হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীতে বাড়ছে পানি, নিচু এলাকা প্লাবিত
সাম্প্রতিক টানা বৃষ্টির ফলে বাড়ছে খোয়াই নদীর পানি।
চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে একটানা বৃষ্টির ফলে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির কারণে হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে বেড়েছে পানির পরিমাণ। ক্রমশ ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে সার্বিক পরিস্থিতি। এরিমধ্যে জেলার বেশকিছু নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বলেও জানা গেছে।
রোববার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোয়াই, কালনি, কুশিয়ারা ও ধলেশ্বরীসহ সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছঁই করছে। যদিও নদীগুলোর কোন স্থানেই পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তবে বৃষ্টি হলেই বাড়ছে পানির গতিবেগ।
জানা যায়, উপজেলার আসামপাড়া, চুনারুঘাট এলাকায় খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাবার আশংকায় মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন। হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক করে বলছে, বৃষ্টিপাত এভাবে অব্যাহত থাকলে দ্রুত বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামিম হাসনাইন মাহমুদ জানিয়েছেন, খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে বিপদসীমার ২১.০৯, শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে ৯.০২, মাছুলিয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ৯.৯২, মার্কুলি পয়েন্টে ৫.৫২ ও আজমিরীগঞ্জ পয়েন্টে ৪.৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা জানান, রোববার বিকেল পর্যন্ত হবিগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৪১ মিলিমিটার, যা শনিবার ছিল ১২৮ মিলিমিটার। আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
শহরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শায়েস্তানগর, মোহনপুর, মাছুলিয়া, অনন্তপুর, উত্তর শ্যামলী, ইনাতাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই হাটু পানি মারিয়ে শহরে আসছেন। হঠাৎ করে গত দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে এভাবে পানি বাড়ার ফলে নদী পারের মানুষদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক।
টানা বৃষ্টি চলমান থাকায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়ও উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টির পানি মিলে পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে গেছে গোয়াইনঘাটের নিম্নাঞ্চল। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উনাই হাওরে নির্মানাধীন ব্রিজ, বঙ্গবীর ট্রানিং ও তোয়াকুল ব্রীজ নির্মানে ধীরগতি থাকায় তোয়াকুল, নন্দিরগাঁও রুস্তমপুর,পশ্চিম জাফলং, সদর, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউপির সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও গোয়াইনঘাট রাধানগর রাস্তার এক তৃতীয়াংশ বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার কারণে জরুরি কাজে উপজেলা সদরে আসতে কেউ কেউ ইঞ্জিন নৌকা ব্যবহার করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের হাজারও মানুষ রয়েছেন পানি বন্দী। এছাড়াও উনাই হাওরে বাইপাশ সড়ক নিমজ্জিত থাকায় ঐ এলাকার বাজার গুলোতে নিত্য পণ্যে সরবরাহে বিঘ্নিত ঘটছে। ফলে জনসাধারণের দূর্ভোগ চরমে। একদিকে পানিবন্দী অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থান না থাকায় দিনমজুর শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন ফলে কাটছে মানবেতর দিন। হাওর বেষ্টিত গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে গোচারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক পরিবার তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে রয়েছেন শংঙ্কায়। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বিপদের শংঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’