Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৭ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

লিটন ছাড়াই ঘরের মাঠে ব্যাঙ্গালুরুকে হারাল কলকাতা

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে ডু প্লেসিস-কোহলিদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা কলকাতার জন্য ডো আর ডাই ম্যাচ ছিল। হারলে প্লে অফে খেলার আশা একেবারেই নিভে যেতো কলকাতার। সেজন্য ব্যাঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে একাদশে পরিবর্তন আনা হয়; লাইন আপ থেকে বাদ পড়েন লিটন। কিন্তু এতে যেন ভালই হয়েছে কলকাতার। প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠেই বিরাট কোহলিদের ২১ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে কলকাতা। 

বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা। এ ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২০০ রান করেছে নাইট বাহিনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ব্যাঙ্গালুরু।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

এ ম্যাচে এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে কলকাতা। এদিন নাইটদের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে নারায়ন জগদীশানকে সঙ্গে নিয়ে ক্রিজে আসেন জেসন রয়। 

ম্যাচের শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করেন রয় ও নারায়ন। এ জুটিতে প্রথম ছয় ওভারে ৬৬ রান তোলে নাইটরা। দলীয় ৮৩ রানে দুর্দান্ত এ জুটিতে আঘাত হানেন ব্যাঙ্গালুরুর বৈশাক। এতে ব্যক্তিগত ২৭ রানে আউট হয়ে যান নারায়ন।

এরপর ক্রিজে আসেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভেঙ্কটেশ আইয়ার। তাকে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন রয়। তবে ফিফটির ইনিংস বড় করতে পারেননি এ ইংলিশ ব্যাটার। বৈশাকের বলে ৫৬ রানে তিনিও সাজঘরে ফেরেন।

বাইশ গজে প্রবেশ করেই ঝড় তোলেন কলকাতা দলপতি নীতিশ রানা। আইয়ার-রানা জুটিতে ১৬৩ রানে পৌঁছে যায় কলকাতা। এরপর হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়েন রানা। হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ৪৮ রানে আউট হয়ে যান তিনি।

পরের বলেই সাজঘরে ফেরেন আইয়ারও। এ ম্যাচে ২৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এরপর রিংকু সিং ও ডেভিড উইজের ঝোড়ে ক্যামিওতে ২০০ রানে ছুঁয়ে ফেলে কলকাতা।

এদিন ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বৈভব ও হাসারাঙ্গা ‍দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন ব্যাঙ্গালুরুর ওপেনার ফ্যাফ ডু প্লেসি ও কোহলি। ম্যাচের প্রথম দুই ওভারেই ৩১ রান তোলেন এ দুজন ব্যাটার। তবে তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে কলকাতার ইমপ্যাক্ট বোলার সুয়াশের বলে রিংকুর তালুবন্দী হন ডু প্লেসি। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ১৭ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন শাহবাজ (২) ও অজি ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫)। তবে মাহিপালকে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন কোহলি। পরে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক তুলে নেন ব্যাঙ্গালুরু দলপতি। 

কলকাতার স্পিনার বরুণের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন মাহিপাল (৩৪)। এরপরই আউট হয়ে যান কোহলি। রাসেলের বলে ডিপ মিডউইকেটে খেলতে গিয়ে আইয়ারের তালুবন্দী হন বিরাট। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ৫৪ রান করেন এ ব্যাটার। মূলত সে সময়ই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে আউট হয়ে যান দীনেশ কার্তিক (২২), সুয়াশ (১০) ও হাসারাঙ্গা (৫)। তবে ১১ রানে ডেভিড উইলি ও বিজয়কুমার ১৩ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।

এদিন কলকাতার হয়ে তিন উইকেট শিকার করেন বরুণ চক্রবর্ত্তী। এছাড়াও সুয়াশ শর্মা ও আন্দ্রে রাসেল দুটি করে উইকেট তুলে নেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়