ইমতিয়াজ মাহমুদ
আপডেট: ১৪:১৮, ১১ নভেম্বর ২০২০
এই অন্যায়টা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও হয়
(১)
এই অন্যায়টা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও হয়। সংখ্যালঘু লোকজন- যাদের জীবনধারণের ধরন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন, ভাষা ধর্ম বা গানবাজনা এইসব সংখ্যাগুরু মানুষের সাথে মিলে না- ওদেরকে ওদের নিজ ভূমি থেকে জোর করে উৎখাত করে পর্যটন অবকাঠামো তৈরি করা হয়। উন্নয়নের নামে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেঁচে থাকার উপায়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপায় সব ধ্বংস করে ওদেরকে নিঃস্ব করে ফেলা হয়।
আপনি হয়তো বেড়াতে গেলেন থাইল্যান্ডে, ছোট একটা দ্বীপে বিশাল রিসোর্টে আরাম করে খাচ্ছেন পান করছেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন, রিসোর্টের পাশেই ওদের নিজেদের প্রাইভেট সমুদ্র সৈকত- সেখানে স্ত্রী বা প্রেমিকা বা ভাড়াকরা প্রেমিকা নিয়ে জলকেলি করছেন। অথবা বিশাল ইনিফিনিটি পুলে গা ডুবিয়ে আয়েস করছেন বা পুলের পাশে লম্বা চেয়ারে একটা বই হাতে নিয়ে শুয়ে আছেন। ইশারা করলেই চলে আসছে আপনার পছন্দমতো ককটেইল বা হালকা কুড়মুড়ে খাবার। ডিনারের জন্যে আপনি সেখানে চাইলেই পেতে পারেন সদ্য ধরে নিয়ে আসা বিশাল বিশাল সব চিংড়ি বা অন্য যে কোন মাছ।
আপনি হয়তো জানেন না, আপনি যেখানে এইরকম আরাম আয়েস করছেন সেইখানে এইতো কয়েক বছর আগে মাত্র মুসলিম ধর্মাবলম্বী জেলে সম্প্রদায়ের বাস ছিল। আপনি যখন রিসোর্টে বসে ক্লিক ক্লিক করে সেলফি খিঁচছেন, ঠিক সেই সময়ই হয়তো নিজেদের ভূমি হারিয়ে পূর্বপুরুষের পেশা হারিয়ে উদ্বাস্তু বনে যাওয়া উদ্বাস্তু পরিবারগুলির ব্যাটাছেলেগুলি ব্যাংককে বা অন্য কোন বড় শহরে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। আপনি যখন সন্ধ্যায় রিসোর্টের বারে বা ডিসকোতে পান করে উল্লাসে মত্ত, তহিঁ সেই সময়ই হয়তো ঐখান থেকে উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া পরিবারের মেয়েরা গালে রঙ মেখে অন্য কোন শহরে রাস্তায় নিজের শরীর বিক্রির জন্যে দাঁড়িয়েছে।
এইটা কোন কাল্পনিক দৃশ্যপট নয় বা অতি পুরনো কোন গল্প নয়। এই তো কয়েক বছর আগে যেবার সর্বগ্রাসী সুনামিতে থাইল্যান্ডের দ্বীপ ও উপকূলের লোকজন বাড়িঘর ভেসে গেল, তার পরপরই থাই সরকার পর্যটন শিল্প পুনর্গঠন ও বিস্তারের নীতি নিয়েছে। সেই অনুযায়ী দ্বীপগুলি থেকে কয়েক হাজার পরিবারকে উৎখাত করে দিয়েছে। শত শত বছর ধরে পুরুষানুক্রমে ওরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। ওদের হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেছে, যাও। ওরা অন্য শহরে গিয়ে না পারছে নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে না পারছে কোন কাজ কর্ম জুটিয়ে নিয়ে। অভাবে অনটনে রোগে ভুগে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছে এই পরিবারগুলি।
