জসীম উদ্দীন মাসুদ
প্রকাশিত: ১০:৩৭, ১৭ এপ্রিল ২০২০
আপডেট: ০০:৩৫, ৩১ মে ২০২০
আপডেট: ০০:৩৫, ৩১ মে ২০২০
করোনাভাইরাস দুর্যোগ ও আমাদের শিশুরা
বিশ্ববাসী এখন অতিক্রম করছে করোনাভাইরাস দুর্যোগ নামের এক মহাক্রান্তিকাল। মানুষ তার দৈনন্দিন কাজকর্ম, আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নির্জন হয়ে গেছে ব্যস্ত জনপদ। সন্ধ্যা নামলেই মনে হয় গভীর রাত। সারাটা দিন কাটে আতংকে। প্রতিটা স্পর্শে সীমাবদ্ধতা, প্রতিটা নিঃশ্বাসে ভয়ের হাতছানি। এর আগে কখনো এতটা বিপর্যস্ততা ছুঁতে পারেনি আমাদেরকে। বিশ্ব মোড়লরা ভেবেছিলেন সার্স, মার্স, ইবোলার মতো করোনাভাইরাস মহামারীকেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সহজে। কিন্তু সব চিন্তাভাবনাকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে পৃথিবীর মানবকূলকে ধ্বংস করতে করতে কোভিড-১৯ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্যগতিতে। করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে এখন জ্যামিতিক হারে লাফিয়ে লাফিয়ে।
এই সময়ে আমাদের প্রত্যেকের মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি। শিশুদের মধ্যে যেন মানসিক চাপ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। ভয় ও আতংকের পরিবর্তে তাদের মধ্যে যোগাতে হবে সাহস, শক্তি ও ধৈর্য্য। আমরা অনেকেই নানা ব্যস্ততার কারণে শিশুদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারিনা। তাদের সাথে বন্ধু হয়ে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারিনা। এই সময়টায় আমরা তার সদ্ব্যবহার করতে পারি।
এই মহাদুর্যোগ কোথায় গিয়ে থামবে আমরা কেউ জানিনা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের কোথাও একটা ভাইরাস থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই মহামারী আমাদের পিছু ছাড়বেনা। বাংলাদেশেও আমরা কেউ ভালো নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে আমরা আছি মহা ঝুঁকির মধ্যে। উহানের প্রায় আড়াইমাস পরে দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮ মার্চ। এরপর থেকে প্রতিদিন বিপদ বাড়ছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। প্রতিদিন বাতাস ভারী হচ্ছে মানুষের মৃত্যুতে। চারিদিকে চাপা উত্তেজনা কখন কি হয়! এই দূর্যোগের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যেভরা আমাদের অবুঝ শিশুগুলো কেমন আছে, কেমন কাটছে তাদের দিনকাল ? এসময়ে তাদের প্রতি আমাদের বড়দের করণীয়ই বা কী?
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস হানা দেয়ার এক সপ্তাহের মাথায় ১৭ মার্চ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরপর তিনবার ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হচ্ছেনা। বরং মনে হচ্ছে পরিস্থিতি দিনদিন আরো ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। শিশুদের জীবনে প্রথমবারের মতো পাওয়া দীর্ঘ এই ছুটিতে ঘরের বন্দীজীবনে নিশ্চয়ই তারা হাঁপিয়ে উঠছে।
আশার কথা হচ্ছে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা দিনদিন ব্যাপকহারে বাড়লেও সেই হারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে এর একটা কারণ হতে পারে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসের ফলে বয়স্করা মারা যাচ্ছে বেশি। আরেকটা কারণ হতে পারে, তুলনামূলকভাবে শিশুরা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কম আসে। যদিও কম সংখ্যক শিশু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে তথাপি এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না যে, শিশুরা আসলেই নিরাপদ। চীনে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মের মাত্র ৩০ ঘন্টা পর এক নবজাতকের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাটি বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২ এপ্রিল মাত্র দেড় মাসের একটি শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যুর শূণ্য দশমিক দুই শতাংশ হচ্ছে ০-১৯ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় দেশে প্রথম শিশুর মৃত্যু
