ফরহাদ হোসেন, রাজনগর
আপডেট: ২১:৪১, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
রাজনগরে দেখা মিলল প্রাচীন ‘গায়বি মসজিদ’
মসজিদটির বয়স আনুমানিক দুই থেকে তিনশো বছর হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের। ছবি- আই নিউজ
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ব্রাহ্মণ গাঁও কাজীখন্দকার মাজার এলাকায় দেখা মিলল দেশের অন্যতম এক ছোট মসজিদের। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ও প্রস্থ ৬ ফুট। ওই মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন ইমামসহ
পাঁচজন।
স্থানীয়দের ধারণা, মসজিদটির বয়স ২০০ থেকে ৩০০ বছর হবে। কালে কালে সংস্কার করানোর ফলে এখনো মসজিদটির সৌন্দর্য্য বহাল রয়েছে। এলাকার প্রবীনরা জানিয়েছেন, ৩০০ বছর আগে ওই এলাকার মাটির নিচে কিছু ইট পাওয়া গিয়েছিল। ইটের পাশেই ছোট এই মসজিদটির অবস্থান ছিল।
টিলার উপরে মসজিদের অবস্থান থাকায় প্রথম দেখায় বোঝার উপায় নেই এটি মসজিদ। তবে উপরিভাগের ছোট বড় গম্বুজ জানান দিচ্ছে এটি আসলে একটি মসজিদ। চুন, সুরকি ও ইট দিয়ে তৈরি এই মসজিদটির চার কোনায় থাকা চারটি কারুকার্য নান্দনিক পিলার আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ব্রহ্মণগাঁও কাজীখন্দকার মাজারের পাশে অবস্থিত কালের সাক্ষী প্রাচীন ও ইসলামিক ঐতিহ্যের অনন্য নিদর্শনটির নাম ‘গায়বি মসজিদ’ এলাকায় গায়বি মসজিদনামে পরিচিত।
তবে প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তরে তালিকায় নেই মসজিদটি
এলাকার অনেকেই বলেন, পূর্বপুরুষরা বলে গেছেন গভীর অরণ্য ছিল এলাকায়। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির সাথে সাথে বনজঙ্গল আবাদের সময় মাটির নিচে এই মসজিদ পাওয়া যায়। এর পর কালে কালে সংস্কার করা হয়। কে কখন এটি নির্মাণ করেছেন তার সঠিক কোনো তথ্য জানা যায়নি।
তবে এটা প্রাচীনতম স্থাপত্য, দেশের অন্যতম সবচেয়ে ছোট মসজিদ। মসজিদ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ আছে। জেলার রাজনগর উপজেলার রাজনগর ফেঞ্চুগঞ্জ সিলেট সড়কের মুন্সিবাজারের আগে কাজীখন্দকার মাজারের পাশেই অবস্থান মসজিদটির।
চুন, সুরকি ও ইটের তৈরি প্রায় ২০০’শ বছরের পুরোনো এক গম্বুজবিশিষ্ট এ মসজিদের ভেতরে রয়েছে একটিমাত্র কক্ষ। একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন ইমামসহ পাঁচজন। ভেতরে জায়গা রয়েছে মাত্র ছয় ফুট। তবে এখন আর নামাজ আদায় করা হয় না এই মসজিদে।
কথা হয় ব্রাহ্মণ গাঁওর প্রবীণ শিক্ষক আব্দুল মতিন আকন্দ (৭০) সঙ্গে। তিনি আই নিউজকে বলেন, ‘এই মসজিদের ভেতরে ইমামসহ পাঁচজন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। পরে হয়তো লোকজন বেশি হওয়ায় পাশে আরেকটি মসজিদ তৈরি করেন এলাকাবাসী।’
কাজী খন্দকার মাজারের খাদিম আছকির মিয়া বলেন, ‘আমাদের দাদাও তার আগের পুরুষরাও বলতে পারেননি আসলে কতদিন আগের এই মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। দাদার কাছে জেনেছি, তিনিও নাকি শুনেছেন ২০০ বছরের পুরোনো হবে মসজিদটি। মসজিদটি দেখার জন্য অনেক সময় লোকজন আসেন।’
মাজার কমিটির সেক্রেটারি আহমদ আলী আই নিউজকে বলেন, ধারণা করা হয় গৌড় জনপদের মধ্যযুগের স্থাপনা এই মসজিদ। তখন এই অঞ্চলে মুসলিমদের সংখ্যা কম ছিল।
মাজার কমিটির সভাপতি মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া বলেন, আমি মসজিদটি সংরক্ষণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের প্রত্মতত্ত্ব বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করবো। দাদা ও পিতামহের কাছ থেকে জানামতে এখানে পাহাড় টিলা ও গভীর জঙ্গল ছিল। মাটির নিচে মসজিদ পাওয়া গিয়েছিল এর সাথে প্রচুর ইট ছিল ।
আই নিউজ/এইচএ
আই নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেখুন
জলময়ূর পাখির সাথে একদিনের দারুণ গল্প | A story with Water Peacock
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’