আই নিউজ ডেস্ক
কিবরিয়া হ ত্যা র ১৯ বছর: বিচার হয়নি আজও
সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়া। ফাইল ছবি
সিলেটের সুপরিচিত রাজনীতিবিদ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১৯তম শাহাদত বার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভায় গ্রেণেড হামলায় নির্মমভাবে নিহত হন এই নেতা। কিন্তু, মারা যাওয়ার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার হয়নি এ হত্যাকাণ্ডের। ফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তাঁর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা।
প্রতিবছরের মতো, এবারও শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৯তম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণ, শোক র্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। কিবরিয়া স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচিগুলো পালন করবে।
এ ছাড়া, ঢাকার বনানীতে অবস্থিত মরহুমের গোরস্থানে শনিবার সকাল ১১টায় পুস্পস্তবক অর্পণ করবে কিবরিয়া পরিবার। পরে তারা সেখানে জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে, ১৯ বছরেও শাহ এ এম এম কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ায় হতাশ তার পরিবার। এ ব্যাপারে শুক্রবার মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তা প্রদান করে হত্যা রহস্যের উদঘাটন ও বিচারের দাবী জানান ড. রেজা কিবরিয়া।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ভে হতাশা ব্যক্ত করেছেন মামলার বাদী ও হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট আব্দুল মজিদ খানও। মামলার আসামীরা বিভিন্ন কারাগারে থাকা এবং সাক্ষীদের উপস্থিতি না হওয়ায় মামলার বিচারে বিলম্ভ হচ্ছে বলে জানান সিলেটের পিপি এডভোকেট সারোয়ার আহমেদ আব্দাল। বর্তমানে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলার বিচার চলছে। উভয় মামলায় ১৭৩জন সাক্ষীর মাঝে ৪৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। স্বাক্ষী না যাওয়ায় দিনের পর দিন তারিখ পড়ছে, কোন অগ্রগতি হচ্ছে না মামলা দুটির।
শাহ এ এম এস কিবরিয়া কর্মজীবনে পররাষ্ট্র সচিব, এসকাপের নির্বাহী সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে অবসর গ্রহণ করার পর ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ছিলেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তৎকালীন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। জনসভা ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বক্তব্য শেষে যখন তিনি মঞ্চ থেকে নেমে সহকর্মীদের নিয়ে বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেইটে আসেন তখন দিনের আলো নিভে প্রায় সন্ধ্যা। হঠাৎ করেই বিকট শব্দ হয় পাশেই। আর্জেস গ্রেনেডের আঘাতে অনেকেই সেদিন ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। সেখানে শাহ এ এমএস কিবরিয়া গুরুতর আহত হলে ঢাকা নেয়ার পর মারা যান। ঘটনাস্থলে মারা যান তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা ও এলাকার তিনজন। আহত হন আরও ৭০ জন।
এ ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে কাজ করে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা। কিন্তু মামলাটির স্বাভাবিক তদন্ত না হয়ে দলীয় বিবেচনায় পরিচালিত হতে থাকে। পরে মামলার তিন দফা চার্জশীট দেয়ার পর হত্যা এবং বিস্পোরক মামলা দুটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’