কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কমলগঞ্জে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ, চাল শতভাগ
ফাইল ছবি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের সময় শেষ হয়ে আসছে। চলতি মৌহংমে বোরো চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ পূরণ হলেও ধান সংগ্রহ এখনো বাকি ৬০ শতাংশ। ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪০ শতাংশের মতো। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে স্থানীয় বাজারে দাম বেশি পাওয়ায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
উপজেলার গ্রাম পর্যায়ে বোরো কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বোরো মৌসুমে শুরুর দিকে কাঁচা ধানের দাম কম ছিলো। পরবর্তীতে শুকনো ধানের দাম বেড়েছে। সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে হলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের তুলনায় স্থানীয় বাজারে সমমনা ও বেশি দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। এজন্য কৃষকেরা স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করলে সুবিধা বেশি পান।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় প্রতি কেজি ধানের দাম ৩০ টাকা এবং চাল ৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। উপজেলায় আগামি ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩৭৮টন। সংগ্রহ হয়েছে
উপজেলায় শতভাগ চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ
কমলগঞ্জে এ বছর ১৪৬ টন আর চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৬ টন। শতভাগ চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ধান ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর চালের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে শতভাগ পূরণও করা হয়। মিল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করে সংশ্লিষ্টরা চাল কেনেন। এ জন্য প্রতি মৌসুমে চালের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায় আর ধানের অর্ধেকও পূরণ হয় না। ধান কেনায় আরও একটু সহনশীল হলে ধান সংগ্রহ আরও বৃদ্ধি করা যেতো।
অপর দিকে উপজেলার মিল মালিকেরা জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে আমাদেরকে চালের যে পরিমাণ
বলা হয় আমরা এর চেয়ে বেশি পূরণ করে দেই।
পতনঊষারের কৃষক আমির রইস মিয়া, আনোয়ার খান, শমশেরনগর ইউনিয়নের কৃষক সিদ্দিুকুর রহমান কয়েকজন কৃষক বলেন, স্থানীয় বাজারে বোরো ধান ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। আর সরকারি গুদামেও ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি দাম থাকায় আমাদের আগ্রহ কম।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র মণ্ডল আই নিউজ প্রতিবেদককে বলেন, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪০
শতাংশ ধান কেনা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ধানের যে মূল্য ঠিক করে দিয়েছে এই মূল্যে কৃষকেরা স্থানীয় বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছেন। এ জন্য সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে তাঁদের আগ্রহ কম। অনেক সময় পরিবহন খরচের কথা চিন্তা করে কৃষকেরা নিজ এলকায় ধান বিক্রি করে দেন। প্রতি বছরের মতো এবারেও চালের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’