আব্দুল করিম কিম
প্রকাশিত: ১৯:০১, ৪ জুন ২০২০
আপডেট: ১৯:০২, ৪ জুন ২০২০
আপডেট: ১৯:০২, ৪ জুন ২০২০
বিপন্ন সময়ের মানবিক উদ্যোগ
লড়াইয়ের সাথীরা মনে রেখেছেন। অসমাপ্ত লড়াইয়ে কেউ থেমে গেছেন। কেউ পথ হারিয়েছেন। কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন। কেউ এখনো ঘোলা চোখে স্বপ্ন দেখছেন। নব্বই দশকের বিশ্ব বাস্তবতায় খেই হারিয়ে ফেলা কমরেড জালাল। সদ্য বিদায় নিয়েছেন। একসাথে মিছিলে হাঁটা দিন বদলের স্বপ্ন দেখা সহযোদ্ধারা প্রয়াত জালালের জন্য একজোট হয়েছেন। তাঁর বিপন্ন পরিবারকে সহায়তা করবেন। তাঁদের এই উদ্যোগে পাশে থাকার থাকছি।
একটা আর্থিক পরিকল্পনা করা হয়েছে বিপন্ন এ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। যারা পারেন, অর্থ সাহায্য দেবেন। সহানুভূতি আর ভালোবাসা দিয়ে অনেকেই পাশে থাকবেন আশা করছি।
সাম্যবাদের স্বপ্ন নিয়ে পথহাঁটা মানুষগুলো পথ হারালেও নিজের একজনই মনে হয়। এ নিয়ে সাংবাদিক ইব্রাহীম চৌধুরী খোকন লিখেছেন, আশির দশকের শেষ। নব্বই দশকের শুরুর দিনগুলো। দেশের পরিবেশটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো। মনে রাখতে হবে সদ্য স্বাধীন দেশের মাত্র এক দশকের মধ্যের ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধের রক্তাক্ত মাঠ পেরিয়ে আমাদের সদ্য যৌবনে পদার্পণ। দেশ, সমাজ নিয়ে স্বপ্নবিলাসী আহ্বানে বিভোর আমাদের সময়। বাতাসে তখনও লাশের গন্ধ। কৃষকের লাঙলের ফলায় টক করে বাঁধছে দেশ স্বাধীন করতে যাওয়া কোন অজানা মুক্তিযোদ্ধার হাড়। বিশ্বজুড়ে তখনকার রাজনৈতিক ডামাডোলও ভিন্ন। সামাজিক সাম্যের আহ্বান। ইউরোপ, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে বিশ্বের সর্বত্র লড়াকু মানুষের মুক্তির বার্তা, ভিন্ন এক লড়াইয়ের আহ্বান!
প্রাক যৌবনের সে বার্তা আমাদেরও মাতাল করেছিলো। নিজেকে উৎসর্গ করার এ আহ্বান আমাদের যেমন উন্মাতাল করেছিলো, আমরাও একসময় সে আহ্বানের ফেরিওয়ালা হয়ে উঠি। দলে দলে বেপরোয়া যুব তরুণের যূথবদ্ধতার সময় তখন। সময়ের অগ্রসর যুব তরুণের এমন একজন জালাল উদ্দিন। খেলার মাঠ থেকে জালালদের মতো যুব তরুণ আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সময় তখন। সব সখীরে ডাক দেয়ার স্লোগান দিতাম। ডাক শুনে যোগ দেয়া মিছিলের প্রিয় মুখ জালালের স্বপ্নও অভিন্ন ছিলো।
মিছিল অনেক আগেই থমকে গেছে। স্বপ্নেরা ঝরে গেছে। মিছিলের মুখেরা যে যার পথে হারিয়ে গেছে। কেন এমন হয়েছে? সে প্রশ্নের বহু উত্তর। বহু ব্যাখ্যা। বহু অপবাদ। সব থমকে গেলেও সময়টা ব্যর্থ হয়ে যায়না। সময়ের খাঁটি মানুষগুলোর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা একেবারে নিষ্ফল হয়ে যায় না। যেতে পারেনা।
কলেজের কদমতলায় দাঁড়িয়ে এক যুবকের মুখ দিয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বেরুতো। আমার মতো দ্রুত উত্তেজিত না হওয়া লোকেরও উত্তেজনার বাঁধ ভেঙেছে বারবার। তখনকার সেই যুবক ছাত্রনেতা মারুফ আহমেদ জালালকে নিয়ে লিখেছেন।
খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আরও পড়ুন
খোলা জানালা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ
সর্বশেষ
জনপ্রিয়