নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চান আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুল
দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আরিফের এই ঘোষণায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের উত্তাপ হারাতে চলেছে সিলেট। আরিফের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনের জৌলুশ অনেকখানিই কমে যাবে বলে মনে করছেন অন্য প্রার্থী ও ভোটাররা।
নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলেও আরিফুল হককে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০ মে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন গত দুই মেয়াদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ান তিনি। অন্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান আরিফুল হক।
তবে বর্তমান মেয়রের এমন বক্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সিলেটে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তিনি সোমবার বলেন, ‘আরিফুল হক আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালেই দুবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১০ বছর তিনি মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। কখনো কোনো অভিযোগ করেননি। বরং ২০ মে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়া সমাবেশে বক্তৃতাকালেও তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ সিলেটের অন্য মন্ত্রীরা তাকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন আরিফ। তারপরও কেন তিনি এবার নির্বাচন বর্জন করলেন, তার দুঃখটা কী- তা আমি ঠিক জানি না।’
আরিফ প্রার্থী না হওয়ায় এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেকটাই কমে যাবে বলে ভোটারদের বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি এখনো চাই আরিফুল হক ও তার দল মত পাল্টাবেন এবং ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে আসবেন। কারণ ভোট ছাড়া তো জয়ের কোনো উপায় নেই। আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনে আসলে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।’
‘তিনি বিগত ১০ বছর সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে অনেক ভালো কাজ করেছেন। সিলেটের মানুষ ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুক এটাই আমি চাই’, বলেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
আরিফুল হক প্রার্থী না হলে নির্বাচন কিছুটা জৌলুশ হারাবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। তিনি বলেন, ‘আরিফুল হকের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে নগরবাসী নৌকা, ধানের শীষ ও লাঙলের ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন থেকে বঞ্চিত হলো।’
তবে আরিফ না আসায় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির জয়ের সম্ভাবনা আরও বেড়ে গেল বলেও মনে করেন নজরুল ইসলাম।
আরিফুল হক প্রার্থী না হলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ অনেকটা কমে যাবে উল্লেখ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সিলেট সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আরিফুল হক বর্তমান মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি ও তার দল না এলে নির্বাচন অনেকটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হয়ে পড়বে; মানুষের আগ্রহ কমবে।’
এ অবস্থায় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে হাজির করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। ২০১৩ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালের চতুর্থ নির্বাচনে বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। চারটি নির্বাচনেই মূল প্রতিদ্বিন্দ্বিতা হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে।
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’