Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১৪ জুলাই ২০২৩

১৫৫ রানের লক্ষে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

শেষ চার ওভারে লাগামছাড়া হয়ে পড়ল বাংলাদেশের বোলিং। মোহাম্মদ নবি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ছক্কার মিছিল শুরু করলেন। একশর নিচে ৫ উইকেট খুইয়ে ফেলা আফগানিস্তান তাদের কল্যাণে পেল লড়াইয়ের পুঁজি।

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছে আফগানরা।

পাঁচে নামা নবি অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ ছক্কা ও ১ চার। বাংলাদেশের ছয় বোলারের- অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম- সবাই উইকেটের দেখা পান। সাকিব ২ উইকেট শিকার করেন ২৭ রানে।

ইনিংসের ১৬ ওভার শেষে রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১০১ রান। এরপর তারা বাকি ২৪ বলে তোলে ৫৩ রান। তাসকিন ও সাকিব নিজেদের ওভারে ১৪ রান করে দেন। মোস্তাফিজ তার দুই ওভারে খরচ করেন যথাক্রমে ১৪ ও ১১ রান।

অথচ তৃতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট প্রাপ্তির উল্লাসে ভাসান বাঁহাতি স্পিনার নাসুম। হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফিরিয়ে তিনি ভাঙেন আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। নাসুমের বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন জাজাই। তার সংগ্রহ ১০ বলে ৮ রান।

চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে আউট করেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের ডেলিভারিতে সীমানার কাছে তার ক্যাচ তালুবন্দি করেন মিরাজ। গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ১৬ রান।

আফগানিস্তানের দুই ওপেনারকে বিদায় করার পর ইব্রাহিম জাদরান ও করিম জানাতকেও টিকতে দেয়নি টাইগাররা। হাত ঘুরাতে এসেই তাদের শিকার করেন যথাক্রমে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ও বাঁহাতি স্পিনার সাকিব।

পঞ্চম ওভারে ইব্রাহিমের ক্যাচ গ্লাভসে জমান উইকেটরক্ষক লিটন দাস। তার রান ৬ বলে ৮। অষ্টম ওভারে জানাত ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে কুপোকাত হন। লং অন থেকে দৌড়ে এসে তার ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ৯ বলে করেন ৩ রান।

৫২ রানেই ৪ উইকেট খুইয়ে দল চাপে। সেই পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন নবি ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। তবে তারাও রানের চাকায় দম দিতে পারেননি। তাদেরকে বেশিদূর এগোতে দেননি মিরাজ। অফ স্পিনারকে উইকেট দিয়ে ফেরেন নাজিবউল্লাহ। ২৩ বলে ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

নাজিবউল্লাহকে বিদায় করতে দক্ষতার পরিচয় রাখেন লিটন। বাঁহাতি ব্যাটারের ব্যাটে লেগে প্যাড ছুঁয়ে আসা বল অসাধারণ রিফ্লেক্সে দ্বিতীয় দফায় গ্লাভসে জমান তিনি। এতে ভাঙে আফগানিস্তানের ৩৭ বলে ৩৫ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণ চালায় সফরকারীরা। থিতু হয়ে যাওয়া নবি হাত খোলেন। অন্যপ্রান্তে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন ওমরজাই। আগ্রাসী কায়দায় মাত্র ৩১ বলে ৫৬ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করেন দুজন।

১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা হজমের পর শেষ বলে প্রতিশোধ নেন সাকিব। তাকে ফের উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় ঘণ্টা বাজে ওমরজাইয়ের। ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর রশিদকে ঝুলিতে পুরে উইকেট শিকারে যুক্ত হন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ।

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়