Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৫ ১৪৩২

আই নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান লাইভ স্কোর

আফগানদের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুঁড়ে দিলো বাংলাদেশ

পাঁচ বছর বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে ওপেনিং করতে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। শতক হাঁকিয়েছেন এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তও। মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরির পর শেষদিকে মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান সংগ্রহ করেছ বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হতাশাজনকভাবে ৫ উইকেটে পরাজিত হওয়ায় এশিয়া কাপে টিকে থাকতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে জিততেই হবে। বাঁচামরার সেই ম্যাচে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। তানজিদ হাসান, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেছেন আফিফ হোসেন, শামিম হোসেন ও হাসান মাহমুদ।

রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফিগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তানজীদ হাসান তামিম বাদ পড়ায় আফগানদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর আগে শুধু ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালেই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন মিরাজ।

লাহোরের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। বিশেষ করে নাইম একটু বেশিই মারমুখী ছিলেন। শুরুতে খোলসবন্দি থাকলেও পরে তার সঙ্গে হাত খুলেন মিরাজও। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারপ্লেতে দারুণ শুরু করেছে টাইগাররা। সেই সঙ্গে সাত ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ।

তবে পাওয়ারপ্লের পর হুট করেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফগান স্পিনার মুজিব উর রেহমানের করা ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন এই বাঁহাতি ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে পাঁচটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ বলে ২৮ রান করেছেন নাঈম। তার বিদায়ের পর মিরাজের সঙ্গে জুটি বাঁধা তাওহীদ হৃদয় ফিরে যান দুই বল পরেই। একাদশ ওভারে গুলবদিন নাইবের বলে ইব্রাহিম জাদরানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি হৃদয়।

এরপরের গল্পটা যেন শুধুই আরেক ওপেনার মিরাজ ও শান্তর। তৃতীয় উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেন ১৯৪ রান। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালের ওপর আবারও উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে মাঠে নামা মিরাজ ইনিংসের ৪১তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে মুজিবের করা ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১১৯ বল খেলে সাত বাউন্ডারি ও তিন ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১১২ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ।

পিছিয়ে ছিলেন না আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করা শান্তও। মিরাজের মাঠ ছাড়ার দুই বল পরই তার মতো ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক হাঁকান এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি শান্ত। ৪৫তম ওভারে বল সুইপ করে সিঙ্গেল নিতে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরও ফিরতে গিয়ে পিছলে গিয়ে রানআউট হন শান্ত। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ বলে ৯ চার ও দুই ছক্কায় ১০৪ রান করেন তিনি।

মিরাজ-শান্ত শক্ত ভিত এনে দেওয়ার পর একসময়ে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের সংগ্রহ কমপক্ষে ৩৫০ রান হবে। সেটি না হলেও স্কোরবোর্ডে ৩৩৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানোর বড় কৃতিত্ব উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। সাকিবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৫ বলে ২৫ রান করেন মুশফিক। মুশফিক ফিরে গেলেও শেষদিকে আফগান বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে চারটি বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ১৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব।

আইনিউজ/ইউএ

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়