দীপংকর মোহান্ত
আপডেট: ২০:৫৯, ১৬ আগস্ট ২০২১
আমার শৈশবের ১৫ আগস্ট
কিছুদিন পর গফুর চাচা সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। তার ওপর নির্যাতনের কাহিনি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কমলগঞ্জ থানায় প্রদর্শন করে প্রকাশ্যে আমগাছেরডালে ঝুলিয়ে রেখে পিটানো হয়, নাকে গরম পানি দেওয়া হয় ইত্যাদি। আমাদের বড়া ভাইরা স্কুল ছুটির সময় এ সব কিছু দেখতেন। খবর শোনে বাড়িতে মা বিমর্ষ হয়ে গেলেন। বাবাকে ধরবে বলে খবর এলো...
হাসি পাওয়ার কথা, শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আমার পরোক্ষ পরিচয় ১৯৭২ সালের দিকে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শিশুমনে কল্পলোকের রাজা হিসেবে নানা মিথে ও সত্যে জড়ানো অদৃশ্য পুরুষ। তবে তাঁর নানা কাজের অভিনয় করা হতো।
প্রায় বিকালে গ্রামের দিদিরা আমাদের বাড়িতে এসে ‘মুজিব-মুজিব’ খেলত। আমি তাঁদের এক নগণ্য সদস্য ছিলাম। মনে পড়ে একজনের দুটি হাত পিছনে নিয়ে বেঁধে গোল চিহ্ন দিয়ে বসে রাখা হতো। এখন মনে হয় সেটা কারগারের প্রতীকী রূপ ছিল। কে মুজিব? কী স্বাধীনতা? বুঝার ক্ষমতা হয়নি।
পাঠক, তখন সদ্য শরণার্থী থেকে স্বাধীন দেশে নিজের ঘরে ফেরা হয়েছে মাত্র। আমরা নিতান্ত-ই শিশু। মনে আছে বালিশ ছিল না। এবং সামন্য তুলার সাথে ধানের খড় খুব ছোট ছোট করে কেটে মিশিয়ে বালিশ করা হয়েছিল। একটা ডিমের ক্ষুদ্রাংশ পাতে দিয়ে মা বলতেন, ‘দেখে দেখে খাও। না হয় লক্ষ্মী চলে যাবে’। আজ তা হেতু বুঝতে পারি। তখন ‘মাড়-ভাত’ শব্দটি প্রচলিত ছিল। নিজেও খেয়েছি- শখে কী না- কার্যকারণে দেওয়া হয়েছিল মনে নেই। গ্রামের তরুণরা মাঝে মাঝে আওড়াতো ‘মুজিব ভাইয়া যাওরে...’ কিংবা ‘কাউয়ায় ধান খাইলরে- ডাকাইবার মানুষ নাই...।’
আমার এক বোনের জামাই ছিলেন, নাম সুরেশ চন্দ্র শর্মা। যিনি বঙ্গবন্ধুর প্রাথমিক স্কুল সরকারিকরণের বদৌলতে মাইনা পেয়ে এক বেন্ডের সাদা একটি রেডিও কিনেন। ওটা তিনি ব্যবহার-করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে, রেডিওটার গায়ের রং ‘খাল পড়া কুকুরের’ মতো বিবর্ণ হয়ে যায়। তবুও লোকটা গান-খবর শোনতো, আমদের বাড়িতে রেডিও ছিল না। তিনি সিনেমার গান শুনতেন। একবার মায়ের সাথে তাঁর বাড়িতে যাই। তাঁর সেই ‘খালপড়া রেডিও’ দেখি।
হঠাৎ একদিন দেখি, সবাই যেন কার কথা শুনছে , বড়বড় আওয়াজ [ভাষণ]। ওটাতো কখনো দেখিনি। মাকে বললাম ওটা কী শুনছ, তিনি বললেন ‘মজিবুরের ভাষণ’। কিন্তু ‘মজিবুর’কে তো দেখি না, তাকে মজিবুর দেখানোর জন্য বারবার বললাম। মাথায় চিন্তা আসলো দেখা যায় না কেন? অথচ কথা শুনা যায় কীভাবে? আমার প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়ে মা শেষে বললেন, ‘মজিবুর থাকে রেডিওর ভিতরে। ভগবানে তারে দেখায় না।’ চারদিক পরখ করার পরও দেখিনি। আবার প্রশ্ন করলে ধমকের সুরে মা বললেন, ‘বেশি কথা বললে মারবে।’ ভাবলাম যে গলা মারতেও পারে। ফলে দীর্ঘ দিন আমার মনোজগতে ছিল যে ‘মজিবরের বাড়ি রেডিওর ভিতর।’ বাড়ি ফিরে খেলার সাথী হিমাংশু ও দেবাকে বিষয়টি বললাম। অর্থাৎ মজিবুরের কথা। তারও আশ্চর্য হলো।
