এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। শহরকে পলিথিনমুক্ত করতে যত্রতত্র ফেলে দেওয়া পরিত্যক্ত পলিথিনের হাট বসিয়েছে মৌলভীবাজার পৌরসভা। কিনে নিয়েছে বস্তার পর বস্তা পলিথিন ও প্লাস্টিক। যেগুলো সড়কে, বাজারে, মার্কেটে, বাসাবাড়িতে ময়লার ভাগাড় হিসেবে পড়েছিলো। যা শহরকে নোংরা করেছিলো। এই পলিথিন ও প্লাস্টিক ড্রেন ও কোদালিছড়া হয়ে যেতো নদীতে। শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতো - বলছেন উদ্যোক্তারা।

রোবার (৯ জুলাই) বিকেলে মেয়র চত্বরে পলিথিন হাটের উদ্বোধন করেন পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ নকিবুর রহমান, প্যানেল মের নাহিদ হোসেন, কাউন্সিলর জালাল আহমদ, কাউন্সিলর ফয়ছল আহমদ, কাউন্সিলর সৈদ সেলিম হক প্রমুখ।
প্রতি রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় বসবে এই হাট।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিন প্রায় ৬০ জন ব্যক্তি ৪৯৭ কেজি পলিথিন দিয়েছেন। প্রতি কেজি পলিথিন ৫০ টাকা কেজিতে কিনে নিয়েছে মৌলভীবাজার পৌরসভ। বিক্রেতাকে বিনামূল্যে ৫০ কেজি ওজন ধারণ করে এমন একটি করে বস্তা দেওয়া হবে।

মেয়র ফজলুর রহমান বলেন- পলিথিনমুক্ত, পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে উদ্যোগ নিয়েছে মৌলভীবাজার পৌরসভা। পলিথিন হাটে বাসা-বাড়ি, দোকান, বেকারি ও রেস্টুরেন্টের পরিত্যক্ত পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, বিস্কুটের প্যাকেট, চকলেট-চুইনগামের প্যাকেট, শপিং ব্যাগ, বিভিন্ন জাতের প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি ক্রয় করা হচ্ছে। 

• মৌলভীবাজার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫ জন

মেয়র ফজলুর রহমান আই নিউজকে বলেন- মৌলভীবাজার পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য বাসা-বাড়িতেই পৃথকীকরণ করা হবে। অর্থাৎ পচনশীল বর্জ্য থাকবে একটা বিনে। অপচনশীল বর্জ্য থাকবে অপর বিনে। পৌরসভা থেকে ইতোমধ্যে ময়লার বালতি দেওয়া হয়েছে। আরেকটি বিন/বালতি দেওয়া হবে। নাগরিকেরা যেন এই কাজটি করেন সেজন্য আমরা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ও র্যা লি করেছি।

মেয়র বলেন- কেউ উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক-পিলিথিন ফেলতে পারবেনা। শহরকে দূষণমুক্ত করতে পৌরসভা প্লাস্টিক-পিলিথিন কিনে নিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে রাখবে। কেউ যদি কিনে নেয় ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে। আর ক্রেতা না পেলে পরিবেশসম্মত উপায় খুঁজে এগুলো বিনষ্ট করা হবে।  এছাড়া পচনশীল বর্জ্য দিয়ে জৈবসার তৈরি করা হবে। বায়োগ্যাস তৈরি করা হবে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

আইনিউজ/ইউএ