ব্রাত্য দীপংকর
আপডেট: ১০:২৮, ৯ আগস্ট ২০২১
বিশ্ব আদিবাসী দিবস
নৃ-গোষ্ঠী, গিরিজন অথবা প্রান্তিকজনের মনের কথা কী শোনতে পাই
ছবি: রনজিৎ জনি।
ধার্মিকজন শুধু পরকালের পথ দেখিয়ে ইহকালের সংস্কৃতি ধ্বংস করালেও বিপদ। বিদেশী ফরমুলার গাড়ী হাঁকানো নেতাদের কাজ হবে স্থানীয় লোকসমাজের সাথে মিথষ্ক্রিয়ার পথ খোঁজা, গণসংগঠনের মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি। স্থানীয় লোকসমাজের সাথে শতশত বছর তাদের সংস্কৃতি কী করে টিকে ছিল? তার সূত্রায়ণ বের করা দরকার।
কালের বিবর্তনে মানব সভ্যতা একই নিয়ম ও ধারায় বিকশিত হয়নি। স্থান ভাষা বিশ্বাস সংস্কৃতি দৈহিক গঠন এবং দিনযাপনের ডায়রির মধ্যে ভিন্নতা থাকলেও বিশ্ব-মানব সংস্কৃতির আঁতুড় ঘর মোটামুটি একই। স্থান কাল পাত্রভেদে হয়তো কোনো জাতি বা গোষ্ঠী আধুনিক জীবনে অভ্যস্থ হয়েছে আগে; কেউ এখন হচ্ছেন, কেউ হয়তো হবে দূর ভবিষ্যতে। নৃগোষ্ঠীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে তাদের রক্ত কিংবা বংশধারা শত-সহস্র বছর বছর ধরে অকৃত্রিম চলছে। যা তাদের জীবনাচারণের মতো সরল ও বিশ্বাসে ভরপুর।
যারা এখন ‘সভ্যতা’ হিসেবে দাবী করেন- তাদের অনেকের হাতে রক্তের যেমন দাগ শুকায়নি। এই রক্ত কাদের?। ‘সভ্য’রা কী টুটেম বিশ্বাসের ক্ষীণ ধরা মনের অজান্তে লালন করছে না? কলোম্বাস বা ভাস্কোদাগামা জলপথে নতুন দেশ আবিষ্কার করে যে ‘সভ্যতার বীজ’ দিয়েছেন- তার সাথে আদিবাসী, নৃগোষ্ঠীর জমি নিঃশেষ হওয়া, প্রথা বিলুপ ঘটানোর কাহিনি একেবারে লেপ্টে আছে। ছলা-কলায় তাদের সংস্কৃতিকে ঘৃণা চোখে দেখানো হয়েছে। ছড়ানো হয়েছে বিদ্বেষ। এগুলো করেছে- সভ্যতার খাদকরা।
ইউরোপে শিল্পবিপ্লবের আগের যুগ ও পরের যুগে পাহাড় ধ্বংসের সাথে নৃ গোষ্ঠীর কিংবা আদি বাসিন্দাদের জীবন-জমি হারানো ঘটনা জড়িত রয়েছে। হাল আমলে ‘সভ্যতা’র দাবীদার ব্রিটিশরা আমাদের খাসিয়া, মণিপুরী, সাঁওতালদের ওপর কীনা করেছে? তাদের সম্রাজ্যকে ধ্বংস করেছে? যখন দেখি খাসিয়ারা আজ ভূমি হারা- মার খায় আমার ঘরের পাশে- তখন মনের ভেতর তুফান ওঠে।
