নিজস্ব প্রতিবেদক
জিআই সনদ পাচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) সনদ পাচ্ছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘শীতলপাটি’। বাংলাদেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও মানুষের সৃজনশীলতা মিলে উৎপাদিত পণ্যগুলোর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৮টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার এই তালিকায় স্থান করে নিতে এগিয়ে রয়েছে সিলেটের শীতল পাটি।
জানা যায়, সিলেটের শীতলপাটিকে জিআই স্বীকৃতি দিতে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। এছাড়াও অন্তত আরও ছয়টি পণ্য এবার জিআই স্বীকৃতির তালিকায় রয়েছে। এরমধ্যে আছে দেশীয় জাতের ছাগল ব্ল্যাক বেঙ্গল, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, শেরপুরের তুলসীমালা ধান এবং বগুড়ার দই।
জিআই স্বীকৃতি পেলে পণ্যগুলো রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নীতিমালা অনুসারে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বাংলাদেশের পণ্যের ক্ষেত্রে এই স্বীকৃতি ও সনদ প্রদান করে। যারা জিআইয়ের জন্য আবেদন করেন, তাঁদের দেওয়া হয় মেধাস্বত্ব। চাইলেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায় না। বেশ কিছু প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যেতে হয়।
আবেদনকারী কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি যে মৌলিকভাবে শুধু বাংলাদেশেই হয়, তার প্রমাণ দিতে হয়। ডিপিডিটির একটি কমিটি তা মূল্যায়ন করে স্বীকৃতি দেয়। এর পর সংস্থাটির জার্নালে তা প্রকাশ করা হয়। যদি কেউ এ পণ্য নিয়ে আপত্তি না তোলে তাহলে সনদ দেওয়া হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে ডিপিডিটির পরীক্ষক (পেটেন্ট) নীহার রঞ্জন বর্মন বলেন, ‘আশ্বিনা ও ল্যাংড়া জাতের আম জিআই জার্নালে প্রকাশের জন্য এখন বিজি প্রেসে আছে। নাটোরের কাঁচাগোল্লা ও ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের সব তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ। আমরা এখন জার্নাল তৈরি করছি। তুলসীমালা ধানও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। বগুড়ার দই ও শীতলপাটি এই তালিকায় আছে। ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।’
ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি। এরপর একে একে স্বীকৃতি পেয়েছে ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহী সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল। সর্বশেষ গত মাসে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।
সনদের বিষয়ে ডিপিডিটির রেজিস্ট্রার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কোনো একটি পণ্য, বিশেষ এলাকায় যদি উৎপন্ন হয়, বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও গুণ লাভ করে, তাহলে সেটা জিআই সনদ পায়। যেমন রাজশাহীর ফজলি আম যেখানে যেমন বড় হবে, গাছে যেমন ধরবে, গন্ধ ও মিষ্টি হবে, তা কিন্তু অন্য এলাকার গাছে হবে না। কারণ ওইখানে মাটি, জলবায়ু ও পানির কারণে আলাদা একটা গুণ ওই আমের মধ্যে আছে।’
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জিআই সনদ পেলে আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে সুবিধা হয়। সনদ পেলে রপ্তানিতে সুবিধা পাওয়া যায়। পণ্যটি বাংলাদেশের ওই নির্দিষ্ট এলাকার বলেও বিদেশিরা জানতে পারবে।
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’