মীর নাহিদ আহসান
আপডেট: ১৭:০১, ২৬ এপ্রিল ২০২২
‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ বাংলাদেশের বদলে যাওয়া সক্ষমতা
মৌলভীবাজারে আশ্রয়ণের ঘর, ইনসেটে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান
কোটি মানুষকে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার। আপনিও চেয়েছেন দেশের কোনো অসহায় মানুষকেও যেন মাথা নিচু করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের জমি ও বাড়ির মালিক বানিয়েছেন। বাড়িয়েছেন তাদের সামাজিক মর্যাদা। এই বাড়ি এখন তাই কেবল তাদের ঠিকানা নয়, আত্মমর্যাদা আর সম্মানেরও প্রতীক।
‘আগে ছিলাম রাস্তার ভিখারি, এখন আমি লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্য আমি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবের আত্মা যেন শান্তি পায়, আমি সেই কামনা করি। তারা যেন স্বর্গ থেকে দেখতে পান, আমরা সুখী হয়েছি।’ ২০ জুন, ২০২১ তারিখে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রায় ৫৩ হাজার পরিবারকে ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জমির মালিকানাসহ আধাপাকা ঘর পেয়ে মৌলভীবাজারের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি গ্রামের বীরাঙ্গনা শিলা গুহ আবেগাপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলেন।
আবেগী কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখনো প্রতিদিন আপনার জন্য বাতি জ্বালাই। আমার বোন যেন সুখী থাকে। আমার বোনকে যেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে। আমার বোন যেন হাজার বছর বাঁচে-সেই কামনা করি।’ মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে বীরাঙ্গনা শিলা গুহ বলেন, ‘আমি যুদ্ধের সময়েও ভাবতে পারিনি, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধ বয়সেও আমাকে দেখে রাখবে। তাই আমি ভীষণ ভীষণ খুশি হয়েছি তার প্রতি। বঙ্গবন্ধুকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমার একটা দাবি-আমায় যে ঘর দিয়েছেন, সেই ঘরে একবার আসবেন। আমি আপনাকে সাতকরা দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়াব।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতার দেখানো পথে আপনি নিরন্তর ছুটে চলেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার নানাবিধ কর্মসূচি নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, যার অন্যতম ছিল জনগণের জন্য টেকসই বাসস্থান। আশ্রয় মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার মাত্র ৯ মাসের মাথায় রচিত সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসাবে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবন ধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করার কথা বলা হলো। সদ্যস্বাধীন দেশে জাতির পিতা ঘূর্ণিদুর্গত মানুষের বাসস্থানের জন্য নির্মাণ করেছিলেন গুচ্ছগ্রাম। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা (বর্তমান লক্ষ্মীপুর) সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। লালসবুজের পতাকা যে উত্তাল শক্তি তৈরি করেছিল, পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে সেই অর্জনকে ধূসর করে দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। যার ফলে ছিন্নমূল মানুষের বাসস্থানের আশা পরিণত হয়েছিল দুঃস্বপ্নে।
- আরো পড়ুন : বলুন তো ছবিতে কয়টি প্রাণী লুকিয়ে রয়েছে?
১৯৭২ সালের ৩ জুন সমবায় সম্মেলনে এক প্রদত্ত ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমার দেশের প্রত্যেক মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে-এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন।’ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বলেই দৃঢ়চিত্তে, জাতির পিতার মতো উদাত্ত কণ্ঠে ঘোষণা দিতে পারেন, ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’। বলতে দ্বিধা নেই, বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করার ঘোষণায় আমরাও সন্দিহান হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু আরেক অসম্ভব কল্পনা পদ্মা সেতুরই বাস্তবায়ন অবাক চোখে দেখছে বিশ্ব!
