Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৮ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:১৯, ৮ জুলাই ২০২৩

আফগানদের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

একদিকে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে নিয়মিত অধিনায়ক তামিমের অনুপস্থিতি সবমিলিয়ে কিছুটা হলেও বাড়তি চাপ নিয়ে আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই হতাশার চিত্রই যেন ফুটে ওঠেছে দলের মাঠের পারফরম্যান্সে। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং ধ্বস।

সেখান থেকে মুশফিক-মিরাজের ব্যাটে অন্তত মান বাঁচাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজে টিকে থাকতে পারেনি। ১৪২ রানের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিহ নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা। আর তাতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। 

টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩১ রান করেছে আফগানিস্তান। সফরকারীদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান এসেছে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ব্যাট থেকে। তাছাড়া সেঞ্চুরি পেয়েছেন আরেকন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানও। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়ায় ৪৩ ওভার ২ বলে ১৮৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। যেখানে সর্বোচ্চ ৬৯ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে।

দুপুরে টস হেরে খেলতে নেমে শুরুতে সতর্ক ছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। দ্রতই ডানা মেলতে থাকেন তারা। ইব্রাহিম ধরে রাখেন এক প্রান্ত, গুরবাজ দেখা দেন চেনা ঢঙে। বাংলাদেশের বোলারদের আলগা বোলিংও তাদের কিছুটা সাহায্য।  শুরু থেকে এদিন লাইন-লেন্থ পেতে ধুঁকছিলেন হাসান, মোস্তাফিজরা। হাসানকে একাধিকবার ওভার স্টেপে নো বল করতেও দেখা যায়।

গুরবাজ ক্রমেই হয়ে উঠেন ভয়ানক। কোন সুযোগ না দিয়েই ছুটতে থাকেন দুর্বার গতিতে। প্রথম ৩০ বলে ১৮ করা ওপেনার ৪৮ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। পরে ১০০ বলে পৌঁছান ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে। সেঞ্চুরির পরও দুর্বার হতে থাকে তার ব্যাট। ওপেনিং জুটি ভাঙার কোন দিশাই যেন পাচ্ছিল না বাংলাদেশ।

সেঞ্চুরির পর দ্রুত রান বাড়িয়ে ভয় ধরানো তারকা দেড়শোর কাছে গিয়ে পা হড়কান। ১০০ থেকে ১৪৫ পর্যন্ত যেতে তার লাগে ২৪ বল। টি-টোয়েন্টি ঘরানায় খেলা নিয়ে স্পর্শের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দিকে ছিলেন তিনি। সাকিবের বলে পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউতে বিদায় তার। ১২৫ বলের ইনিংসে ১৩ চার আর ৮ ছক্কায় থামেন ১৪৫ রানে।

আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড গড়ে তার বিদায়ের পর নামে ধস। বিনা উইকেটে ২৫৬ থেকে ৩৩১ পর্যন্ত যেতে আর ৭৫ রানে তারা হারায় ৯ উইকেট।

শুরুতে আলগা বল করা বাংলাদেশের পেসাররা স্লগ ওভারে নিজেদের খুঁজে পান। মোস্তাফিজ নেন ৬০ রানে ২ উইকেট, হাসান ৭০ রান খরচায় পান সমান ২ উইকেট। নিজের স্পেল শেষ করার সময় উলটে পড়ে বাম পায়ে চোট পেয়ে বেরিয়ে যান তিনি। তার আগে অবশ্য রহমত শাহর উইকেট নেন ইবাদত। শুরুতে এলোমেলো থাকলেও পরে সামলে নিয়ে প্রভাব রেখেছেন সাকিব। ১০ ওভার বল করে ৫০ রানে নেন ২ উইকেট। মিরাজ বেশ কিছুটা খরুচে। ৯ ওভারেই ৬০ রান দিয়ে তিনি তুলেন ২ উইকেট।

শেষ দিকে ভালো করে প্রতিপক্ষকে সাড়ে তিনশোর আগে থামিয়ে রাখা গেলেও জবাব দেওয়া গেল ব্যাটে। হতাশায় সিরিজ শেষ করল বিবর্ণ বাংলাদেশ দল।

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়