নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
টেবিল মোছা নিয়ে ঝগড়া করে মৌলভীবাজারে রেস্টুরেন্ট কর্মীর মৃ ত্যু
নি হ ত কিশোর তানিম। ছবি- সংগৃহীত
রেস্টুরেন্টে টেবিল মোছা নিয়ে বিরোধ, তারপর শত্রুতার জেরে মাথায় আঘাত। পরবর্তীতে হাসপাতালে মৃ ত্যু হয় ১৩ বছরের এক কিশোর রেস্টুরেন্ট কর্মচারীর। আচমকা এমন ঘটনায় হতবিহ্বল রেস্টুরেন্টের কর্মচারী ও আশেপাশের মানুষেরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার শহরের সিলেট সড়কে অবস্থিত খানদানি রেস্টুরেন্টে। তবে খুঁজ নিয়ে জানা গেছে- পিঠিয়ে হ ত্যা র তথ্য সঠিক নয়। আ হ ত রেস্টুরেন্ট কর্মচারী তানিমের মৃ ত্যু হয়েছে মাথায় লাঠির আঘাতে। এছাড়া মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশও জানিয়েছে- তানিমের শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধু মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ এলাকার খানদানী রেস্টুরেন্টে তানিম নামের ১৩ বছর বয়সী এক কর্মচারী অপর কর্মচারীর আঘাতে গুরুতর আহত হয়। পরে রোববার (২৫ জুন) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিম মৃ ত্যু ব র ণ করে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান আই নিউজকে বলেন- প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী তানিম আহমদ (১৩) তার সিনিয়র হোটেল বয় জালাল আহমদের সহকারী হিসেবে টেবিল মোছা ও পানি-সালাদ দেওয়ার কাজ করতো। কয়েকদিন আগে জুনিয়র তানিমকে টেবিল পরিস্কার করার কথা বলেন সিনিয়র জালাল আহমদ। তখন তানিম টেবিল পরিস্কার না করে পা তুলে বসেছিলো। এ নিয়ে জালাল তানিমকে গালাগালি ও ধমক দেয়। এতে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ও বিরোধ দেখা দেয়। পরে তানিম একটি ব্লেড দিয়ে জালালের শরীরে টান দেয়। এতে তাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
বিরোধের জের ধরে শনিবার (২৪ জুন) রাতে জালাল তানিমকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তানিমের শরীরের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধু মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
জানা গেছে- নি হ ত তানিম শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনয়নের রায়পরাণ গ্রামের মুহিত মিয়ার ছেলে। তানিম প্রায় ৩ মাস যাবৎ ওই রেস্টুরেন্টে কাজ করছে।
নি হ তে র মামাতো ভাই জমসেদ মিয়া বলেন- ‘আহত অবস্থায় তানিম আমাকে বলেছে, রেস্টুরেন্টের কর্মচারী জলাল ও পাশের পান দোকানদার বদরুল ও আজিজুল মিলে আমাকে প্রচণ্ড মা র ধ র করেছে।
জমসেদ মিয়া বলেন, খবর পেয়ে তানিমের বাবা, রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সবুজ ও আমি মিলে তাকে ঘটনাস্থল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রোববার (২৫ জুন) বেলা ২টায় তানিম চিকিৎসাধানী অবস্থায় মারা যায়।
নি হ তে র স্বজনদের অভিযোগ- ঘটনার পর মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাড়াহুড়ো করে রেস্টুরেন্টের পাশের কক্ষে ফেলে রাখে তার সহকর্মীরা।
এদিকে ঘটনার পর দেখা গেছে- রেস্টুরেন্ট ও পাশের পান দোকান তালাবদ্ধ। পুলিশ রেস্টুরেন্ট ঘিরে রেখেছে। মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই নাজমুল ইসলাম হোটেলে থাকা সিসি ফূটেজ দেখে ঘটনার আলামত বের করার চেষ্টা করছেন। তানিমের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে রেস্টেুরেন্টের অন্যান্য কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জালালকে আটক করা হয়েছে। ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লা শ ময়না তদন্ত করা হয়। সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট হয়েছে। ময়না তদন্ত ও জানাযা শেষে নিহতের স্বজনেরা এসে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’