কমলগঞ্জে অবাধে চলছে মা/দ/ক ও জু/য়া/র রমরমা আসর

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ও জন প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে বেড়েই চলেছে রমরমা মা/দক ব্যবসা ও জু/য়ার আসর। মা/দক ব্যবসার সাথে জড়াচ্ছেন নারী-পুরুষসহ তরুণরাও। অর্থের লোভে কিশোর ও যুবকরা জড়িয়ে পড়ছে এসব ব্যবসায়। যুব সমাজ হচ্ছে বিপথগামী। ফলে পরিবার ও সমাজে বি/শৃঙ্খলা নেমে আসছে। 

উপজেলার পাড়া-মহল্লায় অনেকটা খোলামেলাভাবেই এখন মাদক বেচাকেনা ও জুয়ার আসর চলছে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করে ছিচকে মা/দক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ীদের আটক করলেও মূল মা/দক ব্যবসায়ী ও জুয়ার আয়োজকরা রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যার কারণে থামানো যাচ্ছেনা মা/দক ও জু/য়ার এই বৃদ্ধি। পুলিশি অভিযানে মা/দকসহ বিক্রেতা আটক হলেও আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার মা/দক ব্যবসা শুরু করে।

মাদকের সাথে জড়িত এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি কেনাবেচা হচ্ছে চা বাগানে দেশীয় প্রদ্ধতিতে তৈরী চোলাই মদ আর গাঁজা। এছাড়া উপজেলার ইসলামপুর ও চাতলাপুর সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা ফেনসেডিল, হুইসকি, অফিসার্স চয়েস, রাম, বিয়ার, ভটকাসহ ইয়াবাও চলছে দেদারছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, উপজেলার ২২টি চা বাগানে বৈধ মদের পাট্টা রয়েছে। এইসব পাট্টায় মা/দক সহজ লভ্য হওয়ার কারণে বাগানের শ্রমিকদের পাশাপাশি বস্তি এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা মা/দকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একশ্রেণীর সুযোগ সন্ধানীরা পাত্রখোলা, মাধবপুর, ফুলবাড়ী, আলীনগর, মদনমোহনপুর, চাতলাপুর, শমসেরনগর, দেওড়াছড়া ও কানিহাটি চা বাগানসমুহে নিজেদের বসত বাড়ীতেই গড়ে তুলেছেন চোলাই মদের কারখানা ও অবৈধ পাট্টা।

মাদক বেচাকেনাসহ ও জুয়ার আসর চলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাতকছড়া গ্রামের রেনুর দোকানের সামনের বাড়ীতে, মাধবপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান সড়কের পাশে অবস্থিত মসজিদের পাশে, এক মহিলার বাড়ীতে, পশ্চিম কুমড়া কাপন ও দক্ষিণ কুমড়া কাপনের দুটি বাড়িতে ইয়াবা ও ভারতীয় মা/দক বিক্রি করা হয়। 

এছাড়া ভ্রাম্যমানভাবে কমলগঞ্জ পৌরসভার কমলগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের সম্মুখে, নতুন ধলাই ব্রীজের পাশে, উপজেলা পরিষদ কিন্ডার গার্ডেনের সামনে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি হয়। কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রানীর বাজারস্থ ধলাই নদীর পাড় সংলগ্ন শ্মাশানে নিয়মিত সন্ধ্যার পর যুবকরা জড়ো হয়ে মা/দক সেবন করে। 

অপরদিকে শমসেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের একটি বাড়ীতে ও আলীনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ীর সম্মুখে একটি বাড়ীতে, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের লংগুরপাড় গ্রামে ধলাই নদীর পাড়েও নিয়মিত জুয়ার আসর বসে।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার বিভিন্ন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্নভাবে হু/মকি-ধা/মকিও দেওয়া হয়। তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই মা/দক ব্যবসা ও জু/য়া পরিচালনা করছি। এ বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে কোন লাভ হবে না। আশেপাশের প্রায় সব গ্রামে মা/দক বিক্রি হয়। আমাদের সন্তানদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, অবাধে মা/দক ও জু/য়ার আসর চলার কোন সুযোগ নেই। জু/য়া ও মা/দকের ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। জু/য়া ও মা/দক বন্ধে কমলগঞ্জে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

• কমলগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে ধ/র্ষ/ণের অভিযোগে মামলা, ২ জন আটক 

আই নিউজ/এইচএ