মৌলভীবাজারে আশ্রয়ণ প্রকল্প। ছবি- আইনিউজ
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে পিতার মতোই সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন আপনি। নিজ চোখে দেখেছেন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা। ১৯৯৬ সালে প্রথম সরকার গঠনের পর আপনি পিতার অসম্পূর্ণ কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের প্রলংয়করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্দশা দেখে আপনি তাদের পুনর্বাসনে সরকারি অর্থায়নে পরম মমতায় শুরু করেন এই আশ্রয়ণ প্রকল্প। বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতার সফল বাস্তবায়নই আজকের আশ্রয়ণ প্রকল্প। ২০০১ সাল থেকে এই মহতী উদ্যোগে স্তব্ধতা নেমে এলেও ২০০৯ সালে আপনার সরকার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পেলে পিছিয়ে থাকা অসহায় জনগোষ্ঠী আবার পায় আলোর দিশা। আলোকবর্তিকা হয়ে পিছিয়ে পড়া বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন আপনি। তাই তো শহর-নগর পেরিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আজ সমানভাবে জেগে উঠেছে বাংলার চির অবহেলিত গ্রামগুলো।
আকাশছোঁয়া স্বপ্নচারী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ভূমিহীন, গৃহহীন সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতে ক্লান্তি ও নিদ্রা ছেড়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার আপনার আহ্বানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিকাদার নিয়োগ ছাড়াই সারা দেশে বিশাল এ প্রকল্প জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে আপনি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এক লাখ ২৩ হাজার ২৪৪টি ঘর দিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পরিবারকে আনন্দে কাঁদিয়েছেন। এর আগে কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু করেছেন আপনি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসিত হয়েছে। মানবতার মা হয়ে পর্যায়ক্রমে প্রায় ১০ লাখ পরিবারকে আশ্রয়ণের আওতায় নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছেন আপনি।
২৬ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে আরও ৩২ হাজার ৯০৪টি অসহায় পরিবারের হাতে পবিত্র রমজান মাসে ঈদুল ফিতরের আগেই ঈদের উপহার হিসাবে জমিসহ ঘরের মালিকানার দলিল তুলে দিতে যাচ্ছেন। আপনার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের তুলনায় ব্যয় বাড়িয়ে তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোকে মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কাঠামোতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পরিবারে যেমন ঈদ আসবে চোখের জলে অন্য এক খুশির আমেজ নিয়ে, তেমনি সারা দেশের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা জানি চায়ের দেশ খ্যাত বঙ্গবন্ধুর বহু স্মৃতিবিজড়িত মৌলভীবাজার জেলা আপনারও একটি পছন্দের জায়গা। আজ (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে আপনার মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলার ৪৯৫টি পরিবারকে উপহারের ঘর ও জমির দলিল বুঝিয়ে দিতে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অন্যের বাড়িতে থাকা ভূমিহীন সাবের, মঈন উদ্দিন, হোসনা বেগমেরা সেদিন আপনাকে নয়ন ভরে দেখবে বলে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নিজের ঘরে এবার ঈদ করবে ভাবতেই পারছে না তারা!