তাদের অনেক সংস্কৃতি আমরা ধারণ করে আছি। অথচ তাদের বন গেছে সরকারের কাগজের ভেতর; কিছু নিয়েছে প্রভাবশালীরা। তারা কী কখনো এসব চিন্তা করেছিল? এই দ্বন্ধের স্থায়ী সমাধান করা দরকার। বস্তির এলাকায় বসবাসকারী নৃগোষ্ঠী কিংবা ভূমি-পুত্রদেরও কপাল ভেঙ্গেছে। ব্রিটিশ পাকিস্তানের ভূমি আইন-ভূমি জরিপের মারপ্যাচে তারা বুঝেনি। অর্ধশিক্ষিত জরিপ কারক ও শিক্ষিত আমলার কলমের খোঁচা কার দিকে গেছে? স্থানীয় টাউট বাটপার ভূমি খেকো এদের হাড় চিবিয়ে খাচ্ছে।
কখনো কখনো সরকারী দুরভীসন্ধিমূলক আইন তাদের সর্বনাশ করছে। কেন তাদের বসবাসের জায়গায় নতুন-নতুন বস্তি স্থাপন করা হয়েছে। ‘সভ্যরা’ থাকে ধুরন্ধর চরিত্রের এবং বিশ্বায়নের মতো গিলে খাওয়ার হাঙ্গর দাঁতের মালিক। এমনও দেখেছি বস্তিবাসী সরল মেয়েদের সাথে প্রেম প্রেম খেলা করে স্বধর্মে নিতে। কই আমি তো পুরুষ- আমি তো ধর্ম পরিবর্তন করিনি? তাদের ধর্মকে ত্যাগের প্ররোচিত করতে ধর্ম প্রচারকও দেখেছি। তারাও এদের ধর্মের বারোটা বাজাতে ছাড়েনি [বিশেষ অর্থে]।
খ্রিষ্টান মিশনারী, হিন্দু মিশনারী, ইসলাম প্রচারক সবাই তাদের আদি ধর্মমত বা বিশ্বাসকে নিন্দাসূচক-ই প্রচার করছেন বা তুলে ধরেছেন। পাকিস্তানের কালাস উপজাতিকে মুলসমান বনানোর খবর আসে, বাংলাদেশের খাসিয়াদের খ্রিষ্টানকরণ, মণিপুরের আপক্পা ধর্ম থেকে বৈষ্ণবে রূপান্তর ইত্যাদি কী নৃগোষ্ঠীকে বাঁচিয়েছে? বরং তার সংস্কৃতি পড়েছে হুমকিতে। সেও মনে করে তার সব কিছু মন্দ ছিল- হায় কপাল!
আজকের আবার বিদেশী ফরমূলায় মায়াকান্নাধারীগণ বিদেশী অর্থে পুষ্টিধন্য হয়ে হাক-ডাক কম ছাড়ে না। তাদের কয়েকজনের আখের গুছানোর কথা শুনি। বিশ্বায়ন গিয়ে খাচ্ছে- তাদের ঘরের প্যাটার্ণ, খ্যাদ্যভ্যাস বিশ্বাস ইত্যাদি। নিজেরা পরিবর্তিত হয়ে এমন ‘ডিস্কো’ হয়ে যাচ্ছে যে- নিজের গানটাটা পর্যন্ত বিসর্জন দিয়ে মুক্তি পাচ্ছে। আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে একটি নৃগোষ্ঠীর কিছু ছাত্রী থাকে- তাদের ‘আধুনিকায়নে’ নিজেই বিব্রত বোধ করি। এই সব কিছুই বিপদজনক। ময়মনসিংহের মান্দইয়ের আদি রূপ নাই। বনও শেষ। আধুনিক ফ্যাক্টরী খেয়ে ফেলছে। মিশনারী খেয়েছে আদি সংস্কৃতির সরল বিশ্বাস ও পুরাতন করণ-কারণ। খাসিয়াদের মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে করুণ গান অনেক চেষ্টা করেও সংগ্রহ করতে পারিনি। সকল মানুষ যদি সংস্কৃতিচ্যুত হয় শিকড় ছিড়ে যায়, তা হলে বৈচিত্র্য থাকবে কোথায়?
