নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার
কমলগঞ্জে পৌরসভার ভেতরে ঢুকছে পানি, পানিবন্দি আড়াইশো পরিবার

কমলগঞ্জ পৌরসভার গেট দিয়ে প্রবেশ করছে নদীর পানি। ছবি- আরপি দেব
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে উজান থেকে আসা পানি ও টানা বৃষ্টির ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভা প্রাঙ্গণ অব্দি উঠে গেছে। পৌরসভার ২, ৫ ও ৬নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ২৫০ পরিবার ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় সচেতনরা ক্ষোভ ঝারছেন পৌরসভার উপর।
তারা বলছেন বৃক্ষনিধনসহ নানান অপরিকল্পিত ভাবে করা কাজের মাসুল দিচ্ছে পৌরসভা। যার ফলশ্রুতিতে পৌরপ্রাঙ্গণেই পানির প্রবেশ ঠেকাতে পারেনি পৌরসভা কতৃপক্ষ। কেননা, আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে পরিবারের মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যদিও বুধবার সন্ধ্যা থেকে কিছুটা নামতে শুরু করেছিলো পানি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে আবার ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ছে পানির প্রবাহ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষনের কারণে ধলাই নদির পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পৌরসভার ভেতর ধলাই নদীর পুরাতন সেতু সংলগ্ন এলাকার নালা দিয়ে নদীর পানি প্রবেশ করে চন্ডিপুর, উত্তর আলেপুর, পানিশালাসহ চারটি গ্রাম, সড়ক, কমলগঞ্জ থানা, ডাকঘর, কমলগঞ্জ সরকার উচ্চবিদ্যালয় ও আশপাশের বাড়ি ঘর নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়া ভারী বর্ষনে পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের পতনউষার, আলীনগর, আদমপুর ও মাধবপুর এলাকার আউশ ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
পানিবন্দী লোকেরা জানান, সস্প্রতি অপরিকল্পিতভাবে পৌরসভার ভেতর দিয়ে নালা স্থাপন করা হয়েছে। এই নালা দিয়ে ধলাই নদীর পানি প্রবেশ করায় বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। নালার মধ্যে সুইস গেইট না দিলে নদীর পানি বাড়লেও আমরা বারবার পানিবন্দী হয়ে পড়বো।
পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ বলেন, ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে বেশ কিছু পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। আমরা তাদেরকে পৌরসভার পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পর্যবেক্ষক সাকিব হোসেন ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃষ্টি না হলে বিকেল থেকে নদীর পানি কমে আসবে। তবে উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টি না কমলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
এদিকে কমলগঞ্জের একজন স্থানীয় নাগরিক ও পরিবেশকর্মী সঞ্জয় ধর বলেন, প্রতিবছর এমনিতেই উজানের ঢলে আসা পানিতে ভেসে যায় উপজেলার বেশকিছু এলাকা। তার উপর আমাদের আমাদের পৌরসভার হর্তাকর্তারা অপরিকল্পিতভাবে বিগত সময়ে বিপুল পরিমাণ বৃক্ষনিধন করেছেন। গাছ কেটে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করে কী লাভ হলো? পৌরসভা প্রাঙ্গণেই তো পানির প্রবেশ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, অথচ পৌরসভা ড্রেন নির্মাণ নিয়ে কতোকিছু করেছে। এতোগুলো গাছ কেটে ড্রেন নির্মাণ করে আজ সেই ড্রেন কী কাজে লাগলো? বানের পানিতে ৩টি ওয়ার্ডের মানুষ এখন পানিবন্দি। এগুলোর দায় তো পৌরসভাকেই নিতে হবে।
এদিকে ঘটনাস্থল পর্যবক্ষনে আসা পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, বন্যা পূনর্বাসন ও সতর্কীকরণঃ তথ্য অনুযায়ী উজানে ভারতীয় পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনায় ধলাই নদীর পানি বেড়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করতে পারে। এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রইছ আল রিজুওয়ান বলেন, পানিবন্দী পরিবারের তালিকা করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’