হেলাল আহমেদ, আই নিউজ
কফি চাষে সিলেট হয়ে ওঠছে সম্ভাবনাময় অঞ্চল
সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ করছেন স্থানীয় ও প্রবাসীরা।
তিন বছর আগেও সিলেটে কফি চাষের তেমন প্রচলন ছিলো না। অথচ চলতি বছর কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে প্রবাসী অধ্যুষিত বিভাগ সিলেটে বাণিজ্যিকভাবে কফির উৎপাদন শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে প্রসারিত হচ্ছে কফি উৎপাদন। কফি চাষে উদ্যোক্তা হচ্ছেন প্রবাসী থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও। ক্রমশ বাড়ছে কফি চাষাবাদ।
কৃষি অধিদপ্তরের অথ্য অনুযায়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে কফি চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত কফির জাতে মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা জাতের কফি। টিলা বেস্টিত জায়গাকে উদ্যোক্তা বেছে নিচ্ছেন কফি চাষের উপযুক্ত জমি হিসেবে।
এতোদিন সিলেটের টিলা ভূমিগুলো সাধারণত শুরুমাত্র চা চাষের জন্যই ব্যবহৃত হতে দেখা যেতো। তবে কফি চাষে এগিয়ে আসা উদ্যোক্তারা টিলাভূমিকে ব্যবহার করছেন কফি চাষের জন্য। এক্ষেত্রে তারা বেছে নিচ্ছেন অনাবাদি টিলাভূমি। ক্রমেই সিলেটের অন্যান্য জেলা, উপজেলার টিলাবেস্টিত এলাকায়ও প্রসার পাচ্ছে কফি চাষ। চায়ের বিকল্প বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে কফি চাষে গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করছে সরকারের কৃষি অধিদপ্তরও। অনেকেই আবার সরাসরি কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা ও পরামর্শ নিয়ে কফি চাষে নামছেন।
ফেঞ্চুগঞ্জের একজন কফি চাষি আজহারুল ইসলাম। তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় তিনি এ বছর ৩০ বিঘা জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে এসেছেন। চাষাবাদের বিষয়ে তাঁকে এখন সিলেটের কৃষি অধিদপ্তর নানাভাবে সহযোগিতা করছে।
এদিকে সিলেটে কফি উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ায় দেশে প্রথমবারের মতো কফি প্রসেসিং ফ্যাক্টরি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরেক উদ্যোক্তা। সম্প্রতি দেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল কালাম চৌধুরী নামের ওই উদ্যোক্তা জানান, ২০২২ সালে কফি প্রসেসিং ফ্যাক্টরির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এখনো এটি নির্মাণাধীন আছে। এটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৫-৬ কোটি টাকা। এরিমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। কফি চাষাবাদে সিলেটের অনেকেই এগিয়ে আসলে কফি সংরক্ষণের কোনো ফ্যাক্টরি না থাকায় তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে কফি চাষি উদ্যোক্তারা উৎপাদিত কফি সংরক্ষণ করতে পারবেন এখানে।
সিলেটের কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ অঞ্চলে কফি চাষে নতুন দিগন্ত সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন। কফি উৎপাদন প্রক্রিয়াটি যদিও একটু দীর্ঘ। কফি ফসল সংগ্রহ পর্যায়ে পৌঁছাতে দুই বছর সময় লাগে। তবে এর আর্থিক মূল্য বেশি। সিলেটে উদ্যোক্তারা কফি চাষে এগিয়ে আসায় একদিকে যেমন অনাবাদি টিলাগুলো কাজে লাগছে অন্যদিকে চাষিরাও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, সিলেট কফি চাষের জন্য বিরাট সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। অনেকেই এখন কফি চাষে উদ্যোগী হয়েছেন। গত দুই বছর আগে চাষাবাদ করা কফিগাছে ফলও এসেছে। এগুলো এখন হারভেস্ট পর্যায়ে চলে এসেছে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’