সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট: ১৪:৫১, ১৬ জুন ২০২২
সুনামগঞ্জে হঠাৎ বন্যায় দিশেহারা হাজারও পরিবার

পুরোনো ছবি
টানা বৃষ্টি এবং উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে সুনামগঞ্জের সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগের মুখে আছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। সুরমা নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়ে গেছে নিচু এলাকাগুলো, মানুষের বাড়িঘরেও পানি ঢুকায় স্বল্প ব্যবধানে আবারও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (১৫ জুন) সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে ৩৫ ও ছাতকে ১৭৪ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ও ছাতক শহরের নিম্নাঞ্চল পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ছাতক গৌবিন্দগঞ্জ সড়ক, দোয়ারাবাজার সুনামগঞ্জ সড়ক তাহিরপুর বিশ্বম্ভরপুর সড়ক ও সাচনা সুনামগঞ্জ সড়ক। জেলার চারটি উপজেলার ১৯ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ছাতকের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক শতাধিক পরিবার, আর দোয়ারাবাজারে আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে ১০টি পরিবার।
মাত্র এক মাস আগেই ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জবাসী। বর্তমানে সুরমাসহ পাহাড়ি চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ছাতকের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অংশে সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছে নৌকা। শাক-সবজির বাগান, বীজতলাসহ গ্রামীন রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সুনামগঞ্জে পানিবন্দি মানুষের জন্য ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর পাওয়া গেছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ শতাধিক বন্যা কবলিত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর, নোয়ারাই ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার অধিকাংশ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১৬০ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ডাইকি, বটেরখাল ও বোকা নদীর পানিও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমাসহ এসব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার শতাধিক ছোট-বড় সবজি বাগান। শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট ছাড়া গোটা শহরের রাস্তা-ঘাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। শহরের রাস্তায় এখন নৌকা চলাচল করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য শহরের বৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাতিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মণ্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতক সরকারী বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও এসপিপিএম উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছ। ইতোমধ্যেই এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৫ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
আইনিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’