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের পটিয়ার প্রথম যে শিশুটির মৃত্যু হলো তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। ১২ এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সর্বনিম্ন বয়স ছিল ৩২ বছর। শিশুটি যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সেটা তার পরিবার বুঝতেই পারেনি। মৃত্যুর মাত্র ২০ মিনিট আগে শিশুটিকে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এর আগে গত কয়েকদিন ধরেই সে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। একজন চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হলে ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় জানা যায়, শিশুটি কোভিড-১৯ পজিটিভ। তখনও শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়নি। গভীর রাতে তার অবস্থার চরম অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে অভিভাবক বা সমাজের কোন দায়িত্ববাহক যদি সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন তাইলে হয়তো শিশুটি বেঁচে যেতো। এই ঘটনাটি আমাদেরকে আরেকটি বিষয়ে সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে তা হলো পরীক্ষার কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে শিশুটির কয়েকদিন আগে পরীক্ষা করতে পারলে হয়তো শিশুটি বেঁচে যেতো। বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৯ জন সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও ইউনিয়নে একজন সচিব, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউডিসি এবং পর্যাপ্ত চৌকিদারও রয়েছে। এদের মধ্য হতে এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে সন্দেহভাজনদের খুঁজে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে জীবনহানি অনেক কমে আসবে। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভাগুলোকেও একইভাবে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। জার্মানী ইউরোপিয়ান দেশ হয়েও করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে এরকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কারণে অনেক সুফল পেয়েছে।
শিশুদের ব্যাপারে আমাদের করণীয়
এসময়ে শিশুদের ব্যাপারে আমাদের অনেক করণীয় রয়েছে। শিশুদেরকে তাদের স্কুলের শিক্ষক এবং ড্রইং, নাচ, গান, অভিনয় ও আবৃত্তি শিক্ষকদের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিতে পারলে তাদের অনেক ভালো লাগবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন’-এ চলছে বিভিন্ন পাঠদান পদ্ধতি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ নামের রুটিনভিত্তিক এই ক্লাস কার্যক্রম অভিজ্ঞ শিক্ষকগণের মাধ্যমে পরিচালনা করছে। একই টেলিভিশনে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চলছে ‘ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রম। এছাড়াও শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য কিশোর বাতায়নে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে বিশেষ লাইভ ক্লাস। উল্লিখিত প্রোগ্রামগুলোতে যাতে শিশুরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানীর মত দেশগুলো কিন্তু এই লকডাউনের ভেতরেও অনলাইনে দাপ্তরিক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি ঘড়িধরা সময় মেনে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমও চালিয়ে নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সকালে ঠিক আগের সময়ে অনলাইনে সাইনআপ করছে, শিক্ষকরা রুটিন মেনে আগের সময়েই ক্লাস নিচ্ছেন, হোমওয়ার্ক দিচ্ছেন, পরীক্ষা নিচ্ছেন, রেজাল্ট দিচ্ছেন এবং প্রাপ্ত মার্ক মূল পরীক্ষার সাথে যোগ হচ্ছে। বাংলাদেশেও অনেকগুলো স্কুল বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে এ ধরণের অনলাইন ক্লাশ শুরু হয়েছে।
ঘরে শিশুর হাতে বই তুলে দেন
ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য শিশুরা এসময়ে ইউটিউবে বিভিন্ন লাইভ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে। ছোটদেরকে সিসিমপুর ও মীনা কার্টুনগুলো দেখাতে পারেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের ওপর কয়েকটি সিসিমপুর ও মীনা সিরিজ নির্মিত হয়েছে। ঘরে থাকা বইগুলো পড়ার জন্য শিশুর হাতে তুলে দেন। ছেলে ও মেয়ে শিশুদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ না করে তাদেরকে সমানভাবে বাসার কাজে অন্তর্ভূক্ত করুন। এতে করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়বে। নবজাতক ও ছোট ছেলেমেয়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবহেলা না করে জন্মের প্রথম সপ্তাহে এবং এরপর প্রতি ছয় সপ্তাহ পরপর শিশুকে নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক, হাসপাতাল অথবা স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে যেতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের বেলায় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অভিভাবকের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