সাংস্কৃতিক ভিন্নতার স্বীকৃতি মানে কি? সাংস্কৃতিক ভিন্নতার একটা দিক হচ্ছে এইটা- যে আমরা যেভাবে জমির মালিকানা নির্ধারণ করি, ওদের ভূমিতে মালিকানা সেইভাবে নির্ধারণ হবে না। সংখ্যাগুরুকে এইটা স্বীকার করতে হবে এবং এই স্বীকৃতিটা সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের চিন্তায় স্থাপন করতে হবে। এইটা যদি আমরা না করতে পারি তাইলে আমরা চিরদিন আমাদের দেশের সংখ্যালঘু এবং সাংস্ক্রিতিকভাবে ভিন্ন যেসব জনগোষ্ঠী আছে ওদের সাথে অন্যায় করতেই থাকবো। আমাদের সরকার বা প্রশাসন কেবল নয়, জনগণের মধ্যে এই বোধটা থাকতে হবে- যে না, পাহাড়ের জমির মালিকানা নোয়াখালী বা রাজবাড়ীর জমির মালিকনার স্টাইলে নির্ধারিত হবে না। এইটা মোগল আমলেও হয়নি, ইংরেজ আমলেও হয়নি। ওখানকার বিধান স্বতন্ত্র।
(২)
সেইসব এলাকায় এখন হয়েছে বিশাল বিশাল গলফ কোর্স- ঐ যে বাংলায় বলে না, নয়নাভিরাম! সেরকম। আপনি গলফ খেলতে না পারলেও নিতান্ত ঘুরাঘুরির করেও বা ওদের খাবার জায়গাগুলিতে বসে একটা ড্রিঙ্ক নিয়েও কাটিয়ে দিতে পারবেন অনেক সময়। ট্যুরিস্টদেরকে নিয়ে যায় সমুদের গভীরে, তিমি দেখানোর জন্যে। রয়েছে ফেরি সেবা, এয়ারপোর্ট করেছে ওখানে- হয়তো কোন কাজে গেছেন কলম্বো, সেখান থেক চট করে উড়ে যেতে পারবেন ঐসব পর্যটন বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে।
কিন্তু ঐখানে যে তামিলরা আগে ছিল, বাস করছিল সেখানে শত শত বছর ধরে, ওদের কি হয়েছে? ওরা যে সেখানে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত, সেইসব গরীব তামিলদের কি হয়েছে? শ্রীলঙ্কার মিলিটারিরা ওদেরকে উৎখাত করে দিয়েছে। আর এই যে বিশাল বিশাল অত্যাধুনিক সব রিসোর্ট, হোটেল, পর্যটন অবকাঠামো এইসবের মালিক কে? শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী অথবা ওদেরই কোন কোন প্রতিষ্ঠান।
(৩)
এইরকম অন্যায় অত্যাচারের অনেক উদাহরণ আমি দিতে পারি। উত্তর আমেরিকায়, অস্ট্রেলিয়ায়, নিউজিল্যান্ডে এইসব দেশে এইরকম আদিবাসী মানুষদেরকে উৎখাত করে পর্যটন অবকাঠামো বানানোর অনেক ঘটনা আছে। কিন্তু ঐসব দেশে এখন আর এইরকম গায়ের জোরে উৎখাতের ঘটনা ওরা চট করে করতে পারে না। অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন এইরকম নিজ ভূমি থেকে আদিবাসীদের উৎখাতের ঘটনা বেশী ঘটে এইদিকে, থাইল্যান্ডে, লাওসে, ভারতে, চীনে- এইসব আমাদের রিজিওনে। টুরিস্টদের আকর্ষণও এখন নানা কারণে এইদিকেই বেশী। আফ্রিকাতেও মানুষকে এইরকম ভূমি থেকে উৎখাতের ঘটনা ঘটেছে অনেক।
