স্পোর্টস ডেস্ক
প্রথমবার টেস্টে পাকিস্তান হারাল বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে হারানোর পর বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের উচ্ছাস। ছবি- সংগৃহীত
খেলা হচ্ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিণ্ডিতে। পাকিস্তানের জন্য হোম ভেন্যু হলেও মাঠের খেলায় শুরু থেকেই খেলায় দাপট দেখাচ্ছিল বাংলাদেশ। অবশেষে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ঐতিহাসিক জয়টাও পেলো বাংলদেশই। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর প্রথমবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে পাকিস্তান বধের স্বাদ পেল টাইগাররা। ১০ উইকেটের ঐতিহাসিক জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণার জবাবে বাংলাদেশের ৫৬৫ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তানের চেয়ে ১১৭ রানে এগিয়ে থেকে সফরকারীরা ফিল্ডিংয়ে নামে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ১৪৬ রানে অলআউট হয়। ৩০ রানের জয়ের লক্ষ্যে নামা সফরকারীরা বিনা উইকেটেই বিজয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এক উইকেটে ২৩ রান নিয়ে পাকিস্তান পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ ১৪ রান করে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত হন। বোলার ছিলেন হাসান মাহমুদ। তবে মাসুদের ক্যাচ নেওয়া লিটন পরের ওভারে শরীফুল ইসলামের বলে বাবর আজমের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন।
জীবন পেয়েও বাবর ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২২ রানে পেসার নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন। খানিক পর সাকিব আল হাসানের বলে শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন সৌদ শাকিল।
পঞ্চম উইকেটে আবদুল্লাহ শফিক ও রিজওয়ান ৩৭ রানের জুটি গড়েন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অল্প সময়ের মাঝে চারটি বাউন্ডারি মারেন রিজওয়ান। দলীয় স্কোর একশ পেরোনোর পর সাকিব আল হাসানের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাদমান ইসলামের হাতে ধরা পড়েন ৩৭ রান করা শফিক। আর তাতেই সাকিব গড়েন বিশ্বরেকর্ড। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে নিজেকে সবার উপরে নিয়ে গেলেন মি. অলরাউন্ডার।
ভেট্টোরিকে ৩০৫ ওয়ানডে, ৩৬২ টেস্ট আর ৩৮ টি-২০ উইকেট পেয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার মোট উইকেট সংখ্যা ৭০৫। রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট শুরুর আগে সাকিবের ঝুলিতে ৭০৩ উইকেট ছিল। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে তার শিকার ছিল একটি। শাকিলের পর শফিকের উইকেট পাওয়া মাত্র গড়েন ইতিহাস।
শফিকের বিদায়ের পর কোনো রান না করেই মেহেদী হাসান মিরাজের বলে স্লিপে থাকা সাদমানের তালুবন্দি হন আঘা সালমান।
লাঞ্চ বিরতির পর মেহেদী হাসান মিরাজের নিচু হয়ে যাওয়া বল ঠেকাতে চেয়েছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। বল আঘাত করে তার প্যাডে, লেগ বিফোরে কাটা পড়ে ফেরেন। দলীয় ১১১ রানে সপ্তম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সাকিবের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচে পরিণত হন নাসিম শাহ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঁহাতি বোলার হিসেনে নিজের উইকেট সংখ্যাকে ৭০৭-এ নিয়ে যান টাইগার কিংবদন্তি।
নবম ব্যাটার হিসেবে ফিফটি পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫১ রানে মিরাজের বলে বোল্ড হন। শেষ ব্যাটার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ আলী, তাতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। খুররাম শাহজাদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশি বোলারদের পক্ষে মিরাজ ২১ রানে ৪ উইকেট পান। রেকর্ড গড়া সাকিব ৪৪ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
আই নিউজ/এইচএ
- চেন্নাই সুপার কিংস বনাম গুজরাট টাইটান্স লাইভ স্কোর
- ভারত বনাম নেপাল লাইভ স্কোর | India Vs Nepal Live
- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড লাইভ | Aus বনাম New
- অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান লাইভ | Aus Banam Afg
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর এশিয়া কাপ
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া লাইভ খেলা
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান লাইভ স্কোর | Ban Vs Afg Live Score
- আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর | Pak vs afg Live
- পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকা লাইভ টিভি | Pakistan Vs Srilanka Live
- ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান লাইভ খেলা