আমি আর মজিবুরের অনুসন্ধান করিনি। দিদিদেরে সাথে স্কুলে যাই? স্কুলের লম্বা তক্তায় বসি। জাতীয় দিবসে গ্রামময় শ্লোগান দেয় ছাত্ররা- ওদের সাথে আমি দৌড়ি। দৌড়াতে আনন্দ পেলেও, বিষয়বস্তু আকৃষ্ট করেনি।
তখন ছেঁড়া পেন্ট পরে ও গায়ের শার্টের একদুটো বোতাম আমিল করে লাগিয়ে খালি পায়ে স্কুলে যেতাম। সেদিন মনে পড়ে চাষীরা আউশ ধানের খেতে ধান রোপণ করছে। কেউবা হাল চালায়। আমাদের স্কুলটির পাশে বড় রাজাকারের গ্রাম।[পরে বুঝেতে পেরেছি। সে একাত্তরে অনেক লোক হত্যা করিয়েছে। তার সমর্থকরা তখন ঘাঁপটি মেরে বসে ছিল]। তাঁর গ্রামের পাশ দিয়ে যেতে হয়। স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুল বন্ধ, দুই একজন শিক্ষক আদমরা অবস্থায় নিস্তেজ হয়ে দাঁড়িয়ে । ছাত্রদের বললেন বাড়ি চলে যেতে। দিদিরাও জড়োসড়ো, ভয় পাই আমরা। কি হয়েছে তাও বুঝিনি। ফিরতি পথে জমিতে চাষ করা কতক লোক আমাদের উদ্দেশ্যে বড়বড় করে গালি দিয়ে বলতে লাগলো, ‘এই... তোমরার বাপ মরছে।’ আরো কত গালি। কিছুই বুঝিনি। এতটুকু মনে আছে দিদিরা আমাকে কাছে নিয়ে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়। দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি আমার রাগী বাবাও চুপশে [বাবার তেজ দেখে অনেক সময় মা গোপনে বলতেন, স্বয়ং আইয়ুব খান]। বাবার বাইরে যাওয়া বন্ধ হলো। দূর গ্রামের নূর চাচা রাতে চুপিসারে বাবার সাথে কথা বলে চলে গেলেন- ওরা ছিলেন এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
আমাদের ছোট গ্রাম হিন্দু প্রাধান্য হলেও মুসলমানরা ছিলেন পরমাত্মীয়। পাশেই ফুফুর বাড়ি, ফরিদ দাদা [প্রয়াত], আবু দাদা [প্রয়াত], আজিজ দাদাকে নিজের বাড়ির মানুষ মনে হতো। স্বাধীনতার সময় তারা আশ্রয় ও খাবারের সরঞ্জাম দিয়েছেন। এই বাড়ির লোকও দেখলাম মনমরা। আমাদের গ্রামের দুই একঘর মুসলমানকে ঐপাড়ার স্বাধীনতা বিরোধীরা পছন্দ করতো না। শোনা গেল তাদের অনেকের গলা বেড়েছে। মা ধারণা করলেন মিলিটারি আসবে। ভয়।
তখন বাড়িতেই শত খেলায় মত্ত থাকি। স্কুলে যাওয়া হয় না। একদিন অনুভব করলাম বাড়িতে কানাকানি বেড়ে গেছে। একজন আগন্তুক অতি গোপনে বাড়িতে থাকেন, অন্ধকারে খাওয়া দাওয়া করেন। তাঁকে হিন্দু ঘরের কাসার বড় থালায় চুপি সারে ভাত দেওয়া হয়। তিনি চিন্তামগ্ন থাকতেন, কিছু খেতেন না। বড় হয়ে জেনেছিলাম তিনি ছিলেন পাশের গ্রামের মোস্তফা চাচা- ‘নেতা গফুর’ নামে খ্যাত। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
বঙ্গবন্ধুর মতো সাহসীকতার জন্য তাঁর নাম পড়ে যায়, ‘নেতা গফুর’। তাঁর পরিবারের অনেক লোককে পাক সেনারা হত্যা করেছিল। তাঁকে নিয়ে শৈশবে আমরা কিংবদন্তির মতো গল্প শুনেছি। কীভাবে একাত্তর সালে থানার পাক ওসিকে লাথি দিয়েছিলেন। কীভাবে রাজাকারদের শায়েস্তা করেছিলেন ইত্যাদি। ফলে সেই পরাজিত গোষ্ঠী তাঁর ওপর ক্ষ্যাপা ছিল। ক্ষণকালের মধ্যে একাত্তরের ‘পরাজিত’রা ঠাকুরমার ঝুলির দৈত্যের মতো জীবিত হয়ে ওঠে। প্রশাসন থেকে তাঁকে-ই খোঁজা হচ্ছে। তিনি লুকিয়ে থাকতেন আমাদের উগারের [ধানের ভাড়াল] ধারে-কাছে। কয়েকদিন গোপনে ছিলেন। পরে গোয়েন্দা তৎপতা বাড়ে। সামরিক আইনে চারদিকে ধড়পাকড় শুরু হয়। সেই বীর গফুর চাচা এখন অসহায় অবস্থায়। তাঁর আসন্ন বিপদের কথা চিন্তা করে পরে এক রাতের বেলা ধান ক্ষেতের আল ধরে নাকি ছদ্মবেশে অন্য জায়গায় পাঠানো হয়েছিল।
