সাইফুর রহমান তুহিন
টেস্ট স্ট্যাটাসের দুই যুগ : কোথায় দাঁড়িয়ে দেশের ক্রিকেট?
বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম দিককার তারকা খেলোয়াড়রা। ছবি- সংগৃহীত
১৯৯৭ সালের পূর্বে ক্রিকেট বাংলাদেশে খুব বেশি জনপ্রিয় খেলা ছিলো না। দেশ স্বাধীন হওয়ার কয়েক বছর পরে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু হলেও ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তা ছিলো পুরোপুরি ঢাকাভিত্তিক। খেলোয়াড়রা অভ্যস্ত ছিলেন কৃত্রিমভাবে তৈরি পিচে খেলতে যা পরিচিত ছিলো ম্যাটিং পিচ নামে। এ জাতীয় পিচ তৈরি করা হতো নারকেলের ছোবড়া থেকে। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে তখন ন্যাচারাল পিচ তৈরি করা সম্ভব ছিলো না। সত্যি কথা বলতে গেলে ঐ সময়ে বাংলাদেশে কোনো ভালোমানের পিচ কিউরেটরই ছিলেন না। তখন ক্রিকেটটা ছিলো মূলত: উচ্চশিক্ষিত আর অভিজাত শ্রেণীর খেলা এবং সৌখিন। তবে ১৯৮৩ সালে প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশ্বকাপ জেতার পর ক্রিকেট ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার বাইরেও।
১৯৮৭ সালের শেষভাগে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পরবর্তী সংস্করণ যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয় ভারত ও পাকিস্তানে। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) টুর্নামেন্টের দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করে। তবে এর বাইরে ভারতের
রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল দূরদর্শনের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ম্যাচ উপভোগ করেন বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। ঠিক এক বছর পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজন করে তৃতীয় এশিয়া কাপ ক্রিকেটের। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে এটিই ছিলো প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ অংশ নেয় চারজাতির টুর্নামেন্টটিতে। রাজধানী ঢাকা এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দুই ভেন্যুর খেলাই সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। আর এর মাধ্যমে ঢাকার বাইরে আরও জনপ্রিয় হয় ক্রিকেট।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (একসময়ের সিনিয়র ডিভিশন ক্রিকেট লিগ) ছিলো তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রধান ঘরোয়া ক্রিকেট আসর। শ্রীলংকার অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সানাৎ জয়াসুরিয়া ও রুমেশ রত্নায়েক, পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম ও আমির মালিক, ইংল্যান্ডের নেইল ফেয়ারব্রাদার, ভারতের প্রাভিন আমরে প্রমুখ বিদেশি ক্রিকেটার আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছেন আশির দশকের শেষভাগ থেকে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বড় ম্যাচগুলো দেখার জন্য বিপুলসংখ্যক দর্শক ভিড় করতেন ঢাকা স্টেডিয়ামে (এখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম)। তখন শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও ন্যাচারাল পিচে খেলা হওয়া ছিলো সাধারণ ব্যাপার।
১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি (নন-টেস্ট প্লেইং দেশগুলোর জন্য বিশ্বকাপের বাছাই টুর্নামেন্ট) ছিলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য এক বিশাল টার্নিং পয়েন্ট। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টটি জিতে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে ঠাঁই করে নেয় বাংলার দামাল ছেলেরা। একই বছরের শুরুতে আফ্রিকান দেশ কেনিয়াকে সঙ্গী করে ওয়ানডে স্ট্যাটাসও পায় বাংলাদেশ। আইসিসি ট্রফি জয়ের পর দেশব্যাপী যে উৎসব হয়েছিলো তা এককথায় অভূতপূর্ব। আর তখনই ফুটবলকে টপকে দেশের এক নম্বর খেলা হয়ে যায় ক্রিকেট। এরপর থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত বিচরণ শুরু হয় বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজ ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ। তিনি খুবই স্পষ্টভাষী মানুষ ছিলেন তবে দলের প্রতি তার আন্তরিকতা ও কমিটমেন্ট ছিলো রীতিমতো অনুকরণীয়।
নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার জন্য বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডে পৌঁছায় ১৯৯৯ সালের মে মাসের শুরুতে। ঐ একই সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টেস্ট স্ট্যাটাস তথা আইসিসির পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য তাদের
