জসীম উদ্দীন মাসুদ
আপডেট: ১২:৪৬, ১৭ অক্টোবর ২০২০
সঠিকভাবে হাত ধুতে পারলেই বাঁচবে লক্ষ শিশুর প্রাণ
‘খাবার গ্রহণ করার আগে দেশের মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকে। খাবার তৈরি ও পরিবেশনের আগে হাত ধুতে মাত্র ৩৬ ভাগ মানুষ সাবান ব্যবহার করছে। মলত্যাগের পর হাত ধোয়ায় সাবান ব্যবহার করছে ৫৫ ভাগ’- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ন্যাশনাল হাইজেনিস সার্ভে-২০১৯’ প্রতিবেদন যখন এরকম হতাশাজনক পরিস্থিতির অবতারণা করছে তখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস।
প্রত্যেক পরিবারে শিশুসন্তানদের ছোটবেলা থেকেই মলমূত্র ত্যাগের পরে ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। অনেক শিশুর অকারণে আঙুল চোষা, এমনকি স্থান-কাল ও বয়স নির্বিশেষে অনেকেরই যখন-তখন চোখ, মুখ, কান, নাকে হাত দেয়া ও ঘষা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়গুলো যেমন শিষ্টাচারবহির্ভূত, একই সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যও হুমকিস্বরূপ। সাবান দিয়ে শুধু হাত ধুলেই চলবে না, এ ধরনের দৃষ্টিকটু বদঅভ্যাস থেকেও সম্ভবত এবার বেরিয়ে আসা যাবে।
মানবজাতির ইতিহাসে জীবনরক্ষাকারী অন্যতম বড় আবিষ্কার ‘হাত ধোয়া’
শুনতে অবাক লাগলেও একথা সত্যি যে, মানবজাতির ইতিহাসে যতো বড় বড় জীবনরক্ষাকারী আবিষ্কার হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘হাত ধোয়া’। ১৮৫০ সালে ব্যাপারটা প্রথম জনপ্রিয় হতে শুরু করে এবং তারপর থেকে মানুষের প্রত্যাশিত আয়ু বাড়তে থাকে। প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর সারাবিশ্বে হাতধোয়া দিবস পালন করা হয়ে থাকে। জনসাধারণের সঠিক পদ্ধতিতে হাতধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ করার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে বিশ্ব হাত ধোয়া অংশীদার (GHP) ২০০৮ সালে সুইডেনের স্টকহোমে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস চালু করেছিল। তখন চলছিল বিশ্ব পানি সপ্তাহ এবং একই সাথে ২০০৮ সালটি ছিল স্বাস্থ্যব্যবস্থার আন্তর্জাতিক বর্ষও। প্রথমবার দিবসটি পালনে বিশ্বব্যাংকের পানি ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রোগ্রাম, ইউনিসেফ, ইউনিলিভার, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র, প্র্যাক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল ইত্যাদি সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দিবসটি প্রতি বছর গুরুত্বের সাথে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সঠিক নিয়মে হাত ধোয়া
সাবান দিয়ে হাতধোয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের একটি পরিমাপক। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যচর্চার মাধ্যমে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সঠিক সময়ে ও সঠিক ভাবে হাতধোয়ার অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে বেশকটি প্রাণঘাতী রোগ থেকে বিশেষ করে ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, টাইফয়েড কৃমিরোগ, জন্ডিসসহ প্রায় ২০টি রোগের প্রকোপ থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যাবে। সাবান দিয়ে দু’হাত ভালোভাবে কচলিয়ে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ছয় ধাপে হাত ধোয়া সম্পন্ন করলে জীবাণুমুক্ত হওয়া যায় মর্মে অভিজ্ঞজনরা মতামত ব্যক্ত করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার অভ্যাস একটি ভালো ভ্যাকসিনের চেয়েও বেশি কাজ করে। নিয়মিত হাত ধোয়ার ফলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ হবার সম্ভাবনাও ৬ থেকে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা আমাদের হাত দিয়ে অসংখ্য কাজ করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে আমাদের হাত অসংখ্য জীবাণুর সংস্পর্শে আসে, যার ফলে নানা রোগ হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের মল হচ্ছে ডায়রিয়ার জীবাণুর প্রধান উৎস। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিবছর ৫ বছরের নিচে প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন শিশু ডায়রিয়ায় বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে, যার শতকরা বেশিরভাগ শিশুই উন্নয়নশীল দেশগুলোর। অথচ নিয়মিত দিনে অন্তত পাঁচবার সঠিক নিয়মে হাত ধুয়ে এই মৃত্যুর হার প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে শিশুদের ডায়রিয়া কমে শতকরা ৩২ ভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষায় ৩২ ভাগ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে ২৫ ভাগ আর সঠিক নিয়মে হাত ধুলে কমে ৪৪ ভাগ। