নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট: ১০:৩২, ১৪ জুলাই ২০২৩
মাধবপুর-চুনারুঘাট আসন
হবিগঞ্জ-৪ : ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর দিকে ভোটারদের আগ্রহ বেশি
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনটি সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা সমন্বয়ে গঠিত। চা-বাগান বেষ্টিত এ আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে আওয়ামী লীগের দখলে। দু’উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনের নির্বাচন কমিশন ঘোষিত খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৮৫; এর মধ্যে মাধবপুরে ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৯০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫৩ জন। মহিলা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৬ জন ও ১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।
চুনারুঘাটে মোট ভোটার ২ লাখ ৪৩ হাজার ১৯৫ জন। পুরুষ ১ লাখ ২১ হাজার ৩৩৮ জন, মহিলা ১ লাখ ২১ হাজার ৮৫৭ জন। দু’উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৮৫ জন।
রাজনীতিতে তরুণ স্বচ্ছ আর ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর দিকে ভোটারদের আগ্রহ বেশি। ভোটাররাও খুঁজছেন নতুন মুখ। ১৯৭০’র নির্বাচন থেকে শুরু করে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বারবার বিজয়ী হয়েছেন। সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ছয় বার এ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালে দু’বার জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার এ আসনে বিজয়ী হয়ে হুইপ ও কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহিবুল হাসান নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ মো. ফয়সল এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তানভীরের সঙ্গে খুব সহজেই এ আসনে এমপি নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। ২০১৯ সালে নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বাচ্চুকে পরাজিত করে আবারও অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব পান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর।
এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে খ্যাতি রয়েছে বর্তমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর। এবারও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী (অসীম), সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড নেতা নিজামুল হক মোস্তুফা শহীদ রানা, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আব্দুল হাই এর ছেলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী আরিফুল হাই রাজিব, চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আকবর হোসেন জিতু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতা শেখ মিছির আলী এলাকায় বিভিন্নভাবে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেণু মাধব রায় বলেন, এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই কাজ করে বিজয় নিশ্চিত করা হবে।
অপরদিকে বিএনপির থেকে বার বার মনোনয়ন প্রাপ্ত জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ মো. ফয়সল রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে থাকলেও দলীয় নেতাকর্মীরা আবারও তাকে দলীয় প্রার্থী হিসাবে দেখতে চায়। এছাড়া জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বর্তমান মাধবপুর উপজেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, সাবেক এমপি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার শিপা ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরীর নামও শোনা যাচ্ছে নেতা-কর্মীদের মুখে।
নেতা কর্মীরা আগামী সংসদ নির্বাচনে অতীতের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে কেন্দ্র যে প্রার্থীই দেন তার হাত ধরে জয় ছিনিয়ে এনে সফলতার মুখ দেখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিগত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর সৈয়দ মো. শাহজাহান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সুফিয়া আকতার হেলেন, মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, মাধবপুর-চুনারুঘাট উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করেছেন সৈয়দ মো. ফয়সল। দীর্ঘদিন দল ক্ষমতার বাইরে থাকলেও নেতাকর্মীদের সুখেদুঃখে পাশে থেকেছেন। অপর দিকে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের ফলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। যদি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল জানান, বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের ফলে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুব সংহতির নেতা আহাদ ইউ চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা জাপার যুগ্ম আহবায়ক কাউসার উল গনি, উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক ফকির কাউসার এর নাম শোনা যাচ্ছে।
উপজেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক ফকির কাউসার বলেন, দলীয় মনোনয়ন চাইব। তবে দল যাকে মনোনীত করে তার পক্ষেই কাজ করব।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বাচ্চুর বাড়ি মাধবপুর উপজেলায়। তিনিও আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’