কিছুদিন পর গফুর চাচা সেনাদের হাতে ধরা পড়েন। তার ওপর নির্যাতনের কাহিনি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। কমলগঞ্জ থানায় প্রদর্শন করে প্রকাশ্যে আমগাছেরডালে ঝুলিয়ে রেখে পিটানো হয়, নাকে গরম পানি দেওয়া হয় ইত্যাদি। আমাদের বড় ভাইরা স্কুল ছুটির সময় এ সব কিছু দেখতেন। খবর শোনে বাড়িতে মা বিমর্ষ হয়ে গেলেন। বাবাকে ধরবে বলে খবর এলো। তিনি মোস্তফা চাচার বন্ধু। আমাদের বাড়িতে ছিল বাবার অনেক পুরাতন কাগজপত্র। বিশেষত একাত্তর সালের। ওগুলো বাবা দ্রুত আগুনে পুড়াতে লাগলেন। একসময় আমরা লুকিয়ে-লুকিয়ে সে কাগজ দিয়ে স্কুল-স্কুল খেলতাম। এখন থেকে কাগজ দিয়ে যে খেলতে পাবো না, সেই যন্ত্রণা আমাদের শিশুরাজ্যে বিরাজ করে। তিনি ১৯৭১ সালে ভদ্রপল্লি ক্যাম্পে রেশন দিতেন। ক্যাম্পের নানা কাজের সাথে জড়িত ছিলে। মিত্রবাহিনীকে শমসেরনগর-কুলাউড়া-মুর্তিছড়া অঞ্চলের কিছু মানচিত্র করে দেন। স্বাধীনতার পর ক্যাম্প বন্ধ হলে তিনি ক্যাম্পের সকল কাগজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। কাগজ সংরক্ষণ বাবার নেশা ছিল। কাগজ পুড়ানোর পর বাবা বাড়ি থেকে উদাও হলেন। দীর্ঘদিন আর বাড়িতে বাবাকে দেখিনি। বড় হয়ে শুনলাম বাবা আত্মগোপনে ছিলেন। সামরিক আইন উঠার আগে পরিবেশ ভালো হলে চলে এলেন। কয়েক বছর পর গফুর চাচা যখন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমাদের বাড়িত আসেন- তখন চিনতে পারিনি। অত্যাচারে শরীর ফুলে যায়।
অনেক দিন পর আবার স্কুলে যাওয়া শুরু হলো ১৫ আগস্ট কিছুই জানিনা। তবে সময়ের পার্থক্য বুঝতাম। দিদির সাথে রাস্তা দিয়ে স্বাধীনতা দিবসে যে শ্লোগান ছিল, গ্রাম চক্কর হতো- তা বন্ধ হলো। সেই নব্য জানোয়ারগুলো ক্রমে তেজী হয়ে আমাদের মনোজগত আক্রমণ করলো। হিন্দু গ্রামের গরু নিয়ে একটা পতিত জায়গায় রাখা হতো; ওই জায়গা তাদের দখলেই। তারা অস্রাব্য গালাগালি করতো। গ্রামের ছেলে হিসেবে চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণি-ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালে বিকালে গরু চরাে যেতে হতো। ওরা সেখানে গরু রাখতে দেবে না। কুশ্রী ছড়া বলতো, ‘ হিন্দু-বিন্দু কুত্তারও ছাও, কুত্তায়... বারো মাস।’ আমরা মাথা নুয়ে থাকতাম। গরু রাখার সময় বড় ভাই রহিম দাদা একদিন ছোট করে বললেন, ‘রাজাকারের বাইচ্ছা’। ওর কানে কথা যায়নি। তবে আমার অন্তরে বাজলো। কিন্তু মাথায় প্রবেশ করেনি। ফরিদ দাদা মুক্তির গল্প দেখতেন- আমরা তার না বুঝা শ্রোতা। তাঁর কথায় বঙ্গবন্ধুর কথা শুনি। আমাদের ছোট বেলা ‘হ্যাঁ/ না’ ভোট হয়। গ্রাম থেকে একজন গেলেও চলতো। ভোটের কথা কিছু মনে আছে। পরে শুনতে পেলাম ‘মজিবরের’ নাম মুখে নেওয়া যাবে না। একদিন রহিম দাদা বললেন, ‘কাদের সিদ্দিকী আসলে সব ঠিক অইব।’ তখন গরু চরানোর সময় ফরিদ দাদার কাছে সেইসব গল্প শোনতাম। তাদের বিশ্বাস ছিল কাদের সিদ্দিকী এসে প্রতিশোধ নেবেন। তাঁরা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্য নিবেদিত প্রাণ।
