মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা
কে তাদের শত্রু, কে মিত্র?
কে তাদের শত্রু, কে মিত্র | মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা
উপলক্ষ নির্ভর আন্দোলনের উপকরণ হওয়ার মাঝে কোনো স্বার্থকতা নেই। এর মাধ্যমে প্রকৃত বিপ্লবী হওয়া যায় না। বিপ্লবী হতে গেলে সাধনা লাগে, জীবনভর ত্যাগ লাগে। তাৎক্ষণিকতায় উৎফুল্ল হয়ে উল্লাস করার মধ্য দিয়ে বিপ্লব হয় না। অন্যের ব্যর্থতার ওপর ভর করে আলোচনায় থাকা যায়। অন্যের কর্মসূচির ওপর ভর করে পরিবেশ উত্তপ্ত করা যায়। জনমনে স্থায়ী আসন গড়া যায় না। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে আদর্শ লাগে, দর্শন লাগে।
প্রতিবাদজীবিদের আবেগী কথাবার্তায় বিভ্রান্ত হয়ে রোমান্টিক বিপ্লবী হওয়া যায়, আজীবন সংগ্রামী হওয়া যায় না।
আজীবন সংগ্রামী হতে আদর্শ লাগে,সংগঠন লাগে। দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ও কর্মসূচি লাগে। খন্ডিত ভাবনা আর বাজার গরম ইস্যু দিয়ে সাময়িক বাহবা পাওয়া যায়। সুকৌশলে চৌকসভাবে আকস্মিক মঞ্চে আর্বিভূত হয়ে তালি পাওয়া যায়, বাহবা কুড়ানো যায়। জনমনে স্থায়ী প্রভাব ফেলা যায় না। জনমনে স্থায়ী আসন গড়তে হলে আদর্শিক চর্চা লাগে, নীতিনিষ্ঠ কর্ম লাগে।
কোনো ঘটনা বা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতি হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দৃশ্যপটে আসা যায়, অস্থিরতা সৃষ্টি করা যা, খন্ডকালীন প্রশংসা কুড়ানো যায়। কিন্তু, জনমনে স্থায়ী প্রভাব ফেলা যায় না। টেকসই চিন্তা করুন। নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত না করে তাদেরকে মুক্ত চিন্তা করতে দিন। তাদের সাহস ও প্রতিবাদকে সম্মান জানিয়ে হীন প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। এ প্রজন্ম যখন জেগে উঠেছে তখন তাদেরকে পরিচর্যা করুন। স্থাবকদের বর্জন করে সুন্দর আগামীর জন্য এদেরকে প্রস্তুত করুন। এরাই রাজনীতিকে সংশোধন করবে। সমাজকে সংস্কার করবে। মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের মুক্তির দূত হিসেবে তারা আর্বিভূত হবে। নতুন প্রজন্মের দেশপ্রেম ও টেকসই চিন্তা কে বিকশিত হতে দিন, পরিণত হতে দিন। এরাই প্রথাগত অসুস্থ রাজনীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে আঘাত এনে উচ্ছিষ্টভোগীদের রুখে দাঁড়াবে। শিক্ষার্থীদের জাগরণ রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য হতে পারে অভূতপূর্ব ঘটনা।
দয়া করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দাবার চাল হিসেবে ব্যবহার করবেন না। পর্দার আড়ালের অশুভ খেলার হাতিয়ার হিসেবে এদের ক্ষোভকে ব্যবহার বন্ধ করুন। এদের জীবন বিপন্ন করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। এরা যখন শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল পরিবেশ ফিরে পাবে তখন তারাই নির্ধারণ করবে কে তাদের শত্রু, কে মিত্র।
লেখক- মুক্তাদির আহমেদ মুক্তা, সংবাদকর্মী
- বাংলাদেশে শিশু শ্রম: কারণ ও করণীয়
- ২০২৩ সালে কী সত্যিই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ আসছে?
- পনেরো আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দ্বন্ধ
মোশতাক বললেও মন্ত্রীদের কেউ সেদিন বঙ্গবন্ধুর লাশের সঙ্গে যায়নি! - করোনা যেভাবে চিকিৎসকদের শ্রেণীচ্যুত করলো
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সমস্যা এবং সম্ভাবনা
- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুকুর স্থানান্তরকরণ ও ভবিষ্যৎ
- শরীফার গল্প পড়তে আমাদের এতো কেন সমস্যা?
- ফিলিস্তিনে প্রাণ হারাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা
- মহান মুক্তিযুদ্ধে বিদেশী গণমাধ্যমের ভূমিকা
- রেমডেসিভির একটি অপ্রমাণিত ট্রায়াল ড্রাগ