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ি, বিশ্বে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় মারা যায় সবচেয়ে বেশি শিশু। নিয়মিত হাত ধোয়ার মাধ্যমে তাদের বড় একটি অংশকে এসব রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। দুঃখজনক হলেও সত্য খাবার ও পানির মাধ্যমে যেসব রোগ ছড়ায়, তার প্রতি চারজনের একজন আক্রান্ত হন শুধু হাত না ধোয়ার কারণে।
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস
২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত এই দিনটিকে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস হিসেবে পালন করা হলেও এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন হওয়ায় এর যথার্থতা সকলের সম্মুখে উন্মোচিত হয়েছে। কেন হাত ধোয়া জরুরি, সেটা এ বছর সকলেই বুঝে গেছেন করোনাভাইরাসের কারণে। আর তাই হাত ধোয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে, ‘হ্যান্ড হাইজিন ফর অল’- যার বাংলা অর্থ করা হয়েছে ‘সবার হাত সুস্থ রাখি’। করোনাভাইরাস আমাদের চোখ, নাক ও মুখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। কিন্তু জীবাণুদের জায়গামতো পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করে আমাদের প্রিয় দুটি হাত।
বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় হাত ধোয়া
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক যৌথ প্রতিবেদনে সংক্রমণ থেকে বেঁচে থাকার অন্যতম উপায় হিসাবে হাত ধোয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অথচ এখনও বিশ্বের ৪৬ কোটি ২০ লাখ শিশু হাত ধোয়ার মৌলিক উপাদান সাবান ও পানি থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। অনেক দরিদ্র দেশে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার সুযোগ-সুবিধা আছে মাত্র ২৭ ভাগ মানুষের। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের অনুমান হলো, পৃথিবীর প্রায় ৩০০ কোটি লোকের বাড়িতে সাবান এবং পানি কোনটাই নেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে উচ্চ-আয়ের অনেক দেশে যেখানে এগুলোর অভাব নেই - সেখানেও বাথরুমে যাবার পর সাবান-পানি ব্যবহার করে মাত্র ৫০ শতাংশ লোক।
কোভিড-১৯ থেকে হাত ধোয়ার শিক্ষা
কোভিড-১৯ মহামারি আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে, যে দেশে হাত ধোয়ার সংস্কৃতি যত ভালো সে দেশ করোনাভাইরাস থেকে ততটা মুক্ত। প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়ে পশ্চিমা দেশের জনগণ যারা সাবান ছুঁতেও চাইতো না তাদের অনেকেই হাত পরিষ্কার করার জন্য ৩৬০ পাউন্ড খরচ করেছে একটি স্যানিটাইজার কেনার জন্য। আলস্য অথবা মানসিক কারণে যারা সাবান পানি দিয়ে হাত ধুইতে চাইতো না তারাও জীবন বাঁচাতে এবার হুমড়ি খেয়ে পড়েছে পরিবারসহ হাত ধোয়া অভিযানে।
মেয়েরাই হাত ধোয়ায় এগিয়ে
একটি ভালো দিক হচ্ছে, বিশ্বে পুরুষদের চেয়ে মেয়েরাই হাত ধোয়ার ব্যাপারে এগিয়ে আছে। যুক্তরাজ্যে কোভিড -১৯ সংক্রমণের পর এক জরিপে দেখা গেছে, ৫২ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৫ শতাংশ মহিলা নিয়মিত হাত ধুচ্ছেন। এই ব্যাপারে মেয়েরা সিরিয়াস হওয়ায় পুরো পরিবারের জন্যে তা কল্যাণকর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কারণ শিশুদের লালনপালন, গৃহস্থালী কাজ থেকে শুরু করে পরিবারের অধিকাংশ কাজ নারীদের হাতেই সম্পাদিত হয়ে থাকে।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়া
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য হল, সব দেশের মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার আওতায় নিয়ে আসা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা। প্রথমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পেইনের মূল টার্গেট হলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যে বিশ্বজুড়ে সব বয়সী মানুষের মধ্যে সাবান দিয়ে সঠিকভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধের মাধ্যমে শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনাই এ প্রচারণার অন্যতম উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
খাওয়ার আগে হাত ধোয়া
