রিপন দে
প্রকাশিত: ২০:৪১, ১১ মে ২০২০
আপডেট: ২০:৪৯, ১১ মে ২০২০
আপডেট: ২০:৪৯, ১১ মে ২০২০
সত্যিকারের বন্ধু- এ এক অন্য পুলিশ
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে হামলা করে হানাদার বাহিনী। সামান্য রাইফেল দিয়ে সেদিন প্রতিরোধ যুদ্ধে নেমে পড়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অবস্থিত পুলিশ বাহিনীর সাহসী ও দেশপ্রেমিক সদস্যরা। অনেক পুলিশ সদস্য সেদিন শহীদ হন এবং অনেকেই আহত হন। দেশের জন্মের বা আত্মপরিচয়ের যে সংগ্রাম ছিল তার প্রথম শহীদ আমাদের পুলিশ বাহিনী। সেই কথা আবার মনে করিয়ে দিলে করোনাভাইরাসের এই সংকটে বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতা। তারা হৃদয় জয় করে নিয়েছে ১৭ কোটি নাগরিকের।
পুলিশ জনগণের বন্ধু এ কথাটি এত দিন কাগজে-কলমে থাকলেও করোনা সংকটের সময় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ দেখেছে তার প্রকৃত পুলিশের রুপ। সুযোগ পেলে পুলিশ কি না করতে পারে তার প্রমাণ তারা দিয়েছেন। পুলিশের এই ভুমিকা প্রশংসিত হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায়েও।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশসহ সবাইকে। পুলিশবাহিনীর এরই মধ্যে কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছে। তারা লাশ দাফন করা থেকে শুরু করে, রোগী টানা পর্যন্ত; সবকিছুই তারা করে যাচ্ছে, (সূত্র: সময় টিভি)।
সরকার প্রধান সবসময় তার বাহিনীকে ধন্যবাদ দেবেন এটা হয়ত সাধারণ দৃষ্টিতে সহজ কিছু মনে হতে পারে। কিন্তু যে বাঙালি যে কোনো ইস্যুতে দুইটি ভাগ হয়ে যায়। তারা একবাক্যে একমত যে বর্তমান সংকটে সবচেয়ে কাছে পেয়েছে পুলিশকে । দেবী দূর্গা যেমন ১০ হাতে কাজ করার প্রতীক, তেমনি পুলিশের ভুমিকাও আমরা সেভাবেই দেখছি। কোথায় নেই পুলিশ?
গত ৪ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ফরিদপুরের আইভি আক্তারের (২২) লাশ দাফন নিয়ে চলে নানা বিপত্তি। স্বামীর বাড়ি রাজবাড়ীতে লাশটি নিয়ে যাওয়া হলে স্থানীয়রা লাশ দাফনে বাধা দেন। পরে আইভির বাবার বাড়িতে লাশ আনা হলে সেখানেও ঘটে এই ঘটনা।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। থানার ওসি মোর্শেদুল আলমের নেতৃত্বে আইভির লাশটি দাফন করা হয় (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ।
অনেকে জায়গায় জানাজা পড়ানোর মতো কেউ না পেয়ে পুলিশকেই জানাজা পড়াতে হয়েছে। রাস্তার অলিগলি থেকে বঙ্গভবন, গণভবন বা আমার ভবন। মসজিদ, মন্দির, গির্জা। সবজি বা মাছের বাজার কোথায় পাহারা দিতে হয় না তাদের? কোথায় নেই তারা?
