অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন
আপডেট: ২৩:৫৬, ৪ জুন ২০২২
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু: বঙ্গবন্ধু প্রতিশ্রুত কল্যাণ রাষ্ট্রের অভিমূখে অগ্রযাত্রা
বৃদ্ধ বয়সটা আসলেই অনেক কষ্টের। এ সময় আলস্য, অসুস্থতা, জরা ও পরনির্ভরশীলতা ব্যক্তিকে গ্রাস করে। ফলে তাঁরা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হন। দরিদ্রদের জন্য এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন, কেননা তাঁদের এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার আর্থিক সামর্থ্য নেই। পল্লীর বৃদ্ধ ও দরিদ্র নারীদের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
বার্ধক্য মানব জীবনের স্বাভাবিক গতিপ্রবাহের একটি অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। মৃত্যুর মত বার্ধক্যও জীবনের এক অনিবার্য অবস্থা, চরম বাস্তবতা। কৈশোর, তারুণ্য এবং যুব বয়স পেরিয়ে বার্ধক্য মানব জীবনের এক অলংঘনীয় সত্য। বর্তমান বিশ্বের সামাজিক সমস্যার তালিকায় একটি উদ্বেগজনক সংযোজন হচ্ছে বয়স্ক সমস্যা। পরিবার কাঠামোর পরিবর্তন ঘটায় চিরাচরিত ঐতিহ্যগত নিয়মে এখন আগের মত পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের বাড়তি চাহিদা পূরণ ও সেবাদান সব সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। ক্ষয়িষ্ণু শরীর কাঠামো, রোগ-শোক, আন্তরিক ও ইনফরমাল সামাজিক সম্পর্কের অনুপস্থিতি, একক পরিবারের প্রাধান্য ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিরাপত্তাহীনতা বয়স্ক সমস্যাকে জটিলতর করে তুলেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতি সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্ট অন ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল ষ্ট্যাটিসটিকস ২০২০’ অনুযায়ী, গত ১ জানুয়ারি জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ, যার ৮ দশমিক ৩ শতাংশ ষাটোর্ধ্বে। এই হিসাবে ১ কোটি ৪০ লাখ ৩৬ হাজার ১৩০ জন সরকারি বিবেচনায় সিনিয়র সিটিজেন। আমাদের বর্তমান গড় আয়ু ৭৩ বছর, যা ২০৫০ সালে ৮০ বছর এবং এবং ২০৭৫ সালে ৮৫ বছর হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় আগামী তিন দশকে একজন কর্মজীবী ব্যক্তি অবসর গ্রহণের পরও গড়ে ২০ বছর আয়ু থাকবে। বাংলাদেশে বর্তমানে নির্ভরশীলতার হার ৭.৭ শতাংশ, যা ২০৫০ সালে ২৪ শতাংশ এবং ২০৭৫ সালে ৪৮ শতাংশ উন্নীত হবে। গড় আয়ুস্কাল বৃদ্ধির পাশাপাশি নগরায়ণের কারণে একক পরিবারের সংখ্যাও বাড়ছে। এর ফলে ঘুরে-ফিরে একটি বিষয় উঠে আসে- মানুষ পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে; বিশেষ করে পরিবারের সঙ্গে বা অন্যান্য সদস্যের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে যার বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন বয়স্করা।
একসময় প্রাণচাঞ্চল্যময় যৌথ পরিবার থেকে উঠে আসা এসব প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) -এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘দেশের প্রবীণদের এক-চতুর্থাংশ অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির হার নারীদের মধ্যে বেশি।’ এই প্রতিষ্ঠানের অন্য একটি গবেষণা বলছে, ‘দেশের গ্রামা লের ৫২ শতাংশ প্রবীণ বাত ব্যাথায় ভুগছেন। এই ঝুঁকি সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এমন প্রেক্ষাপটে সব শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীসহ প্রবীণদের জন্য সার্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন ‘সময়ের দাবি’।
বিশ্বজুড়ে সাধারণত আনফান্ডেড, ফান্ডেড, ডিফাইন্ড বেনিফিটস (ডিবি), ডিফাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (ডিসি) এই চার ধরনের পেনশন পদ্ধতি চালু রয়েছে। আনফান্ডেড পেনশনে কোনো কর্মীকে চাঁদা দিতে হয় না বলে এটির জন্য কোনো তহবিলও সৃষ্টি হয় না। ফান্ডেড পেনশনে কর্মী বা প্রতিষ্ঠান বা উভয়কেই চাঁদা দিতে হয়। ডিবি পদ্ধতি সরকারি কর্মচারীদের জন্য। ডিসি পদ্ধতিতে কর্মী বা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি তহবিলে অর্থ জমা হয় এবং সেখান থেকেই ব্যয় নির্বাহ করা হয়। কোনো কোনো দেশে অবশ্য বিমা কোম্পানির মাধ্যমেও পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। বিশে^র প্রায় সব দেশেই অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণদের আর্থিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পেনশন কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশের পেনশন ব্যবস্থার লক্ষ্যও তাই। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে জনসংখ্যা, অর্থনীতি, শ্রমবাজার ও মানুষের জীবন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পেনশন ব্যবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। ১৮৮৯ সালে জার্মানির চ্যান্সেলর ভন বিসমার্ক সরকারের রাজস্ব আয় থেকে ৬৫-ঊর্ধ্ব শ্রমিকদের সবাইকে একই হারে সামাজিক পেনশনের প্রবর্তন করেন। জার্মানির যুগান্তকারী এ উদ্যোগের সাফল্য দেখে ১৮৯১ সালে ডেনমার্ক ও ১৮৯৮ সালে নিউজিল্যান্ডও সামাজিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করে। বিংশ শতকে এসে পেনশন স্কিম আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে। উন্নত দেশগুলো একের পর এক প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পেনশন সুবিধা চালু করে কল্যাণ রাষ্ট্র ধারণার সূচনা ঘটায়। মারসার সিএফএ ইনস্টিটিউটের গ্লোবাল পেনশন সূচক ২০২১ অনুযায়ী পেনশন স্কিমের ভিত্তিতে আইসল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশ। আইসল্যান্ডের পেনশন ব্যবস্থাকে ‘থ্রি পিলার অ্যাপ্রোচ’ বলা হয়ে থাকে। প্রথম স্তরে সোশ্যাল সিকিউরিটি সিস্টেমের আওতায় সরকারি-বেসরকারি খাতের ৬৫ ও ৬৭ বছর অতিক্রান্তে বসবাসের গড় খরচের ১৫ শতাংশ পেনশন হিসেবে দেয়া হয়। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে পেশাভিত্তিক পেনশন। আর তৃতীয় স্তম্ভের মাধ্যমে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন প্রাইভেট পেনশন স্কিমে পেশাভিত্তিক পেনশন, যার মাধ্যমে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও নিয়োগকৃতদের যৌথ অর্থায়নে প্রবীণ বয়সে বসবাসের গড় খরচের ৫০-৬০ শতাংশ পেনশন হিসেবে পান। আইসল্যান্ডে বেসরকারি উদ্যোগে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত বিভিন্ন পেনশন স্কিমও বেশ জনপ্রিয়। উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে শান্তিময় দেশের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে আইসল্যান্ড। এর ঠিক পরেই আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও ডেনমার্ক।
জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর তাঁর উদ্যোগে ব্যাপক ভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রচলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৯৭/৯৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বয়স্ক ভাতা, ৯৮/৯৯ অর্থবছরে বিধবা স্বামী পরিত্যাক্তা এবং মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী চালু করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, হিজরা, বেদে, শ্রমিক, চা শ্রমিক, কিডনী, লিভার ও জন্মগত হ্নদরোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ৪১৯টি উপজেলায় রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন, ভিক্ষুক পূনর্বাসন, প্রতিবন্ধী কোটা, পথ শিশুদের নিরাপত্তা এবং অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি গড়ে তোলেন। এছাড়া জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল, ভবঘুরে আইন ২০১১, শিশু আইন ২০১৩, মাতা পিতার ভরণ-পোষণ আইন ২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সুরক্ষা আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে ব্যাপকভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্রের পথে এক নতুন দিগন্তের উম্মোচন করেন। ভিশন ৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনা সবকিছুতেই দরিদ্র মানুষের হিস্যাকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র যন্ত্রকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
একজন নাগরিক এই স্কিমে যুক্ত হয়ে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা একটানা দেওয়ার পর তার মাসিক পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে। প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকবে। ফলে চাকরি পরিবর্তন করলেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে। মাসিক সর্বনি¤œ চাঁদা নির্ধারিত থাকবে। তবে প্রবাসীরা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দিতে পারবেন। চাঁদা জমা দিতে ব্যর্থ হলে হিসাব সাময়িক বন্ধ থাকবে। পরবর্তী সময়ে জরিমানাসহ বকেয়া দিয়ে হিসাব পুনায় চালু করতে