প্রচারণা শুরু করে। কিন্তু যুক্তিসঙ্গত কিছু কারণে গর্ডন গ্রিনিজ তখন টেস্ট স্ট্যাটাসের তীব্র বিরোধিতা করেন। সত্যি কথা বলতে গেলে তখন টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো অবকাঠামোই ছিলো না বাংলাদেশে। এমনকি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট একটি ভেন্যু পর্যন্ত ছিলো না আমাদের। তাই ব্রিটিশ মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে গ্রিনিজ অবলীলায় বলে ফেলেন যে, এখন টেস্ট স্ট্যাটাস পেলে গোটা ক্রিকেট বিশ্বে হাসির পাত্র হবে বাংলাদেশ। পরে এই মন্তব্য ঠিকই সত্যি প্রমাণিত হয়েছিলো। কিন্তু বিসিবি বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে নেয় এবং বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচের আগেই হেড কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয় গ্রিনিজকে।
যদিও বাংলাদেশ তাদের প্রথম বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে পাঁচ ম্যাচে দুটি জয় দিয়ে (এর একটি ছিলো পরাক্রমশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে) তবে তা কিন্তু টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের জন্য যথেষ্ট ছিলো না। তারপরও বিসিবি এর জন্য আবেদন করে এবং সেটি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। কিন্তু পরবর্তী প্রচেষ্টায় ঠিকই সফল হয় বিসিবি তবে তার পেছনে ক্রিকেটীয় কূটনীতির ছিলো মস্তবড় ভূমিকা।
২০০০ সালের জুন মাসে টেস্ট পরিবারের দশম সদস্য হয়ে যায় বাংলাদেশ। ঐ বছরের নভেম্বরেই প্রতিবেশী ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় আমাদের। কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরের কোনো নিরপেক্ষ ক্রিকেট বিশ্লেষককে প্রশ্ন করেন যে, গত প্রায় ২৪ বছরে টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক কিনা তাহলে সে জোর গলায় নেতিবাচক জবাব দেবে। বছরের পর বছর একের পর এক পরাজয় খুবই বেদনাদায়ক। আর অনেক ম্যাচে ইনিংস পরাজয় এবং চারদিনের কম সময়ে হেরে যাওয়ার জন্য কোনো ব্যাখ্যাই গ্রহণযোগ্য নয়। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত একমাত্র টেস্টে টেস্ট পরিবারের নবীন সদস্য আফগানিস্তানের কাছে ২৪২ রানের হার এখনো অনেকের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে আছে। এটি ছিলো রীতিমতো এক জাতীয় লজ্জা।
গত প্রায় ২৪ বছরে যে শুধু আমাদের টেস্ট পাফরম্যান্সই খারাপ নয়, ওয়ানডেতেও খুব ভালো কোনো অর্জন নেই। শ্রীলংকা যেখানে ১৯৮১ সালে টেস্ট মর্যাদা লাভের পর ১৯৯৬ সালেই বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলো সেখানে আজ পর্যন্ত একটি এশিয়া কাপও জিততে পারিনি আমরা, ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল এখনো অধরাই আছে। বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও আমাদের অবস্থান র্যাংকিংয়ের নিচের দিকেই। কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, আমাদের ক্রিকেটাররা প্রতিমাসে বিপুল পরিমণ অর্থ আয় করেন এবং এটি এমনকি মন্ত্রী-এমপিদের চেয়েও বেশি। আর সাপোর্ট স্টাফ? হেড কোচ, ব্যাটিং কোচ, ফিল্ডিং কোচ, পেস বোলিং কোচ, স্পিন বোলিং কোচ, ফিটনেস ট্রেনার, ফিজিও, কম্পিউটার অ্যানালিস্ট-কোনটি পান না তারা? এতোটা সুযোগ-সুবিধা
কল্পনাই করতে পারে না জিম্বাবুয়ে কিংবা আফগানিস্তানের মতো দল।
উপরোক্ত সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা যে খেলোয়াড়রা ভোগ করেন তারা এর বিনিময়ে আমাদেরকে কি দিচ্ছেন? একথা ঠিক যে, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে সালে আমরা বিশ্ব ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জিতেছিলাম। কিন্তু দুটি জয়ই এসেছিলো হোম কন্ডিশনে খুবই স্লো এবং লো টার্নিং পিচ বানিয়ে। অবশ্য ২০২২ সালের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জয় কৃতিত্বপূর্ণ তবে এর ধারাবাহিকতা কোথায়? এটি খুবই লজ্জার কথা যে, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড কিংবা ভারতের মতো হেভিওয়েট দল তাদের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ টেস্ট কিংবা ওয়ানডে সিরিজ খেলার জন্য বাংলাদেশকে বলতে গেলে আমন্ত্রণ জানায়ই না। এর কারণটাও খুব সহজ অলাভজনক সিরিজ কেইবা আয়োজন করতে চাইবে?