সুতরাং সংখ্যালঘু আদিবাসী বা ট্রাইব বা মাইনরিটি অন্য অন্য যে নামেই ডাকেন- এই জনগোষ্ঠীগুলি সংখ্যাগুরুর হাতে নির্যাতিত হয় পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র। প্রতিদিনের জীবনযাপনে বৈষম্যের শিকার হওয়া সেই সমস্যা তো একটা আছেই- এছাড়া মুল যে দুইটা সমস্যা আদিবাসীদেরকে সবখানে মোকাবেলা করতে হয় সেগুলি হচ্ছে নিজের ভূমি থেকে উৎখাত হওয়া আরেকটা হচ্ছে নিজেদের সাংস্কৃতিক স্বকীয়তার উপর আঘাত। যেসব দেশে ইউরোপের লোকজন গিয়ে কলোনাইজ করেছে, আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড ওইগুলি দেশে তো আছেই এই সমস্যা, যেসব দেশে ঐরকম কলোনাইজেশন হয়নি বা হলেই পরবর্তীতে সাদা চামড়ার লোকজন চলে গেছে সেসব দেশেও আদিবাসীদের উপর এইরকম অত্যাচার এখনো হচ্ছে।
ভূমি নিয়ে যে সমস্যাটা হয়, আদিবাসী যারা- অর্থাৎ যারা মূলধারার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতো নয়, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন ইত্যাদির দিক দিয়ে সংখ্যালঘু এবং যারা নিজেদের সাংস্কৃতিক এবং এথনিক ভিন্নতা বজায় রাখতে চায়- ওদের ভূমির মালিকানার প্যাটার্ন তো ইউরোপের লোকজন যেসব কায়দা চালু করেছে ওদের মতো নয়। আমেরিকাতে হলুদ চামড়ার ইন্ডিয়ানরা, ওরা তো কমিউনিটি মালিকানার ভিত্তিতে ভূমির ভোগদখল করেছে। ইউরোপের লোকজন গেছে, দখল করেছে, জমির কাগজপত্র ইত্যাদির প্রচলন করেছে। এখন একজন আমেরিকান আদিবাসী বা কানাডার আদিবাসীকে আপনি বললেও চট করে ওরা একটা জমির দলিল হয়তো দেখাতে পারবে না।
(৪)
আমাদের এখানে বা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায়ও এরকম আছে। ব্রিটিশরা এসে জমির মালিকানার যে কাগজপত্র ইত্যাদি ওরা চালু করেছে সেইসব পদ্ধতির বাইরে ছিল অনেক ট্রাইব। কলোনিয়াল শাসনের সময় ইংরেজরাও এইসব এলাকা আলাদা করে রেখেছে, অন্যদের জন্যে যেসব বিধান সেসব বিধান ওদের জন্যে প্রযোজ্য করেনি। আমাদের এখানে যেমন পাহাড়ি এলাকাগুলি শাসনের জন্যে আলাদা রেগুলেশন আছে- এটা ইংরেজ আমলেই হয়েছে। সেইসব রেগুলেশন এখনো বলবত আছে। কিন্তু এইসব আইন কানুন রেগুলেশন এইসবের চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ যেটা, সেটা হচ্ছে ঐ সাংস্কৃতিক ভিন্নতার স্বীকৃতি এবং এই ভিন্নতাটা মেনে চলা।
সাংস্কৃতিক ভিন্নতার স্বীকৃতি মানে কি? সাংস্কৃতিক ভিন্নতার একটা দিক হচ্ছে এইটা- যে আমরা যেভাবে জমির মালিকানা নির্ধারণ করি, ওদের ভূমিতে মালিকানা সেইভাবে নির্ধারণ হবে না। সংখ্যাগুরুকে এইটা স্বীকার করতে হবে এবং এই স্বীকৃতিটা সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের চিন্তায় স্থাপন করতে হবে। এইটা যদি আমরা না করতে পারি তাইলে আমরা চিরদিন আমাদের দেশের সংখ্যালঘু এবং সাংস্ক্রিতিকভাবে ভিন্ন যেসব জনগোষ্ঠী আছে ওদের সাথে অন্যায় করতেই থাকবো। আমাদের সরকার বা প্রশাসন কেবল নয়, জনগণের মধ্যে এই বোধটা থাকতে হবে- যে না, পাহাড়ের জমির মালিকানা নোয়াখালী বা রাজবাড়ীর জমির মালিকনার স্টাইলে নির্ধারিত হবে না। এইটা মোগল আমলেও হয়নি, ইংরেজ আমলেও হয়নি। ওখানকার বিধান স্বতন্ত্র।