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছে পুলিশ, করোনায় ভয়ে মাকে ফেলে এসেছে সন্তান সে মাকে আশ্রয় দিয়েছে পুলিশ, ভাড়াটিয়াদের বের করে দিচ্ছে মালিক, তাদের ঘরে তুলে দিচ্ছে পুলিশ। রাস্তায় লাশ পড়ে আছে কিন্ত করোনা সন্দেহে কেউ ধরছে না, সেই লাশ তুলে নিচ্ছে পুলিশ, আপনজন এগিয়ে না আসলেও তারা দাফন করেছে। একটি কুকুর ডুবে মারা যাচ্ছিল, উদ্ধার করেছে পুলিশ। করোনার জন্য শ্রমিক সংকট, কৃষকদের ধান কেটে দিল পুলিশ। করোনার রোগীর বাসা লকডাউন নিশ্চিত করতে পুলিশ। কোনো ধরনের নিরাপত্তা সামগ্রী ছাড়া রাস্তায় রাস্তায় রাত জেগে চেকপোস্টে ডিউটি করছে পুলিশ। পরিবহন সংকটের মধ্যে রাতে গর্ভবতী রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ।
হাসপাতালের অসুস্থ রোগী থেকে মৃত লাশের পাশে, কিংবা করোনায় আক্রান্ত মৃত লাশের সৎকারে, কৃষকের ধান কাটায়। আবার মাঠে-ময়দানে, পাড়া-মহল্লায়, হাটবাজার সবখানে পুলিশ সদস্যরা। করোনার আতঙ্কে অজ্ঞাত লাশের পাশে যখন কেউ নেই, তখন পুলিশকে ওই লাশের পাশে দাঁড়াতে হয়। লাশের দাফনের সব ব্যবস্থা করতে হয়। চাল চুরি হচ্ছে, উদ্ধার করবে পুলিশ। লকডাউন না মেনে বাসার বাইরে যাবেন, ঘরে পাঠাবে পুলিশ। ঘরে বাজার নেই সেই বাজার করে দেবে পুলিশ। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, অপরাধি খোঁজা, স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা, কৃষিতে সহযোগিতা, পণ্য পরিবহনে সহযোগিতা বা করোনা রোগী বহন- এই যে এত সব কাজ তার জন্য কি পুলিশের আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণ ছিল? নেই শুধু দেশ প্রেমের আবেগে তারা আবেগ দিয়েই এক কাজ করেছে।
হয়তো ভাবছেন সবই তাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশে যত দায়িত্ববান প্রতিষ্ঠান বা মানুষ আছেন তাদের কয়জনকে দেখেছেন এই বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে?
অনেক জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত এলাকায় নেই। যে কাজ অন্য সবাই মিলে করার কথা ছিল, তা একাই করে গেছে পুলিশ। উল্লেখিত এই কাজগুলোর বাইরেও পুলিশের আরেকটি কাজ দাগ কেটে মানুষের মনে। সেটা খাদ্য সহয়াহতা। নিজেরা খাদ্যসামগ্রী সংগ্রহ করে সারা দিনের ডিউটি শেষ করে তারা রাতের বেলা মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রতিটি থানা যেন ত্রাণ সয়াহতা কেন্দ্র।
এ কাজগুলো করতে একজন পুলিশকে কত সময় দায়িত্বের বাইরে গিয়েও ডিউটি করতে হয়েছে, সেই আমাদের ধারণা আছে? আমাদের ধারণা সরকারি চাকরি মানেই ঘড়ি দেখে ডিউটি। কিন্তু এই একটি জায়গা যেখানে বছরের পর বছর ঘড়ি না দেখেই কাজ করতে হয়।
বর্তমান সংকটে অমানুষিক পরিশ্রম করেছে পুলিশ। কখনো ১২ ঘণ্টা, কখনো ১৬ আবার কখনো ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ডিউটি করতে হচ্ছে। মোটা কাপড়ের ইউনিফর্ম পরে, ঘামে ভিজে, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত । যদিও আমরা সারা বছরই দেখেছি, যখন আমরা পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করি, পূজা করি তখন পুলিশের সদস্যরা থাকেন আমাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে। আমাদের আনন্দ দেখেই তাদের আনন্দ আসে। চলমান লকডাউনে আমরা যখন ঘরে থাকতে থাকতে বিরক্ত। রাত জেগে সামাজিক মাধ্যমে সময় কাটাচ্ছি, সে সময় আমাদের নিরাপত্তা দিতে সারা রাত কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
এতসব কাজ করতে গিয়ে পুলিশকে মূল্য দিতে হয়েছে। একক বাহিনী হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বাংলাদেশ পুলিশ। কয়েকজন সদস্য জীবনও দিয়েছেন।