শিশুর মানসিক চাপ না বাড়তে অভিভাবকদের সচেতনতা, গড়ে তুলুন নিবিড় সম্পর্ক
এই সময়ে আমাদের প্রত্যেকের মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি। শিশুদের মধ্যে যেন মানসিক চাপ বৃদ্ধি না পায় সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। ভয় ও আতংকের পরিবর্তে তাদের মধ্যে যোগাতে হবে সাহস, শক্তি ও ধৈর্য্য। আমরা অনেকেই নানা ব্যস্ততার কারণে শিশুদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারিনা। তাদের সাথে বন্ধু হয়ে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারিনা। এই সময়টায় আমরা তার সদ্ব্যবহার করতে পারি।
এসময়ে পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে খেতে বসে পারস্পরিক ভাববিনিময়ে মশগুল হতে পারেন। এতে পাস্পরিক বুঝাবুঝির পরিধি বাড়বে ও পারিবারিক বন্ধন অনেক দৃঢ় হবে। প্রতিদিন যাতে শিশুরা ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ করে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। শিশুদের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠার জন্য বাসায় সবাই মিলে লুডু, দাবা, ক্যারাম খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
প্রতিকূল সময়ে শিশুদের শেখানোর সুযোগ
সবমিলিয়ে সময়টা আমাদের প্রতিকূলে। এই প্রতিকূল সময়ে কিন্তু আমরা এবং আমাদের শিশুদের অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়েছে। ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাসটার বিষয়ে সরকার, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিভিন্ন এনজিও দীর্ঘদিন ধরে বলে আসলেও আমরা তেমন একটা আমলে নেইনি। নিঃসন্দেহে এর গুরুত্বটা এখন আমরা অনুধাবণ করতে পেরেছি এবং সম্ভবত এই অভ্যাসের ধারাবহিকতা আমাদের শিশুদের মধ্যে অক্ষুন্ন থাকবে। খাদ্যদ্রব্য আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিশোধিত করার বিষয়টাও আমাদের শিশুরা অবলোকন করছে। হোটেল-রেস্তোরার বাইরের জাঙ্ক ফুডের চেয়ে ঘরে তৈরি বানানো খাবার যে অনেক বিশুদ্ধ ও সুস্বাদু তার সত্যতা তারা নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছে। বাসায় সবাই মিলে কাজ করার যে আনন্দ সেটাও তারা ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করছে।
ঝড় একসময় নিশ্চয়ই থেমে যাবে
মানুষ তার অজান্তে পরিবেশের যে কতটা ক্ষতি করেছে এই মহামারীতে পরিবেশের সজীবতা, পাখির কলকাকলি, সাগরপাড়সহ নানান জায়গায় বিভিন্ন প্রাণীর উন্মুক্ত বিচরণ আমাদেরকে এবং আমাদের শিশুদেরকে সে সম্পর্কে এক নতুন ধারণার জন্ম দিয়েছে যা পৃথিবীর স্থায়িত্ব বৃদ্ধিরই স্বাক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে। হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসা, হত্যা-রাহাজানি ইত্যাদি আমাদেরকে এক অসহিষ্ণু জাতিতে পরিণত করেছিল। এই করোনাভাইরাস জঙ্গি-সন্ত্রাস-মাদকের ভয়াবহতা কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছে। তবে এই দুর্যোগেও আমাদের শিশুরা দেখেছে ত্রাণ চুরির মহা উৎসব। কথিত চোরের ছবি দেখে প্রতিবাদী হতে দেখেছি তাদের।
মানুষের দম্ভ ও ক্ষমতা মানুষকে অতিমাত্রায় অহংকারী করে তুলেছিল। কিন্তু একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের কাছেও যে আমরা কত নস্যি তা আজ হাড়েহাড়ে প্রমাণ পেয়েছি। এই ঝড় নিশ্চয়ই একসময় থেমে যাবে। করোনামুক্ত হবে এই পৃথিবী। কষ্ট, বেদনা, হতাশা, দুঃখ- এসব শিশুদের ভালো লাগেনা। প্রতিটি শিশুর দেহমন ভরা থাকে অবারিত প্রাণচাঞ্চল্যে। সুস্থ থাকুক পৃথিবীর প্রতিটি শিশু। ওদের জীবনটা আবার রঙিন হয়ে উঠুক।
জসীম উদ্দীন মাসুদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার
আরও পড়ুন
খোলা জানালা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ
সর্বশেষ
জনপ্রিয়