সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার
আপডেট: ১১:১৯, ৩০ জুন ২০২৪
শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘুরছে বানর
শ্রীমঙ্গলে একটি দোকানের চালে খাবার হাতে নিয়ে বসে আছে বানর। ছবি- আই নিউজ
খাবার সংকটে মৌলভীবাজারে বেড়েছে বানরের উৎপাত। সুযোগ পেলেই বাসাবাড়িতে ঢুকে রান্না করা খাবার এবং কাঁচা সবজি ও ফলমূল নিয়ে যাচ্ছে। একসময় বনজঙ্গলের ফলফলাদি খেয়েই বেঁচে থাকত বানরগুলো। বর্তমানে বনজঙ্গল কেটে ফেলায় দেখা দিয়েছে বানরের খাবার সংকট। খাবার না পেয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় এ প্রাণীগুলো হুমকির মধ্যে পড়েছে। এদিকে বানর বন ছেড়ে লোকালয়ে আসার ঘটনায় পরিবেশকর্মীরা বনের খাদ্যসংকটকে দায়ী করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে খাবারের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করছে বানর। কখনো ফল গাছে, কখনো বা ঘরের চালে কিংবা বহুতল ভবনের ছাদে। সকাল থেকে বিকাল, এভাবেই দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বানর দল। প্রয়োজনীয় খাবার না পেয়ে বাসাবাড়িতেও হানা দিচ্ছে তারা। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে বানরের দলকে তাড়িয়ে দিলেও আবার চলে আসে। আবার কেউ কেউ ডেকে খাবারও দেন। অনেকের রান্নাঘরের সামনে, ছাদে, কার্নিশে খাদ্যের জন্য ওত পেতে থাকতে দেখা যায় বানরের দলকে।
স্থানীয়রা জানান, বনে খাদ্য সংকট, অন্যদিকে ঘনবসতির কারণে বানরের সংখ্যা কমে গেছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এ প্রাণীকে টিকিয়ে রাখার আহ্বান জানান এলাকাবাসী।
শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজকর্মী মামুন আহমেদ বলেন, ‘বানর সারাক্ষণ উৎপাত করে। প্রতিনিয়তই বাসাবাড়ি ও দোকানে খাবারের জন্য হানা দেয়। এ ছাড়া গাছের ফল, সবজি খেয়ে ফেলে এবং নষ্ট করে। তিনি বলেন, কখনো ৩-৪টা বানর আসে। আবার ভানুগাছ রোডে অনেকগুলো দল বেঁধে ঘুড়ে বেড়ায়। মানুষের ফেলা যাওয়া খাবারগুলো তারা খায়। তবে এদের বাঁচাতে হবে, খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’
শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ রোডের চা গবেষনা যাদুঘরের সামনে আনারসের ব্যবসা করেন ইকবাল মিয়া, তিনি বলেন, ‘আমি সারাদিন পর্যটকের কাছে আনারস বিক্রি করি। অনেক পর্যটক অর্ধেক খেয়ে বাকিটা ফেলে যায়। আমি আবার খুঁজে খুঁজে সব এক যায়গায় রাখি। হঠাৎ ১০-১৫ বানর ও ছোট ছোট বাচ্চারা এসে এগুলো লাফ দিয়ে নিয়ে যায়। দূরে দেখা যায় দেয়ালের উপড় বসে খাচ্ছে।’
কমলগঞ্জ জীব বৈচিত্র রক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ আজাদ মান্না বলেন, বনে বড় বড় গাছ নাই। বানর বড় গাছ খুজে সেখানে তারা আনন্দে ঘুড়ে লাফালাফি করে থাকে। বর্তমানে সেটা নাই বললেই চলে। তাছাড়া বড় সমস্যা হল খাবার সংকট। শুধু বানরের কাবার নয় সকল প্রকার প্রাণীর খাবার সংকট আছে লাউয়াছাড়া বনে। লোকালয়ে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীগুলো দেখা যায়। কেউ কেউ খবর দিলে বন বিভাগ ও স্থানীয়রা আটক করে বনে দিয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল বনপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ‘মাঝে মাঝে বানরগুলো দল ছুটে চলে আসে লোকালয়ে। স্থানীরা দেখার পর আমাদের খবর দিলে সেগুলো উদ্ধার করে নিয়ে আসি।পরে বনে অবমুক্ত করে দেই।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বানরের খাবার কম,তাই প্রাণীগুলো লোকালয়ে চলে যায়? এমন প্রশ্ন করলে ঐ কর্মকর্তা জানান, বানরের জন্য বনে পর্যাপ্ত খাবার আছে। কোনো সংকট নেই।’
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’