে ঈগলেরা বাড়তি নখ ভেঙে ফেলে। আমেরিকায় স্যামন মাছ শিল্পের জন্য হুমকি মনে করে প্রায় ১ লাখ বাড ঈগল হ"ত্যা করা হয়েছিলো। সুপ্রাচীন কাল থেকে ঈগল সব পাখিদের রাজা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঈগলকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়, একারণে নানান দেশের পতাকায় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ঈগলের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
এর ৫০ বছর পর ২০০৭ সালে অতি বিপন্ন তালিকা থেকে এদের বাদ দিয়ে সুরক্ষিত ক্যাটাগরিতে এদের রাখা হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম ও বিরল প্রজাতির ঈগল হচ্ছে সার্পেন্ট ঈগল, এদেরকে দক্ষিন নিকোবারে পাওয়া যায়। এদের ওজন মাত্র এক পাউন্ড (০.৪৫ কেজি), তবে ঈগল প্রজাতির মধ্যে এরা সবচেয়ে দ্রুতগামী। বৃহত্তম প্রজাতির বাচ্চা ঈগলের ওজন অল্পদিনের মধ্যে ৮-৯ পাউন্ড (৩.৫-৪ কেজি) হয়ে যায়। একটি মার্শাল প্রজাতির ঈগল ৩৭ কেজি ওজনের হরিণ শিকার করেছিলো। যেখানে ওই প্রজাতির ঈগলের গড় ওজন হয় মাত্র ১০-১২ কেজি। ঈগলের পালকের উচ্চ চাহিদার কারণে অবৈধভাবে প্রচুর ঈগল শিকার করা হয় উত্তর আমেরিকা জুড়ে। অনেকে ঈগল পাখির ছবি ডাউনলোড করার জন্য খুঁজে থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো ঈগল পাখির ছবি সম্পর্কে।
আপনি যদি ঈগলের ছবি খুঁজে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি সহায়ক হবে। এই আর্টিকেলে ঈগলের অসংখ্য ছবি শেয়ার করা হয়েছে। আশা করি ছবিগুলো দেখে আপনার অনেক ভালো লাগবে। বাছাই করা অসংখ্য ঈগল পাখির ছবি শেয়ার করেছি। নিচে দেয়া ছবি থেকে আপনার পছন্দের ছবি নির্বাচন করুন। যেসব পাখির পিকচার কোয়ালিটির হয়, সেসব পিকচার দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আমরা কোয়ালিটি বজায় রেখে যতটা সম্ভব শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। এই আর্টিকেলে শেয়ার করা আপনার পছন্দের ঈগল পাখির ছবি নির্বাচন করে ডাউনলোড করতে পারেন। কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই আপনি খুব সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন।
আজকের এই আর্টিকেলটি নিশ্চই আপনার অনেক উপকারে এসেছে। আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার কোনো ধরনের মতামত থাকলে কিংবা জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি পরিবর্তিতে এ ধরনের আরো বেশি কোয়ালিটির ঈগল পাখির ছবি পেতে চান তা আমাদেরকে জানাতে পারেন। প্রতিনিয়ত এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত পেতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন এবং অন্যান্য আর্টিকেল গুলোও পড়তে থাকুন। ধন্যবাদ। ঈগল পাখির ছবি, বৈশিষ্ট, খাদ্যাভ্যাস, জীবন চক্র সম্পর্কে আরও জানতে নিচে দেওয়া লিংকটি দেখতে পারেন - wikipedia
আইনিউজ/আর
আরও পড়ুন
- ফুল | Flower | Eye News
- বিলুপ্ত প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার; লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত
- সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
- জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্ভিদ প্রজাতির জরিপ করছে সরকার : পরিবেশমন্ত্রী
- টর্নেডো: কি, কেন কীভাবে?
- জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায় ছড়াচ্ছে রোগবালাই
- শুশুক বাঁচলে বেঁচে যায় গোটা জলজ জীবন চক্র
- ফুল ছবি | Flower Photo | Download | Eye News
- ফ্রি ডাউনলোড-গোলাপ ফুলের ছবি
- পটকা মাছ বিষাক্ত কিনা বুঝবেন যেভাবে