করোনাযুদ্ধে মারা গেলেও দমে যায়নি তারা। মাঠপর্যায়ে মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। মানুষকে সেবা দিয়ে চলেছে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে পুলিশের প্রতিটি সদস্য সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখাসহ সব ধরনের কাজ করছেন।
বলতে দ্বিধা নেই, বছরের অনেকটা সময় পুলিশ শিরোনাম হয় বিভিন্ন বিতর্কিত কাজে। তবে এ বিষয়টাকেও স্বাভাবিকভাবেই দেখা উচিৎ। এখানে পুলিশের দায় নয়, দায় ব্যক্তির। বাংলাদেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে এই মন্দ মানুষগুলো নেই। জনপ্রতিধিদেরও আমরা সংকটের সময় চাল চুরির কাজে লিপ্ত হতে দেখছি।
তবে বর্তমানে আমরা এক অন্য পুলিশ দেখেছি। এই পুলিশ থাকুক আমাদের পাশে সবসময়। যদিও পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমদ কথা দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন দিয়ে লড়াই করে যাবে পুলিশ (যমুনা টিভি)। এর প্রমাণ আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি।
আমি জানি না কোনো এক অজানা কারণে বেশিরভাগ মানিষ পুলিশকে কারণে–অকারণে অপছন্দ করে। তাদের নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা করতে ভালবাসেন। পুলিশ ঘুষ খায়, কাজ করে না, নীতিবান না- কত কিছু। আচ্ছা করোনা বা রমজানকে ঘিরে দেশের লাখ লাখ ব্যবসায়ী যে বাণিজ্য করল সেটা কি নীতির মধ্যে পড়ে?
আপনার কি ধারণা আছে একজন পুলিশ সদস্যকে কীভাবে কষ্টে দিনে পর দিন কাটাতে হয়? ভালো থাকার ব্যবস্থা নেই, খাওয়ার ব্যবস্থা নেই ঘুম নেই। এমনও হয় ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করে শুধু বিছানায় হয়তো গেছেন এর মধ্যে অন্য একটি ঘটনা ঘটেছে, আবার তাকে দৌড় দিতে হয়। এই যে কাজের চাপ তার বিনিময়ে আমরা কী দিচ্ছি? এক পুলিশ সদস্য যদি তার সন্তানকে ভালো একটা স্কুলে পড়াতে চায়, তার সামর্থ্য কি আমরা করে দিচ্ছি?
বিবেকের বাইরে গিয়ে আমরা দোষ খুঁজতে খুঁজতে পুলিশকে অন্য জগতের বাসিন্দা বানিয়ে দিয়েছি, কিন্তু এখন সময় এসেছে সে ধারণা বদলে দেবার। চলমান সংকটে পুলিশ যে ভালোবাসা দেখিয়েছে আমাদের উচিৎ সেই ভালোবাসা ধরে রাখা। সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বুকে আগলে রাখার।
একজন পুলিশ সদস্যের জীবনের সাহসিকতার গল্প আমরা যতটা আনন্দের সাথে পড়ি । তেমনি বিড়ম্বনা, চাওয়া না পাওয়া নিয়ে কি আমাদের সে আগ্রহ আছে?
যেখানে আমাদের পুরো সিস্টেমটাই উল্টোপথে, সেখানে শধু পুলিশে সমালোচনা করবেন, নাকি একবার তুলনা করে দেখবেন পুলিশে শ্রম আর কাজের পরিমাণ?
আমাদের পুলিশ আটকে আছে রাজনীতির কালোথাবার ভেতরে। এই পুলিশ যদি স্বাধীনভাবে কাজ করে দেশের চেহেরা বদলে যাবে। কিন্তু আমরা কী তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিই?
আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধি ও আমলারা দুর্নীতি করেন। তাদের এই কাজের জন্য কিছু সহযোগীর প্রয়োজন হয়। এই সহযোগীরা তাদের আশ্রয়ে হয়ে ওঠে বেপরোয়া। এদের নিরাপদ রাখতে তারা পুলিশকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেন না বরং হস্থক্ষেপ করেন । একেকজন পুলিশ অফিসারের প্রতিদিন এভাবে কতটা আবদার সামলাতে হয় তা হয়তো আমরা জানি না বা জানলেও তা মানতে চাই না। আমাদের পচে যাওয়া রাজনীতি যেদিন সৎ পথে আসবে সেদিন পুলিশ নয় শুধু প্রতিটা প্রতিষ্ঠান সৎ হয়ে উঠবে। টাকা বানানোর রাজনীতি কোনো দিন মানুষের কল্যাণের রাজনীতি নয়।
ব্যক্তিস্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে বারবার পুলিশকে ব্যবহার করা হয়, কই আমরা কি তাতে বাধা দিতে পেরেছি? তাদের নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এই যে পুলিশের এত সমালোচনা আমরা করি । আমরা নিজেদের কাজটা কি ঠিক মত করছি? আমাদের পুলিশের এত চাপ, কাজ সামলাতে হচ্ছে কেন?
