কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি
কোম্পানিগঞ্জে গরুর হাটে বন্যার প্রভাব, মিলছে না ন্যায্য দাম

প্রতীকী ছবি
এই কদিন আগেও সিলেটের কোম্পানিগঞ্জের বেশিরভাগ এলাকাই ছিলো পানির নিচে। বন্যার পানি কমায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গরুর হাটে কোরবানির গরু নিয়ে জমায়েত হচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া বন্যার প্রভাব কিছুটা বাজারে পড়ায় গরুর ন্যায্য দাম না পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাটগুলোতে কোরবানির পশুর মোটামুটি আমদানি হলেও বেচা-কেনা জমে ওঠেনি। গরু-ছাগলের ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ খামারি ও গবাদিপশু পালনকারীরা। চাহিদার তুলনায় বেশি পশু থাকলেও উপজেলায় চলমান ভয়াবহ বন্যার কারণে এ দুর্দশা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এবারের কোরবানির পশুর স্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে শাহ আরেফিন বাজার,পাড়ুয়া বাজার, টুকের বাজার, ইসলামগন্জ বাজার ও খাগাইল বাজার এবং ৪ টি অস্থায়ী প্রস্তাবিত পশুর হাটসহ মোট ৯ টি পশুর হাট।
সরেজমিনে উপজেলার পশু বেচা-কেনার সবচেয়ে বড় হাট টুকের বাজার ও ইসলামগন্জ (বুধবারী) বাজার হাটে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার গবাদিপশুর আমদানি মোটামুটি হলেও ক্রেতা কম ও ন্যায্য দাম নেই।
হাটে উপজেলার প্রচুর গৃহপালিত গরু-ছাগলের পাশাপাশি এসেছে বিভিন্ন জেলার গরুও। তবে বেচা-বিক্রি কম।
স্থানীয়রা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বর্ষণে পুরো উপজেলায় দুই দফা ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দুর্গত এলাকার রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর পানির নিচে ডুবে আছে।
বাড়ি-ঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে নদীর বাঁধ, বিদ্যালয় ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসিরা। এ অবস্থায় গবাদিপশুগুলো পালন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে বিক্রি করে দিচ্ছেন সেগুলোকে।
গরু বিক্রি করতে আসা কাঁঠাল বাড়ি গ্রামের লুলু মিয়া জানান, হাটে পশু আমদানি বেশি। কিন্তু সে তুলনায় পাইকারি ব্যবসায়ী না থাকায় কম দামেই বেচা-কেনা হচ্ছে। গরুর খাবার সংগ্রহ ও রাখার জায়গার অভাবে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ কম দামে হলেও বিক্রি করে দিচ্ছেন। লুলু মিয়া বলেন, খাবার সংকট ও রাখার জায়গার কারণে নিজের খামারের ২০ টি গরু গড়ে ৫-৬ হাজার টাকা লোকসানে পাইকারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন।
বিক্রেতারা জানান, মাঝারি আকারের গরু বিক্রি হলেও বড় গরু নিয়ে আতঙ্কিত তারা। চলতি বাজারে একেকটি মাঝারি গরু ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাটার টাকা ও বড় গরুর দাম হাকা হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায়। এতো কম দামেও বেচা-কেনা কম।
তারা আরো জানান, গত বছর যে আকারের গরু বিক্রি হয়েছে লক্ষাধিক টাকায়, এবার সে আকারের গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা। গরুপ্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কম।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বর্নি গ্রামের গরুর ব্যবসায়ী মৌলা মিয়া জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও ৩০ টি গরু লালন-পালন করেছি। খামারের প্রতিটি গরুর মূল্য আকারভেদে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু এবার বন্যার কারণে প্রতিটিতে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা কমে গেছে। ফলে দারুন ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। স্থানীয় অন্য খামারিরাও একই অবস্থায় পড়েছেন বলে জানান মৌলা মিয়া।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান আইনিউজকে জানান, এ বছর কোরবানির জন্য উপজেলায় প্রায় ৩ হাজার ১০০ টি পশু প্রস্তুত করা রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, খাসি-ছাগল ও ভেড়া। তিনি আরো বলেন, ঈদের আরো কয়েকদিন বাকি আছে। পুরোপুরি বিক্রি শুরু হলে কিছুটা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে পশুপালনকারীরা কিছুটা হলেও লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
আইনিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’