হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে ৬ উপজেলার ৫০ ভাগ এলাকা প্লাবিত

জেলার ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১৭হাজার ৩৪৭পরিবার
হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার প্রায় ৫০ শতাংশ এবং বাহুবল উপজেলায় ১টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ভাটি অঞ্চলখ্যাত আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা প্রায় পুরোপুরি বন্যার পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে।
জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে পানি। টানা বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে জেলার ৭টি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে ।
এরমধ্যে আজমিরীগঞ্জের জলসুখা সদর ইউনিয়ন এবং বদলপুর এলাকায় বেশ ক’টি আশ্রয় কেন্দ্রে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। আর এতে করে ওইসব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে উঠা মানুষদের মধ্যেও বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পৌরসভাসহ সকল ইউনিয়ন, নবীগঞ্জ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন, লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, বানিয়াচং উপজেলার সকল ইউনিয়ন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও মাধবপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যার পানিতে সয়লাব হয়েছে। এর বাইরে বাহুবল উপজেলায় ১টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ২২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১৭হাজার ৩৪৭পরিবার। সরকারিভাবে পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৩৫টি। প্রকৃত পক্ষে জেলার ৬টি উপজেলার ৫০ শতাংশ এলাকা বন্যাকবলিত। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যাও হবে প্রায় দ্বিগুণ।
সরকারিভাবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত বন্যাদুর্গতদের জন্য ১০লাখ টাকা,২০০ মেট্রিক টন চাউল এবং ২হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও বন্যাদুর্গতদের জন্য ৩০টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি স্থির রয়েছে। শেরপুরের উজানে কুশিয়ারা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় নবীগঞ্জে বন্যার পানি তীব্র বেগে প্রবেশ করছে। যার ফলে নবীগঞ্জ, আজমিরীগঞ্জ ও , বানিয়াচং উপজেলার লোকালয়ে বন্যার পানি আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী বন্যার পানিতে ১৫হাজার ৭১০হেক্টর আউশ, ১৪হাজার ৬৩০ হেক্টর বোনা আমন, ১হাজার ৫৯৭ হেক্টর জমির শাকসব্জি এবং অন্যান্য ফসল ৫০ হেক্টর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বন্যার্তদের সব ধরনের সহযোগিতায় পাশে রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষদের দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহযোগিতা। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি।
আইনিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’