পারবেন। পেনশনধারীরা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। নির্ধারিত চাঁদা দানকারী ৭৫ বছর হওয়ার আগে মারা গেলে সংশ্লিষ্ট অর্থ জমাকারীর নমিনি এই পেনশন পাবেন। সেক্ষেত্রে নমিনি ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশন পাবেন। নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মৃত্যুবরণ করলে জমাকারীর নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল জমাকারীরর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন প্রাপ্য হবেন। পেনশন স্কিমে জমাকৃত অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার আগে নিবন্ধিত চাঁদা প্রদানকারী মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে। এই ব্যবস্থা স্থানান্তরযোগ্য ও সহজগম্য, অর্থাৎ কর্মী চাকরি পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন করলেও তার অবসর হিসাবের স্থিতি, চাঁদা প্রদান ও অবসর সুবিধা অব্যাহত থাকবে। নিম্ন আয়সীমা নিচের নাগরিকদের ক্ষেত্রে স্কিমে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে প্রদান করতে পারে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সরকার নির্বাহ করবে। পেনশন কর্তৃপক্ষ ফান্ডে জমাকৃত টাকা নির্ধারিত গাইডলাইন অনুযায়ী বিনিয়োগ করবে (সর্বোচ্চ আর্থিক রিটার্ন নিশ্চিতকরণে)। চা দোকানদার, পান দোকানদারসহ সবাইকে সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনা হবে। তারা মাসিক চাঁদা দেবেন, সরকারও কিছু অংশ দেবে। এখান থেকে যে তহবিল গঠিত হবে, সেই তহবিল লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করা হবে। ওই বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয় পেনশনভোগীদের লভ্যাংশ হারে দেয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে পৃথক একটি অ্যাকাউন্ট (হিসাব) খোলা হবে। যেখানে পেনশন পাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত টাকা জমা দিতে হবে। সাধারণ হিসাবে দেখা গেছে, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে একজন মানুষ তার সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০০, ১০০০, ১৫০০, ২০০০, ২৫০০, ৩৫০০ ও ৪০০০ টাকা অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবেন। ১৮ বছর বয়সের একজন নাগরিক যে কোনো অঙ্কের টাকা জমা রাখতে পারবেন। আর পেনশন স্কিমে ১৮ বছর থেকে যুক্ত হয়ে তার ৬০ বছর, অর্থাৎ ৪২ বছর পর্যন্ত অর্থ জমা করতে হবে। ওই হিসাবে ৫শ টাকা জমার বিপরীতে ৬০ বছর পর পেনশন পাওয়া যাবে ৩২ হাজার টাকা, ১৫শ টাকার বিপরীতে ৯৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। একইভাবে ২ হাজার টাকা জমার বিপরীতে ১ লাখ ২৮ হাজার, ২৫শ টাকার বিপরীতে ১ লাখ ৬০ হাজার, ৩ হাজারের বিপরীতে ১ লাখ ৯২ হাজার, ৩৫শর বিপরীতে ২ লাখ ২৪ হাজার এবং ৪ হাজারের বিপরীতে ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
বৃদ্ধ বয়সটা আসলেই অনেক কষ্টের। এ সময় আলস্য, অসুস্থতা, জরা ও পরনির্ভরশীলতা ব্যক্তিকে গ্রাস করে। ফলে তাঁরা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হন। দরিদ্রদের জন্য এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন, কেননা তাঁদের এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার আর্থিক সামর্থ্য নেই। পল্লীর বৃদ্ধ ও দরিদ্র নারীদের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। বঙ্গবন্ধুর অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল উদার গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন ‘২০১৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহার’।
এক্ষেত্রে মূল কথা হচ্ছে, মানুষকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ দেশের সব মানুষকে তথা প্রজাতন্ত্রের সব মালিককে ন্যায্য ও কার্যকরভাবে অন্তর্ভূক্ত করে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। (উত্তরণ, এপ্রিল ২০২১:৬২)। বৈষম্য ও দারিদ্র-সংক্রান্ত বর্তমান বাস্তবতায় এদেশে মুুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারভিত্তিক অন্তর্ভূক্তিমূলক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে-পথেই অগ্রসর হবে বলে আমি মনে করি। মুজিব জন্মশতবর্ষে এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বর্ধিত হারে অর্থ বিনিয়োগ ও এতে অগ্রাধিকার প্রদান জনকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সর্বোত্তম পন্থা বলে মনে করি।
অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