আমরা সবাই জানি যে, আমাদের বিসিবি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডগুলোর একটি। তাই কোথাও না কোথাও কিছু সমস্যা আছে এবং কমবেশি সবাই তা জানেন। বিসিবি কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে একটি মানসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো গড়ে তুলতে পারেনি। প্রতি মৌসুমে আমরা চারদিনের ম্যাচের দুটি টুর্নামেন্ট দেখে থাকি। একটি হলো জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এবং আরেকটি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল)। জাতীয় লিগে অংশ নেয় আটটি দল এবং বিসিএল-এ চারটি। এক্ষেত্রে শুধু মোট ম্যাচের সংখ্যাই কম নয়, প্রতিযোগিতার গুণগত মান, গ্রাউন্ড ফ্যাসিলিটিজ, প্রাইজমানির অর্থ এবং প্লেয়ারস ম্যাচ ফি সন্তোষজনক নয়। অধিকাংশ পিচই ফ্ল্যাট এবং নিচু বাউন্সের। এগুলোতে মূলত: ব্যাটার ও স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন এবং এবং দ্রুতগতির বোলারদের জন্য তেমন কিছুই থাকে না। আর এর ফলস্বরূপ টেস্ট ম্যাচে আমরা কোয়ালিটি ফাস্ট বোলিংয়ের বিপক্ষে রীতিমতো হাঁসফাঁস করি। এমনকি আজ পর্যন্ত আমরা এমন কোনো উঁচুমানের স্পিনার তৈরি করতে পারিনি যিনি বলকে ভালোভাবে টার্ন করাতে পারেন এবং যার বোলিংয়ে অনেক বৈচিত্র্য আছে। আর এর ফলেই ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে আফগানিস্তানের তিনজন কোয়ালিটি স্পিনারের কাছে আমাদেরকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিলো। আরেকটি নেতিবাচক দিক হলো আমাদের জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড়রা না খেলতে চান ঘরোয়া ফার্স্টক্লাস ক্রিকেট, না খেলতে চান ইংলিশ কাউন্টি কিংবা নিউজিল্যান্ডের প্লাংকেট শিল্ডের মতো আসরে।
বিসিবিকে অবশ্যই ঘরোয়া ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটের কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সিরিজ না থাকলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ফার্স্টক্লাস ক্রিকেটে খেলা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তবে এসব খেলা হতে হবে স্পোর্টিং ও বাউন্সি পিচে আর এর পাশাপাশি প্রাইজমানি এবং প্লেয়ার্স ম্যাচ ফি হতে হবে আরও আকর্ষণীয়। তাহলে ক্রমান্বয়ে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। খেলোয়াড় সরবরাহের পাইপলাইনকে শক্তিশালী করার জন্য আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত একটি ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। শক্তিশালী ‘এ’ দল গঠন এবং তাদেরকে বছরজুড়ে দেশে ও বিদেশে ব্যস্ত রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জাতীয় দলের কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার বদলি পাওয়া যেমন সহজ হবে তেমনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া একজন খেলোয়াড়ও ‘এ’ দলে নিজেকে প্রমাণ করে আবার কামব্যাক করতে পারবে। সব কথার শেষ কথা হলো টেস্ট অঙ্গনে মজবুত অবস্থান তৈরি করতে হলে আমাদেরকে গড়ে তুলতে হবে শতভাগ পেশাদারী ব্যবস্থাপনা। ফ্র্যাঞ্চইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর বিপিএল আকর্ষণীয় হওয়াতে দোষের কিছু নেই। তবে সমান আকর্ষণীয় হওয়া চাই জাতীয় লিগ, বিসিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আর ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের জন্য আঞ্চলিক ক্রিকেট এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। বিসিবি কেনো ঢাকায় বসে খুলনা কিংবা সিলেটের ক্রিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করবে?
লেখক : সাইফুর রহমান তুহিন, সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখক
- চেন্নাই সুপার কিংস বনাম গুজরাট টাইটান্স লাইভ স্কোর
- ভারত বনাম নেপাল লাইভ স্কোর | India Vs Nepal Live
- অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড লাইভ | Aus বনাম New
- অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান লাইভ | Aus Banam Afg
- বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর এশিয়া কাপ
- বাংলাদেশ বনাম অস্ট্রেলিয়া লাইভ খেলা
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান লাইভ স্কোর | Ban Vs Afg Live Score
- আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান লাইভ স্কোর | Pak vs afg Live
- পাকিস্তান বনাম শ্রীলংকা লাইভ টিভি | Pakistan Vs Srilanka Live
- ইংল্যান্ড বনাম আফগানিস্তান লাইভ খেলা