হাইস্কুলে ওঠার পর আমাদের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক ছিলেন। নাম আব্দুল বাছিত। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে মাঝে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর কথা বলতেন। বাছিত স্যার কিন্তু বিভিন্ন দিবসে দশম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রলীগপন্থী ছাত্রদের বাজারের মিছিলে যেতে গোপনে উৎসাহিত করতেন। তাদের মাধ্যমে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনি মাঝে মধ্যে কানে বাজতো। শমসেরনগর হাইস্কুলের দীর্ঘাঙ্গী ও সাহসী ছাত্র আহমদ ভাই [প্রয়াত] ছাত্ররাজনীতি ও খেলা নিয়ে মশগুল থাকায় কয়েক বছর ধরে আধুভাই হয়ে বসেন। পনেরই আগস্ট এলে তারা কয়েকজন ‘জয়বাংলা’, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে মিছিল দিতেন। আহমদ ভাই জয় বাংলা ধ্বনি তুললে মাইকও হার মানতো। পরে জেনেছি আহমদ ভাইয়ের মিছিলেন নেপথ্যে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নেতা গফুর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বেলায়েত আলী মাস্টার [যিনি আমৃত্যু দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন] ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়না ভাই, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আমীর আলী স্যার প্রমুখ। তাঁদের কথা এখন কেউ মনে রাখে না। অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর স্কুল লাইব্রেরি থেকে রকিব আলী স্যার আমাকে ‘ছোটদের রাসেল’ নামে একটি বই পড়তে দেন। স্যারের মুখে রাসেল হত্যার বর্ণনায় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। বইটিও সেই আবেগ নিয়ে লেখা। লেখকের নাম বুঝে গেছি, স্যারের গর্ব ছিল যে তিনি সাত মার্চ ভাষণে সময় তিনি ঢাকা শহরে ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেখেছেন, মানুষ আর মানুষ দেখেছেন। তখন আমি শৈশবের সেই কথা, ‘তোমরার বাবা মরছে’- কথার অর্থ খোঁজার চেষ্টা করি।
আমাদের বাড়িতে পড়ার অভ্যাস ছিলো, দিদির ইতিহাস বই এলো সাত মার্চের ভাষণ ছাড়া। দেখতে-দেখতে চলে আসে এরশাদের আমল। তখন আমি মোটামুটি বড়। একবার ধান মাড়াই কাজে সাহায্য করছি। সেদিন স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডগ্রাউন্ডের ধারা ভাষ্য দিচ্ছে রেডিওতে।
ইতিহাসও বলছে। মা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বললেন, ‘একবারও মজিবুরের কথা বলে না।’ গ্রাম্য মহিলা হলেও মা বুঝতেন। এভাবে আমাদের প্রজন্মটি ‘বঙ্গবন্ধু’ নাম মুখে না নিয়েই বড় হয়েছি। গ্রামে বড় হওয়ার কারণে বুঝেছি ও দেখেছি যে গ্রামীণ মানুষের অন্তরে বঙ্গবন্ধু কত উচ্চ স্থানে ছিলো। ওটা তাঁদের মেকি ভাব ছিল না- নিখাঁদ ভালোবাসা। আর আমাদের প্রজন্ম গড়ে উঠলো ‘বঙ্গবন্ধু’ ছাড়া।
দীপংকর মোহান্ত, লেখক ও গবেষক
- খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