নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট, ভোগান্তিতে নগরবাসী
তীব্র গরমে এমনিতেই জনজীবন অতিষ্ঠ। এর মধ্যে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। ঘন্টার ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে অনেক এলাকা। তার উপর মহানগরজুড়ে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। বহুমাত্রিক সংকটে পতিত হয়েছেন মহানগরবাসী। বিদ্যুৎ সবরবাহ ঠিকভাবে না পাওয়ায় চলছে না সিসিকের পানির পাম্প। যার ফলে বাড়িঘরে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট।
মহানগরের সবকটি ওয়ার্ডে দেখা দিয়েছে পানির সংকট পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ পানি সরবরাহ করতে পারছে না। পাশাপাশি বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যক্তি উদ্যোগেও অনেকে মটর দিয়ে পানি উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এর ফলে পানির তীব্র সংকটে ভুগছেন তাঁরা। মহানগরীর বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, কালীবাড়ি, হাওলদারপাড়া, শিবগঞ্জ, রায়নগর, কুমারপাড়া, ঝরনারপাড়, শেখঘাট, চালিবন্দর, কামালগড়, ছড়ারপাড়, লামাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা পানির অভাবে গৃহস্থালি কাজ থেকে শুরু করে গোসল ও নিত্যক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন না।
মহানগরীর তাতিপাড়ার বাসিন্দা সিয়াম জানান, গত কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ নেই তাই পানি নেই, আবার বিদ্যুৎ আছে তো পানি নেই। পানির আশায় ট্যাপের দিকে চেয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার যদিও বা পানি আসছে তা এতই ধীরগতির যে এক বালতি ভরতে সময় লাগছে আধাঘণ্টারও বেশি। সাপ্লাই পানির উপর নির্ভরশীল মানুষ পড়েছেন বেকায়দায়।
উপশহরের বাসিন্দা লায়েক জানান, চাহিদার অর্ধেও পানি পাচ্ছি না। পানির অভাবে বড় কষ্টে আছি। সকালে গোসল এবং ঘর গৃহস্থালির কাজের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে পানি নেই। পানির সঙ্কটের কারণে কাজ করতে বিরক্তি প্রকাশ করছে গৃহকর্মীরা। পানির অভাবে গোসলও করতে পারছি না। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে মোটর দিয়ে পানি তুলা যাচ্ছে না।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, চাহিদার তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ পাচ্ছে সিলেট। তাই লোডশেডিং হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের পানি শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান জানান, এমনিতেই নগরীতে দিন দিন পানির চাহিদা বাড়ছে। এরমধ্যে দিনের অর্ধেকের বেশী সময় বিদ্যুৎ থাকছেনা। কয়েকদিন থেকে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নগরীতে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে পাম্পগুলো দিয়ে ঠিকভাবে পানি তুলা যাচ্ছে না। যে কোন এলাকায় টানা দেড় থেকে দুই ঘন্টা পানি দেয়া হয়। কিন্তু পাম্প চালুর একটু পরে বিদ্যুত চলে গেলে আবার ঐ এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে যায়।। লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমানে চাহিদার ৪ ভাগের ১ ভাগ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আইনিউজ/ইউএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’