এই স্বাতন্ত্র্য যদি আমরা স্বীকার না করি, সেইটা যদি অন্তরে ধারণ না করি, তাইলে অত্যাচার করতেই থাকবো। আমাদেরকে অর্থাৎ সংখ্যালঘু বাঙালিকে স্বীকার করতেই হবে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমাদের একটা বিচিত্র অংশ। ওটা আমাদের দেশেরই অংশ বটে, কিন্তু ওরা সংখ্যাগুরুর মত নয়। ওদের নাচগান ভিন্ন, ওদের ভাষা ভিন্ন, ওদের ভূমির মালিকানার ধরণ ভিন্ন, ওদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরন ভিন্ন। এবং ওরা সংখ্যায় কম। আমরা সংখ্যাগুরু, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সংখ্যালঘু এইসব মানুষের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তথা ভিন্নতা বজার রাখতে সাহায্য করা এবং ওদের ভূমির অধিকার বজায় রাখতে সাহায্য করা।
(৫)
এবং মনে রাখবেন, থাইল্যান্ডের ঐসব মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল লোকগুলি যেমন বা আফ্রিকার মাসাইমারার আদিবাসীরা যেমন, শ্রীলঙ্কার তামিলরা যেমন- ওদের যেমন মাছ ধরার জন্যে সমুদ্রের উপকূলের উপর বা অরণ্যের উপর ট্র্যাডিশনাল অধিকার রক্ষা করা জরুরি, আমাদের এখানেও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলির পাহাড়ের ভূমির উপর ট্র্যাডিশনাল অধিকার এইসব রক্ষা করা জরুরী।
পর্যটনের কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম- সেই কথাটাই বলি। পর্যটন তো জরুরী, পর্যটনের অবকাঠামোও জরুরী। কিন্তু আমি যদি একটা এলাকার বাসিন্দাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে সেটাকে সাধারণ আর দশটা শহরের মতো করে ফেলি, তাইলে আর সেখানে লোকে কি দেখতে আসবে? মনে করেন আমি নেপালে মানাং এলাকায় যাচ্ছি বেড়াতে- পর্বতের উচ্চতায় উঠে প্রকৃতি দেখব। কিন্তু সেখানে থেকে যদি মানাঙ্গের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিই তাইলে সেটা কিরকম হবে? মানাং-এর সব মানুষকে সরিয়ে সেখানে একটা নকল গ্রাম বানালাম, লোকে এলে সেইসব নকল গ্রামের খালি বাড়িঘর দেখিয়ে বললাম, দেখেন, এখানকার মানুষজন এইভাবে বসবাস করে। সেটা কিছু হলো? আজ যদি একটা মনিপুরী এলাকায় সব মনিপুরীদের বিতারন করে আমি আপনাকে আহ্বান করি, আসেন মনিপুরীদের গ্রাম দেখে যান- এইটা কিছু হবে?
এইরকম বিশেষ এলাকায় পর্যটন বিস্তারের জন্যে এই কারণে একটু চিন্তা ভাবনা করে পরিকল্পনা করতে হয়- পরিকল্পনা করতে হয়ে এমনভাবে যেন স্থানীয় মানুষদের অধিকার খর্ব না হয়, যেন ওদের জীবনধারণের ধরন বিলুপ্তির মুখে না পড়ে, যেন সেখানকার ভূপ্রকৃতি নষ্ট না হয়। এইটাই আধুনিকতা- এইটাই সভ্য আচরণ।
লেখক- ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]
খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