Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, শনিবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৬ ১৪৩২

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০১, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

এবার এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন জুনিয়র টাইগাররা

পুরোনো ছবি

পুরোনো ছবি

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের বড়রা যখন প্রথম ওয়ানডে হারার সমীকরণ নিয়ে ভাবছেন। তখন দুবাইয়ে এক অন্যরকম ইতিহাস লিখে ফেলার পথে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের যুবারা। এতোদিন অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের যে শিরোপা ঘরে তোলবার অপেক্ষায় ছিলো তাঁরা তা জিতে নিয়েছে জুনিয়র টাইগাররা।

ফাইনালে প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে রেকর্ড ১৯৫ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যুব এশিয়া কাপের শিরোপার স্বাদ নিল জুনিয়র টাইগাররা।

২০২০ সালে এই অনূর্ধ্ব-১৯ দলই বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ এনে দিয়েছিল। এবার সেই সাফল্যে যোগ হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শিরোপা। 

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি টাইগার যুবাদের। প্রথম ১০ ওভার কেবল তারা ঘরের মাঠে নিজেদের দাপট দেখিয়েছে আমিরাতি বোলাররা। 

পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেটের খরচায় কেবল ২৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হলেও ১৩ ওভারেই দলীয় সংগ্রহ ৫০ রানে নিয়ে যায় বাংলাদেশ। মূলত একাদশ ওভার থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের মারকুটে ব্যাটিংয়ে দল এগিয়ে যেতে থাকে রান পাহাড়ের দিকে। দলীয় ১৩৯ রানে রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙ্গে বাংলাদেশের ১২৫ রানের দুর্দান্ত সেই জুটি।

রিজওয়ানের বিদায়ের পর আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন শিবলি। ৪০ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আরিফুল বিদায় নিলে উইকেটের একপ্রান্ত আগলে ধরে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন শিবলি।

অপরপ্রান্ত থেকে তেমন কোনো সাড়া না মিললেও শক্ত হাতে উইকেট আগলে রেখে তিনি বাগিয়ে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। দলীয় ২৮২ রানের মাথায় হার মানতে হয় তাকেও। তবে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৯ বলে ১২৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের খরচায় ২৮২ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের পঞ্চম ওভার থেকেই শুরু হয় টাইগার বোলারদের আগ্রাসন। যার শুরুটা হয় মারুফ মৃধার হাত ধরে। শেখ পারভেজ জীবনের হাতে ধরা দিয়ে আমিরাতের ওপেনার আরিয়ানুস শর্মাকে মাঠ ছাড়তে হয় মাত্র ৯ রান করে। সেই থেকে শুরু।

এরপর মারুফ-বর্ষণের তোপের মুখে পড়ে গোটা আমিরাত দল। শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। সেই মিছিলে শামিল হয়ে কেবল দুই অঙ্কের রান ছোয়া সম্ভব হয় ওপেনার আক্সাত রাই (১১) ও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ধ্রুভ পারাশার (২৫) পক্ষে।

টাইগার পেসারদের মুহূর্মূহ আক্রমণে স্কোরবোর্ডে কেবল ৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয় স্বাগতিকরা। আর সেই সুবাদে ১৯৫ রানের বড় জয় নিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের খাতায় নাম লেখাল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের যুবারা। 

আই নিউজ/এইচএ  

Green Tea
সর্বশেষ
জনপ্রিয়