এবার মৌলভীবাজারে মোট এসএসসি পরীক্ষার্থী কতো জন? 

সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এবারের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে একটানা ১টা পর্যন্ত চলে প্রথম দিনের পরীক্ষা। এবছর সারাদেশে মোট ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে মৌলভীবাজার জেলার পরীক্ষার্থী আছেন প্রায় ২৪ হাজার। 

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে মৌলভীবাজারের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে একযোগে শুরু হয় এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। জেলায় এবছর ২৩ হাজার ৯৭২ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। জেলার মোট ২৬টি কেন্দ্র এবং আরও ২৮টি ভেন্যু মিলে মোট ৫৪টি প্রতিষ্ঠানে আজ পরীক্ষায় বসেছেন তারা। 

মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট ২৩ হাজার ৯৭২ পরিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়েরা সংখ্যায় এগিয়ে আছে ছেলেদের থেকে। শিক্ষা অফিসের তথ্য বলছে, এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র আছেন ৯ হাজার ৪৬৬ জন। এবং ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৫০৬ জন।

এদিকে মৌলভীবাজারের ৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছেন দাখিল পরীক্ষার্থীরা। মোট দাখিল পরীক্ষার্থী আছেন ৪ হাজার ১৮ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ২ হাজার ১০৯ জন এবং ছাত্রী ১ হাজার ৯০৯। দাখিলে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা আটশ জন কম।

মৌলভীবাজারে মোট ৭টি কেন্দ্রে এবছর পরীক্ষা দিচ্ছেন ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী। এবছর পরীক্ষায় বসা মোট ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ৮৬৩ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ৫১১ জন এবং ছাত্রী ৩৫২ জন। আরও একটি কেন্দ্রে দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী আছেন ৪০ জন। যাদের মধ্যে ছাত্র ১০ জন এবং ছাত্রী ৩০ জন।

এদিকে ২০২৩ সালের তুলনায় মৌলভীবাজারে এবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৫৭৫ জন থাকলেও এবছর কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯৭২ জনে। গত বছরের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে ৬০৩ জন। আর ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এসে মৌলভীবাজারে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৬ হাজার ৩৩ জন। 

• চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন ২০ লাখ পরিক্ষার্থী 

মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ফজলুর রহমানের সাথে এ বিষয়ে আলাপ করলে তিনি আই নিউজকে বলেন, “২০২২-২৩ সালে মূলত করোনার প্রকোপে ঝরে পড়ার কারণে শিক্ষার্থী অনেকটাই কমে গেছে। করোনায় দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকার পরে যখন খোলা হলো তখন অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। যেকারণে এই তিন বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তার প্রভাব এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পড়েছে।”

আবার এবছর টেস্ট পরীক্ষা কড়াকড়ি হওয়ার কারণে অনেক পরীক্ষার্থী বাদ পড়েছেন বলেও জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

দ্য ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের শিক্ষক রোকসানা আক্তার বলেন, আমার স্কুলের কথা বললে অনেক শিক্ষার্থীই বাবা-মায়ের সাথে উন্নত বিশ্বে পাড়ির জমিয়ে চলে গেছে। এরকম আরও অনেকেই আছে যারা বাবা-মায়ের সাথে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। এটা ঝরে পড়ার একটা কারণ। তবে, আমাদের স্কুলে (দ্য ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুল) এবছর এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেনি। সারা জেলার চিত্রের কথা বললে করোনাটাই পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার বড় কারণ। 

আই নিউজ/এইচএ