Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫,   চৈত্র ২৭ ১৪৩১

প্রত্যুষ তালুকদার

প্রকাশিত: ১৩:৪১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
আপডেট: ১৪:৪৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

একটি ‘হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস’ বাসের ‘স্বাস্থ্যবিধির রূপকথার’ গল্প

আমি এক মাস্ক-গ্লাসপড়া চিড়িয়া জড়োসড়ো বসে বসে ভয়ে ভয়ে ভাবতেই থাকলাম...এতোগুলা অনিয়ম ; এতোগুলো ভয়াবহ অপকর্ম একসাথে হচ্ছে - অথচ দেখার কেউ নেই ; অভিযোগ গ্রহণেরই কারো কোনো আগ্রহ নেই...??

[শুক্রবার সকাল। আমি বাসটিতে চেপে সিলেট থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় এমনটিই দেখেছি। আসলে এটি প্রায় সকল গণপরিবহনের কমন চিত্র]

১. বাসের চালক ও সহযোগীদের কারোই মাস্ক নেই। শুধু টিকিট কালেক্টরের মাস্ক ছিলো।

২. গাড়িতে ওঠার সময় কোনো যাত্রীকে স্যানিটাইজার, সাবান বা স্প্রে দেওয়া হয়নি; বা এ বিষয়ে একটি কথাও বলেনি বাস চালক।

৩. যাত্রীদের অধিকাংশই মাস্ক পড়েননি। (মাস্ক-গ্লাস পরিহিত আমাকে 'এলিয়েন' ভেবে তাচ্ছিল্যের চোখে তাকাচ্ছিলেন বাসের বীরপুরুষেরা)

৪. শুইয়ে রাখা একটি স্প্রে গড়াগড়ি খাচ্ছিলো সামনের গ্লাসের বেসমেন্টে।

৫. হুমায়ূন রশীদ চত্বরে পুলিশের পক্ষে বড়ো সাইনবোর্ড ঝোলানো, "এখানে গাড়ী পার্কিং নিষেধ"। কিন্তু বাসটি অন্তত দশ মিনিট দাড়ালো ও চিৎকার করে যাত্রী ওঠানো হলো। দেখার কেউই ছিলোনা।

৬. আরও ভয়াবহ বিষয় হলো, এখানেই হাতে বাক্স নিয়ে এক বয়স্ক লোক অবলীলায় বাসে ঢুকে প্রতিটি সিট ঘেঁষে টাকা চাইতে শুরু করলো। মাস্ক তো ছিলোই না; বরং তার আলখেল্লায় যথেষ্ট ময়লা ছিলো। হেল্পার কোনো বাধাই দেয়নি। এগুলো নিয়েই বাস পরিক্রমা হলো তার। সে এভাবেই টাকা তুলবে সারাদিন। বাসে বাসে ঘুরে বেড়িয়ে।... কেউ কিচ্ছু বলবেনা!!!

৭. আমি এক মাস্ক-গ্লাসপড়া চিড়িয়া জড়োসড়ো বসে বসে ভয়ে ভয়ে ভাবতেই থাকলাম...এতোগুলা অনিয়ম ; এতোগুলো ভয়াবহ অপকর্ম একসাথে হচ্ছে - অথচ দেখার কেউ নেই ; অভিযোগ গ্রহণেরই কারো কোনো আগ্রহ নেই...??

বাস দু'ঘন্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছুবে; কে জানে এখান থেকে কোন "মরণবীজ" সাথে নিয়ে বাড়ি যেতে হবে আমায়...

শুধুই হাঁকডাক, নিয়ম নীতি, বিধিনিষেধ-- হল্লাচিল্লা!!
এমন বাস্তবতা- কে শোনে কার কথা?

কে তদারকি করছে? কে অভিযোগ শুনছে?
... ভুক্তভোগীরা আমার মতোই ভয়-সংশয়-শংকা চেপে জীবানু নিয়ে বাড়ী ফিরছে!!

প্রত্যুষ তালুকদার, সাংবাদিক (লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া)

Green Tea
সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়