প্রত্যেক পরিবারে শিশুসন্তানদের ছোটবেলা থেকেই মলমূত্র ত্যাগের পরে ও খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। অনেক শিশুর অকারণে আঙুল চোষা, এমনকি স্থান-কাল ও বয়স নির্বিশেষে অনেকেরই যখন-তখন চোখ, মুখ, কান, নাকে হাত দেয়া ও ঘষা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়গুলো যেমন শিষ্টাচারবহির্ভূত, একই সঙ্গে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যরক্ষার জন্যও হুমকিস্বরূপ। সাবান দিয়ে শুধু হাত ধুলেই চলবে না, এ ধরনের দৃষ্টিকটু বদঅভ্যাস থেকেও সম্ভবত এবার বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।
নিরাপদ পানি
হাত ধোয়ার জন্য নিরাপদ পানি দরকার। ওয়াসা বা সাপ্লাইয়ের পানি, কনটেইনারের পানি, জারের পানি, বিভিন্ন কোম্পানির পরিশোধিত পানি যখন আমাদের হাতে আসে তখন তা কতটুকু নিরাপদ তা সবসময় আমাদের কাছে প্রশ্নবোধক হয়ে থেকেছে। অনেকের বাসাবাড়িতে দাওয়াত অনুষ্ঠানে ক্রোকারিজ, কাটলারিজ না ধুয়ে ন্যাকড়া দিয়ে মুছে টেবিলে দেয়া হয়, এতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাহাত্ম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খাবারের সঙ্গে অজস্র জীবাণু আমাদের শরীরে ঢুকছে। তাই খাবার পরিবেশনের আগে অবশ্যই থালা-বাসন ভালোভাবে ধুতে হবে।
অনেক জায়গায় আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা হয় না। প্রায়শই দেখা যায় ওভারহেড ট্যাঙ্কি খোলা থাকে। কাকপক্ষীর বিষ্ঠা, এদের পালক ও মুখে বয়ে বেড়ানো আবর্জনা অনেক সময় সেখানে পড়ছে। বিভিন্ন রোগ-জীবাণু, ময়লা সাপ্লাই পানিতে নানাবিধ ঝুঁকি নিতে নিতে যেন আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এ পানি ব্যবহার করার কারণে অনেক ক্ষেত্রে তা জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রস্রাব-পায়খানার পর পানি ব্যবহার
সম্প্রতি ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় এর কার্যকারিতা নিয়ে খোদ পশ্চিমা দেশগুলোতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রস্রাব-পায়খানার পর পানি ব্যবহার না করলে শরীরের জমে থাকা ময়লা ও বর্জ্য নানা রোগের জন্ম ও বিস্তারে সহায়তা করে। টিস্যু পেপার, টয়লেট টিস্যুতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কেমিক্যাল শরীরে চর্ম ও পায়ুপথে বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়। শৌচকর্মের পর পানির ব্যবহার শুধু বিভিন্ন রোগ-জীবাণু থেকে রক্ষাই করে না; শরীরের গোপন অংশের উষ্ণতায় ভারসাম্য আনয়নেও ভূমিকা রাখে। এটি অপবিত্রতা থেকেও আমাদের রক্ষা করে।
ছোটবেলা থেকে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা
ছোটবেলা থেকে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে জার্ম প্রটেকশন সোপ ব্র্যান্ড ‘লাইফবয়’ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের জন্যে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ব্র্যান্ডটি ইতোমধ্যে ১ কোটি ১১ লাখ শিশুকে সঠিকভাবে হাত ধোয়া শিখিয়েছে। দেশের অন্যান্য কোম্পানিগুলোও যদি এভাবে এগিয়ে আসে তবে হাত ধোয়ার কাভারেজ শতভাগে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। তাছাড়া স্থানীয় প্রশাসন বা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমেও তৃণমূল পর্যায়ে এসব কর্মসূচি সুফল বয়ে আনবে।
অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দায়িত্বশীলতার পরিচয়
২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে প্রতিবছর প্রাথমিক স্যানিটেশন সুবিধা ৩ দশমিক ১ শতাংশ হারে বেড়েছে। ২০১৫ সালে যেখানে ৩৮ শতাংশ স্কুলে এই সুবিধা ছিল, ২০১৯ সালে সেটি ৫১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখন অবশ্য পল্লী অঞ্চলেও সব পরিবারে অন্তত একটি হলেও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট পাওয়া যায়। স্যানিটেশন কভারেজের ক্ষেত্রে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো অপেক্ষা অনেক বেশি এগিয়ে আছি। এটাকে ধরে রাখতে হবে, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এগুলো প্রচার করতে হবে। সর্বোপরি ২০৩০ সালের অভীষ্ট উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সকল ক্ষেত্রে অধিকতর দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
জসীম উদ্দীন মাসুদ, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, মৌলভীবাজার
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