লকডাউন মানাতে পুলিশকে আসতে হবে কেন, ভাড়াটিয়াকে ঘরে তুলতে পুলিশকে আসতে হবে কেন? সৎ নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য কি আমরা কখনো ভেবেছি? আমাদের কাজ যে পুলিশ করে দিতে হচ্ছে সেটা তো লজ্জার। আর নিজে লজ্জিত হয়ে অন্যের দোষ ধরা হীনম্মন্যতা। তাই আসুন নতুন দিনের এই পুলিশকে ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার চোখ দিয়ে তাদের দিকে তাকাই। সবাই মিলে বদলে দিই সমাজ এবং দেশ।
৪ এপ্রিল টাঙ্গগাইলে “মা তুমি এই বনে একটি রাত থাকো, কাল এসে তোমাকে আবার নিয়ে যাব’ এ মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ৫০ বছর বয়সী এক নারীকে শাল-গজারির বনে ফেলে যায় ছেলে ও মেয়েরা। পরে রাত দেড়টায় পুলিশ সে নারীকে উদ্ধার করে (দৈনিক ইনকিলাব)।
পুলিশ সদস্য মো. বাহাউদ্দিন, একাই এখন পর্যন্ত ৮০ জন রোগী হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। সাহরি খেয়ে ফজরের নামাজে পড়ে সহকর্মী সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের নিয়ে সেবা শুরু হয় তার। এরপর সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পরও ফুরসত নাই তার। এভাবে বিরামহীনভাবে এ পর্যন্ত প্রায় ৮০ জন করোনা রোগীকে নিজের হাতে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি। তাদের অনেকেই এখন সুস্থ, (দৈনিক কালের কন্ঠ)।
চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ৪০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রাতে শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে দাফন করতে গেলে গ্রামবাসীর বাধা দেয়। পরে চাঁদপুরের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার দাফন হয়। এই পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই কবর খোড়েন, (প্রথম আলো)।
এই সংকটে কত কত পুলিশ অফিসার ঘরে ফিরতে পারছেন না শুধু আমাদের ভালবেসে। জাগো নিউজের একটি প্রতিবেদনে দেখেছিলাম, শ্রীমঙ্গলের সার্কেল অফিসার সারা দিনের কাজ শেষে রাতে ত্রাণ নিয়ে বাড়ি বাড়ি যান। সেখান থেকে যখন বাসায় যাবেন তখন মনে চিন্তা আসে, আমি কি পরিবারের জন্য জীবাণু বহন করে নিয়ে যাচ্ছি? তিনি জানিয়েছেন, সারা দিনের ডিউটির মধ্যে তিনি আর বাসায় ফেরেন না। রাতে একসাথে সব কাজ শেষ করে ফেরেন। বাসায় গিয়েও ছোটো ছেলেটাকে কোলে নেন না ভয়ে। যতটা সম্ভব দুরুত্ব বজায় রেখে রাত কাটিয়ে আবার পরের দিনের কাজ শুরু করেন ।
এভাবে শত শত থেকে হাজার হাজার পুলিশ অফিসার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সদস্যরা মানুষকে সামাজিক দূরত্ব মানতে উৎসাহ দিলেও নিজেরা থাকছেন ঝুঁকির মধ্যেই। পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যা অনেক পুরাতন। এত না পাওয়ার মাঝে পুলিশ যে সেবা দিচ্ছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হয়ে বলতে চাই ধন্যবাদ বাংলাদেশ পুলিশ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সম্মুখ যোদ্ধাদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সত্যিই পুলিশ সারা বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করে যাচ্ছে। ধন্যবাদ পুলিশবাহিনীকে।
রিপন দে: বার্তা সম্পাদক, আইনিউজ।
আরও পড়ুন
খোলা জানালা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ
সর্বশেষ
জনপ্রিয়