নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১৫:২৭, ১৮ জুন ২০২৩
মৌলভীবাজারে বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় `রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী` উদযাপন

রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী ছবি- আই নিউজ
সকাল থেকেই অঝোর বর্ষণ। বৃষ্টির জলে ভরে উঠছে নদী, হাওর, খাল-বিল। কুলা ব্যাঙের সম্মিলিত কোরাস জানান দিচ্ছে আষাঢ়ের কথা। এই বর্ষণমুখর দিনেই কি-না জন্মেছিলেন বাংলা সাহিত্যর দুই দিকপাল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
দুই অমর কবিকে আষাঢ়ের বর্ষণমুখর দিনেই স্মরণ করেছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, মৌলভীবাজার শাখা। শনিবার (১৭ জুন) 'রবীন্দ্র নজরুল জয়ন্তী-১৪৩০' উদযাপন করেছে সংগঠনটি। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে পরিপাটি ও জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় উদ্বোধনী সঙ্গীত "অন্তর মম বিকশিত কর" এর সাথে প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সাথে শাখার কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং সম্মানিত অতিথিদের অংশগ্রহণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শেষ হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার দাশ এবং সভাপতি ডা. দিলশাদ পারভীন।
এরইমধ্যে অডিটোরিয়ামে রুচিশীল শ্রোতা আর সঙ্গীতপ্রিয় দর্শক বাড়তে থাকে।
গীতি আলেখ্য: রবীন্দ্রনাথ ও বর্ষা'
'গীতি আলেখ্য: রবীন্দ্রনাথ এবং বর্ষা' দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। গীতি আলেখ্য পরিকল্পনা এবং গ্রন্থনায় ছিলেন অরুণ কুমার দাশ, সঙ্গীত পরিচালনায় তৃপ্তি চক্রবর্ত্তী, নৃত্য পরিচালনায় বিপ্লব দাশ এবং পাঠে ছিলেন শীলা তালুকদার।
গীতি আলেখ্যতে কবিগুরুর বর্ষাপ্রীতি নিয়ে ভাবনাগুলো পাঠ হয়। ছিলো "জীবন স্মৃতি" গ্রন্থ থেকে কবির লেখা, "ছিন্নপত্র" থেকে বর্ষা সম্পর্কিত চিঠিসহ কবিগুরুর বর্ষার ভাবনা। পাঠের মাঝে মাঝে কবিগুরুর বর্ষার গানগুলো গেয়ে শোনান শিল্পীরা।
কোরাস গান 'এসো শ্যামল সুন্দর' এবং 'মোর ভাবনারে কি হাওয়ায়' দুটি গানের সমন্বয়ে ছিলো নান্দনিক পরিবেশনা, সাথে ছিলো নৃত্য। 'আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে' কোরাস গানের সাথে ছিলো নৃত্য। 'বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল' যুগলকণ্ঠে গান গেয়ে শোনান অরুণ কুমার দাশ এবং মৌসুমী স্নেহা, আবার এসেছে আষাঢ় বর্ষার এই গানটি করেন ডা. অঞ্জন কুমার দাশ।
উপমা উর্বশী গেয়ে শোনান 'নীল অঞ্জন ঘন', অনিমেষ চৌধুরী গেয়ে শোনান 'মন মোর মেঘের সঙ্গী'। গীতি আলেখ্য-র শেষ একক গান ' আজি ঝড়ের রাতে' গেয়ে শোনান শিল্পী তমাল চক্রবর্তী। 'ওরে ঝর নেমে আয়' কোরাস গানের সাথে নৃত্যের মাধ্যমে গীতি আলেখ্য 'রবীন্দ্রনাথ ও বর্ষা' শেষ হয়।
রবিরশ্মি
'রবিরশ্মি'তে প্রথম গান 'ধরণীর গগনের মিলনের ছন্দ' গান পরিবেশন করেন শাখার নবীন শিল্পীত্রয় সাকিফ লাবিব পলাশ, মাহবুব আহমদ সাদী এবং শাওন চক্রবর্তী।
এরপর একে একে যুগল কণ্ঠে এবং একক কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন শাখার শিল্পীরা। 'মেঘ বলেছে যাব যাব' গান করেন তনুশ্রী পাল এবং অমৃতা পাল, 'সখী ভাবনা কাহারে বলে' একক গান পরিবেশন করেন মনশ্রী জুঁই, 'আমার হিয়ার মাঝে' গানটি করেন ফাল্গুনী দেব এবং সৌমিলী দেব রায়। 'কতবার ভেবেছিনু' গানটি করেন পার্লি রায় এবং পুষ্পিতা রায় পাপিয়া। শাপলা দত্তের একক গান 'বন্ধু রহো রহো' গানের সাথে শেষ হয় 'রবিরশ্মি'।
নজরুল সঙ্গীত পর্ব
রবীন্দ্রনাথের গান শেষে শুরু হয় নজরুল সঙ্গীত পর্ব; 'তৃষিত আকাশ কাঁপে' এবং 'মালঞ্চ' দুটি পর্বে ভাগ করা হয় এই পর্ব। এতে কোরাস কণ্ঠে গান পরিবেশিত হয় 'একি অপরূপ রূপে মা তোমার' এবং 'বকুল চাপার বনে কে মোর'।
ঐন্দ্রিলা চাকলাদার এবং বৃষ্টি সূত্রধর গেয়ে শোনান 'রেশমী চুড়ির তালে', শ্রাবনী পাল এবং নিশিতা রাত্রি গেয়ে শোনান 'আমার আপনার চেয়ে'। মালঞ্চ পর্বে তমাল চক্রবর্তী গেয়ে শোনান একক গান। 'তৃষিত আকাশ কাঁপে' সমবেত কন্ঠে শেষ হয় নজরুল সঙ্গীত পর্ব।
সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন সুপ্রিয়া মিশ্র, সমীরণ দেব শুভ্র, কী-বোর্ডে ছিলেন শাখার নবীন শিল্পী দীপ্ত চন্দ এবং তবলায় ছিলেন কাব্য ভট্টাচার্য।
অডিটোরিয়ামে দর্শকদের সরব উপস্তিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তুলেছিলো। জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শেষ হয় বর্ষার সুন্দর সন্ধ্যাটি।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’