আদিবাসী/নৃগোষ্ঠী/ভূমি পুত্রদের জীবনধারা ও বিশ্বাস নিয়ে সভ্যদের রচিত গ্রন্থ-পুস্তক গবেষণা উদ্দেশ্যমুখী হতেও দেখেছি। আধুনিকদের পত্রিকা-পুস্তক- কিংবা গবেষণা উদ্দেশ্যমুখী হলে-ই সর্বনাশ। আমরা গ্রন্থে তুলে ধরছি যে, আদিবাসী উপজাতি- বৃহৎ অর্থে নৃ-গোষ্ঠী , প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, আদি দর্শনের অনুসারীগণ ‘অসভ্য, তাদের ধর্মীয় নিয়ম নেই। ছোট কাপড় পরে, কুসংস্কার করে ইত্যাদি- অধিকাংশই ঋণাত্বক কথা।
কিন্তু আমি তো ছোট বেলা নেংটি পরা বয়স্ক মহিষ রাখাল দেখেছি, সেটাতো বেশি দিন আগের নয়। যদি প্রশ্ন উঠানো যায় তিন-চারশত বছর আগে আমার মায়ের কাপড় কয়টা ছিল? ধর্মগ্রন্থ কী পড়তেন? তা হলে উত্তর কী হবে? আমি এও দেখেছি লজ্জায় পড়ে অনার্য শৈব ধর্মের ‘শব্দকর’ সমাজে তাদের হরগোরৗ নৃত্য হারিয়েছে, অর্থের যোগানও নাই। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। সহজিয়া কিংবা বাউলধর্মের ধর্মই নেই, নিন্দুক ধার্মিকজন তাদের করণ-কারণ ‘অধর্ম’ বলে প্রচার করছেন। অথচ কে বলবে ধার্মিকজনের অধর্ম-মূলক মন্তব্য/কাজের কথা? ফলে নানাভাবে সংখ্যালঘুদের মনোজগত বিকর হচ্ছে। সেখানে কি রাষ্ট্র সমাজ কিবংবা সংখ্যাগুরুদের কোনো দায় নাই। ওদের কাছে মিডিয়া নাই। ফলে তাদের অস্তিত্বে টান পড়েছে। ভূমিপুত্র, কিংবা নৃগোষ্ঠীর বা গোপ্য দর্শনের অনুসারীদের প্রতি সুস্থ মনের মানুষকে দায় দেখাতে হবে। রাষ্টেরর দায়িত্ব অনেক। তাদের বাঁচার জন্য- মুক্তভাবে শ্বাস নেওয়ার অধিকারের সমান সুযোগ দিতে। তাদের মহৎ জীবনধারা প্রচার করা উচিত। অনেক নৃগেষ্ঠীর মাতৃতান্ত্রিক, তাদের মধ্যে যৌন অপরাধ অপরাধ কম।
নৃগোষ্ঠীরা প্রকৃতির বরপুত্র, তারা বন সমূলে ধ্বংস করে না। বন কেন্দ্রীক তাদের অনেক সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের কৃষি সংস্কৃতির সাথে এগুলো যুক্ত নয় কী? দেশে-বিদেশে বিশাল বিশাল কর্পোরেট বানিজ্য বনভূমি গিলে খাচ্ছে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত বিষয় কারো জন্য কল্যাণকর বয়ে আনে না। প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবেই। বনকে গিরিজন নষ্ট করে না। কেবল মৌলভীবাজারের বন-পাহাড়ের গাছ চুর চক্রের তথ্য নিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। এই কাজে কত জন খাসিয়া, কতজন মণিপুরি, শব্দকর কিংবা চা শ্রমিক জড়িত? আমরা বিশ্বাস করি সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল, গ্রহণ বর্জন মধ্য দিয়ে চলে- ওটা চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। কিন্তু তার কানের কাছে কুমন্ত্রণা দিয়ে তার বিশ্বাস নষ্ট করাও গর্হিত কাজ। দেশে-দেশে এখন সুস্থ ও ‘সভ্য’ মানুষের মনের দোয়ার খোলানোর দায়িত্ব সমাজের রাষ্ট্রের। নৃগোষ্ঠী কিংবা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা লোকধর্মের মানুষকে নিন্দ না করে বুকে জড়িয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।
