সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ
কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সংঘর্ষে ৪ জন নিহতের ঘটনার ছয় দিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে রবিবার (১৬ জুলাই) মালদার মিয়া গোষ্ঠির ৬৯ জনকে আসামি করে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে, দ্বীন ইসলাম গোষ্টীর পক্ষ থেকেও থানায় একটি এজাহার জমা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে কাঁঠাল নিলাম নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুলাই উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে হাসনাবাজ জামে মসজিদে জুমা’র নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঠাল নিলাম করা হয়। নিলামে মালদার মিয়া গোষ্ঠির শেখ ফরিদ ও দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির আনার উদ্দিনের মধ্যে ডাকাডাকি শুরু হলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা দেখা দেয়। এসময়য় শেখ ফরিদ অধিক দামে কাঁঠাল ক্রয় করার আক্রোশে দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির লোকজনদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চলে যায়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নিলামের ঘটনার জেরে গত ১০ জুলাই সকাল ১১ টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাজ গ্রামে দুই গোষ্ঠির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বীন ইসলাম গোষ্ঠির হাসনাবাজ গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে নুরুল হক (৫০), আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫৫) ও মালদার মিয়া গোষ্ঠির আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫) মারা যান।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী জানান, নিহত নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছেন। মামলা রুজু করা হয়েছে। অপরপক্ষও একটি লিখিত এজাহার দিয়েছেন। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যা্য়, গত ১০ জুলাই সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে মালদর আলী ও দ্বীন ইসলাম পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন নিহত হন। আহত হন ২০ জন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন হাসনাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪০), বাবুল মিয়া (৫০), শাহজাহান মিয়া (৫০) ও মোখলেছুর রহমান (৬২)। এর মধ্যে দ্বীন ইসলাম পক্ষের লোক নজরুল ও বাবুল। আর মালদর মিয়া পক্ষের লোক শাহজাহান ও মোখলেছ।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর একজনের দান করা একটি কাঁঠাল নিলামে বিক্রি হয়। ২৫০ টাকা সর্বোচ্চ দরে এটি কেনেন মালদর আলীর পক্ষের খসরু মিয়া। পর মুহূর্তেই দ্বীন ইসলামের পক্ষের আবদুল বাহার সবাইকে থামিয়ে দেন। তার দাবি, নিলাম ডাক নিচুস্বরে বলায় তিনি শুনতে পারেননি। তিনি কাঁঠালটি আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে আগ্রহী। তাই আবার নিলাম ডাকের দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে খসরু ও বাহারের মধ্যে একপর্যায়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে মুরব্বিরা তাঁদের শান্ত করে বিদায় করে দেন।
এরপর এ নিয়ে গ্রামের দ্বীন ইসলাম ও মালদর আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। স্থানীয়ভাবে জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে কোনো ঝগড়ায় না জড়ানোর জন্য দুই পক্ষকেই অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এতে চারজনের মৃত্যু হয়।
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’