- আরো পড়ুন : আত্মহত্যা নয়, লড়াই করুন, পাশে আছি
এবারও অগ্রাধিকার পেয়েছেন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী এবং প্রতিবন্ধী মানুষ। ৩য় পর্যায়ে নির্মিতব্য ৭৭৯টি ঘর নির্মাণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ২১ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে কবুলিয়ত ও নামজারিসহ দুই শতাংশ করে জমি হস্তান্তর করা হচ্ছে। পৌঁছেছে বিদ্যুৎ, আছে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। প্রতিটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে গৃহপ্রদান সনদ। ব্যবস্থা করা হয়েছে উন্মুক্ত খেলার মাঠ। যেখানে আগামী প্রজন্মের শিশুরা একরাশ স্বপ্ন নিয়ে বড় হবে। সবুজায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণের কাজ চলছে। একদিন এ জায়গাটাই ছায়াঘেরা মায়াময় গ্রামে পরিণত হবে।
সেখানে ক্ষেত্রবিশেষে কমিউনিটি সেন্টার, মসজিদ, কবরস্থান, পুকুর ও গবাদি পশুপালনের জন্য সাধারণ জমির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুনর্বাসিত নারী-পুরুষদের বিভিন্ন ব্যবহারিক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কাজ করে উপার্জন করতে পারবে। গৃহিণীরা হাঁস-মুরগি, ছাগল ও অন্যান্য গৃহপালিত প্রাণী পালন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মৌলভীবাজার সদর ও কুলাউড়া উপজেলার আরও ১৫৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আপনার উপহারের ঘর দেওয়ার জন্য সরকারের খাস জমির বাইরে ৩২ কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নতুন করে জমি কেনা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২২১৭টি পরিবারকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দিয়েই আমরা থেমে থাকিনি, তাদের জীবনমান উন্নয়নে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগের প্রকল্প হাতে নিয়ে সমন্বিতভাবে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে খাস জমিও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব জমিতে তারা ফলাচ্ছেন নানা ধরনের ফসল। আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিবাসীদের নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে সমবায় সমিতি। সমবায় সমিতির সদস্যদের ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তারা উপার্জন হিসাবে এই টাকা মূলধন হিসাবে কাজে লাগাতে পারেন।
কোটি মানুষকে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার। আপনিও চেয়েছেন দেশের কোনো অসহায় মানুষকেও যেন মাথা নিচু করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের জমি ও বাড়ির মালিক বানিয়েছেন। বাড়িয়েছেন তাদের সামাজিক মর্যাদা। এই বাড়ি এখন তাই কেবল তাদের ঠিকানা নয়, আত্মমর্যাদা আর সম্মানেরও প্রতীক। ক্রমান্বয়ে বাকি সব পিছিয়ে পড়া মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছেন আপনি। আর তা হলে অবাক বিস্ময়ে দেখবে বিশ্ব-শেখ মুজিবের সোনার বাংলায় কেউ নেই অবহেলায়। বিস্ময়ভরা চোখে সারা পৃথিবী দেখছে বিশ্বের বুকে জেগে উঠছে এক নতুন ব-দ্বীপ বাংলাদেশ। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে জড়িয়ে যাওয়া বন্যা, ঝড়, খরা ও নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাড়িয়ে আপনার যোগ্য নেতৃত্বে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি। সবাইকে অবাক করে দিয়ে পরিবর্তনের গল্পগুলো এভাবে রচিত হবে, তা কি কেউ কখনো ভেবেছে!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে বাংলাদেশের বদলে যাওয়া সক্ষমতা সম্পর্কে আপনি ইতোমধ্যে বিশ্বকে জানান দিয়েছেন। আপনার মহান এ কাজে আমরা কোনোরূপ ত্রুটি রাখতে চাই না। তারপরও এ কাজ করতে গিয়ে হয়তো আমাদের সমালোচনা থাকবে। এ সমালোচনাকে শুদ্ধতা লাভে সহায়ক হিসাবে ধরে নিয়ে আপনার দেখানো অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকব আমরা। আমাদের প্রত্যাশা, সমালোচনা মাথায় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে আপনি আমাদের সবার অনুপ্রেরণার অফুরান উৎস হয়ে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন। তাহলে সমালোচনার পাহাড় বেয়ে আমরা পৌঁছে যাব উন্নয়নের চরম শিখরে।
আপনি বাংলার মানুষকে প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন উপহার দিয়ে চলেছেন। উপহারের ঘর পাওয়া বীরাঙ্গনা শিলা গুহের নিমন্ত্রণের জবাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছিলেন, ‘আমি যদি সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই আপনার ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করব।’ প্রজাতন্ত্রের একজন সামান্য কর্মচারী হিসাবে সেই থেকে আমিও প্রতীক্ষার প্রহর গুনছি কখন আপনি মৌলভীবাজার এসে আপনার দেওয়া মহামূল্যবান উপহারগুলো নিজের চোখে দেখে আমাদের চির কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করবেন।
মীর নাহিদ আহসান, জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার
- খোলা জানালা বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। eyenews.news-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে eyenews.news আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