ধার্মিকজন শুধু পরকালের পথ দেখিয়ে ইহকালের সংস্কৃতি ধ্বংস করালেও বিপদ। বিদেশী ফরমুলার গাড়ী হাঁকানো নেতাদের কাজ হবে স্থানীয় লোকসমাজের সাথে মিথষ্ক্রিয়ার পথ খোঁজা, গণসংগঠনের মাধ্যমে জনসচেতনা বৃদ্ধি। স্থানীয় লোকসমাজের সাথে শতশত বছর তাদের সংস্কৃতি কী করে টিকে ছিল? তার সূত্রায়ণ বের করা দরকার।
সামাজিক নিরাপত্তর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের উদারতারও দরকার। ব্রাজিলে বনপুড়ে যাওয়া মানে আমার হৃদয় পুড়ে যাওয়ার অনভুতি থাকতে হবে সকলের। বিপন্ন জনগোষ্ঠীর সমস্যা সমাধানের জন্য কমিশন গঠনের দাবী পুরানো। তাদের অগ্রসর করার দায়িত্ব রাষ্ট্র সমাজ এবং বিবেকবান মানুষের। আবার তারা যেন সংস্কৃতিচ্যুত না হয়, সেটা তাদের সমাজকে ভাবতে হবে।
বিশ্বমানবের আদি মাতৃ কোলে (প্রকৃতির ছায়াতলে) যারা আছেন, ‘সভ্য’ নামধারী সুবিধাভোগী বহিরাগত শ্রেণির আদিপত্যের বিস্তরণ ঠেকানো দরকার। তাদের বিশ্বাসে, দিনযাপন ও চিরায়ত সংস্কৃতিতে যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। ছলে-কৌশলের ভূমি দখল রোধকরা সময়ের দাবী। আজ শব্দকর সমাজ নিঃস্ব হয়ে গেছে। তাদের দেখলে প্রাণটা কেঁদে ওঠে। সরল মানুষগুলো আইন-কানুন জানে না, ম্যার-প্যাাচ বুঝে ওঠতে পারেনা। ফলে কর্তৃত্ববাদী জিঘাংশায় পোড়াতে থাকে তাদের। তাদের বাইরের নব আবিষ্কার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোনো খোঁজ-খবর নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। নিজেদের অজান্তেই বার-বার হাত বদল হয়েছে বসতভূমি; কিন্তু লিখে রাখেননি দলিল-দস্তাবেজ। অথচ আজ অযৌক্তিক প্রশ্ন ওঠে পুরুষানুক্রমিক ভোগকৃত জায়গার আইনি দলিল কোথায়? উল্টে প্রশ্ন ওঠতে পারে, তাদের দলিল এবং সাক্ষী স্বয়ং প্রকৃতি। অবিকৃত জাতিসত্তার লোকরা অপাংক্তেয় হতে পারেনা।
যে সমাজ এখনো নীচে পড়ে আছে, তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা বোধশক্তির পরিচায়ক। এটাও দৃষ্টি কটু যে কোনো কোনো নৃগোষ্ঠী অনেক সুবিধা পেয়ে অনেক উপরে চলেে গছেন। অথচ চা শ্রমিকের মধ্যে থাকা অনেক নৃ-জনগোষ্ঠী, ত্রিপুরী, খাসিয়া অনেক পিছিয়ে আছে। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় যে ভূমিপুত্র শব্দকরদের মধ্যে এখনো চাকরিজীবীর সংখ্যা আধুনিক অনুবীক্ষণ দিয়ে দেখতে হবে। বিপন্ন ও অতিদরিদ্র এই জনগোষ্ঠকে কে বাঁচাবে? তারা নৃগোষ্ঠী না হলেও ভূমিপুত্র- একথা অস্বীকার করা যাবে না। খাসিয়ার মধ্যে সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষিকা পাওয়া যায়। চা শ্রমিকদের মধ্যে ও আছেন। কিন্তু শব্দকরের মধ্যে একজনও নাই।
আজ শুভবুদ্ধির মানুষরা নৃগোষ্ঠী ও ভূমিপুত্রদের দাবীকে সাংবিধানিক দাবী হিসেবে দেখে- তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখা দরকার তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে লড়েছিলেন। মুজিববর্ষে নৃ-জনজাতি ও ভূমিপুত্রের দিকে নজর দেওয়ার আহবান জানাই।
ব্রাত্য দীপংকর, লেখক
- খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