পূর্ণা রায় ভৌমিক
আপডেট: ১৯:৩৩, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১
‘শিশুদের একটা চকলেট দেইনি, যদি মাস্ক খুলে ফেলে’
আমি একজন প্রধান শিক্ষক। তবে প্রথমে আমি শিক্ষক, তারপর প্রধান শিক্ষক। প্রত্যেক মানুষের একটি নিজস্ব জগৎ আছে। আমার জগতে নিজের সন্তানের মতোই আবেগের জায়গা আমার খেলাঘর, কর্মক্ষেত্র। এখানে আমি একেকটি শিশুকে আবিষ্কার করি একেকভাবে। ওদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে আমি নিত্যদিন নতুন কিছু শিখি।
কোভিড-১৯ অতিমারিতে আমাদের এই ভাব বিনিময়ে যে ছেদ পড়েছিলো, আজ দীর্ঘ ১ বছর ৫ মাস ১১ দিন পর আবার সুযোগ পেলাম শিশুদের সাথে সরাসরি কথা বলার।
তবে, আমার আবেগ উচ্ছ্বাস যেনো শিশুদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ না করে এই চেষ্টাই এখন সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখে আজকের দিনটিকে আমরা সাজিয়েছিলাম।
ওদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সংযত করেছি আমাদের আবেগকে। শিশুদেরকে একটা চকলেট দেই নি, কি জানি মাস্ক খুলে ফেলে। কাঁচা ফুল দেই নি সঙ্গত কারণেই। দূর থেকে কথা বলেছি, বাতাসে হ্যান্ডশেক করেছি। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়েছি বেশি।
সব মিলিয়ে আমাদের আজকের এই উৎকণ্ঠিত মিলনমেলা অনেক আনন্দের আভাস দিলো। যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে হয়তো আমাদের খেলাঘর চলবে।
তবে, শিক্ষক হিসেবে আমরা খুশি হয়েছি এটা যেমন সত্যি, ঠিক তেমনি কোমলমতি শিশুদেরকে শ্রেণিকক্ষে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট মাস্ক পরা নিশ্চিত করাটাই এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছি। দেখা যাক সময় কি বলে!
পূর্ণা রায় ভৌমিক, প্রধান শিক্ষক, আলী আমজদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌলভীবাজার
- ঢাকার হানিফ, চট্টগ্রামের মহিউদ্দিন, সিলেটের ছিলেন কামরান
- নৌযান দুর্ঘটনায় পরিবারকে হারানো সেই মিমের দায়িত্ব নিলেন ব্যারিস্টার আহসান হাবীব
- পুলিশের চোখের জলে উন্মোচন হল জোড়া খুনের রহস্য
- ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত বানাতে চা শ্রমিক মায়ের অদম্য যুদ্ধের গল্প
- পুলিশ কর্মকর্তার ডায়েরি-২
জাদরেল বাবার দুই মেয়ে অপহরণের নাটকীয় কাহিনী - গ্রামের কবরে ঠাঁই দিতে এক করোনাযোদ্ধার আর্তি
- রোজাদার রিকশাওয়ালাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করলেন প্রভাবশালী পথচারী
- হাসি ভরা মুখ নিয়ে ভাইরাল কানাডার যুবক
- কষ্ট লাঘবকারি চিকিৎসার আকুতি চিকিৎসকের
- সেই রিকশাচালকের চোখের পানি আনন্দাশ্রুতে পরিণত করলেন এক তরুণ ব্যারিস্টার