শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
শ্রীমঙ্গলের মুসলিমবাগ সড়কে খানাখন্দে ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

পুরো সড়কজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি- আই নিউজ
প্রায় এক কিলোমিটার সড়কটিতে খানাখন্দের কারণে আষ্টেপৃষ্টে যাতায়াত করছে প্রায় চারটি গ্রামের বাসিন্দারা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়নের মুসলিমবাগ এলাকার প্রধান সড়কটির বেহাল অবস্থার শিকার সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় আছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অগণিত মানুষের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে হওয়ায় পদেপদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পুরো সড়কজুড়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাতে স্থানীয়দের যাতায়াত করা দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত খানাখন্দের ফলে সড়কে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।
চার-বছরের অধিক সময় ধরে খানাখন্দ অবস্থায় ফেলে রাখা,সড়কটি যেন অভিভাবকহীন।
বর্ষাকালে পুরা সড়কটি কুয়ায় পরিণত হয়। এসময় বয়স্ক ব্যক্তি এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সড়কে যাতায়াত করা দুষ্কর হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টিএনটি অফিস থেকে গাংপার পর্যন্ত যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। যার ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তাছাড়া, বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে অভিভাবকদের বাড়তি ঝাঁমেলায় পড়তে হয়।
সড়কটি নিয়ে মো.টিটু মিয়া (৪০) বলেন, ২০১০ সালে সড়কটি প্রথমবারের মতো পিচ ঢালাই করা হয়। বিগত চার বছর ধরে সড়কটির ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় আছে। সড়কটি সংস্কারের উদ্যােগ গ্রহণে কর্তৃপক্ষের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমি দোকানে চাকরি করি,কর্মস্থলে পৌঁছতে সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করি। সড়কটি ভাঙ্গাচোরার কারণে রিকশা, টমটম প্রায় যেতে চায় না। বাড়তি মাশুল গুণতে হয় সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে চাইলে।
মো. শাহ আলম মিয়া (৪৫) বলেন, শহরে আমার চা-পানের দোকান রয়েছে। সড়কটি খানাখন্দের কারণে সময়মত যেতে পারিনা দোকানে। একটি দুর্ঘটনায় ডান পা ভেঙ্গে যায় যার ফলে লাঠিতে ভর করে চলাচল করতে হয় আমার। প্রায় টমটম, রিকশা চালকেরা বাড়তি ভাড়া দাবি করে বসে। তাই প্রায় সময় হেটে যেতে হয়।তাছাড়া গর্তে ঝাঁকুনি খেয়ে পায়ের ব্যথাও বেড়ে যায়।
টমটম চালক মো.আলম মিয়া (৪৮)বলেন, প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে পাঁচবার যাতায়াত করা যেতো,খানাখন্দ হওয়ায় দু'বার যাতায়াত করা দুষ্কর।সড়কের দুরবস্থার কারণে হালকা যানবাহন চলাচলে বেগ পোহাতে হয়।প্রাইভেটকার,সিএনজি, টমটম,রিকশার মতো হালকা যানবাহন উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়।প্রতিদিন সাতশো থেকে হাজার টাকা আয় হতো,সড়কটি ভাঙ্গাচোরার কারণে আমাদের তিনশো থেকে চারশো টাকা আয় কমে গেছে।ওঁর দাবি সড়কটি দ্রুত মেরামত করে যাতায়াতের উপযোগী করে তুলা।
মো. হান্নান মিয়া (৬৫) বলেন,সড়কটি সরু হওয়ায় দু'টি রিকশা অতিক্রম করাটা কষ্টের ব্যাপার।ওভারটেক করতে গেলে প্রায় সময় উল্টে যায় যাত্রীবাহী যান এতে অনেকেই হতাহত হয়।তিনি সড়কটি প্রশস্ত করে সংস্কারের জোর দাবি জানান।
৬নং আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন( জহর) জানান, দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম বাগ সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর। যার ফলে স্থানীয়রা সড়কে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।তিনি বলেন সড়কটি মেরামত করার দায়িত্ব এলজিইডির,সড়কটি যেনো দ্রুত সংস্কার কাজ করে,যাতায়াতের উপযোগী করে তুলে তাতে আমি সুপারিশ করেছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী মো.ইউসুফ হোসেন খান জানান, ৫ই আগষ্টের পূর্বে যেসকল প্রকল্প প্রস্তাবনা করা হয়েছে। সেসব প্রকল্পগুলো আটক হয়ে আছে।তাতে মুসলিম বাগ সড়কটির সংস্কার কাজের উল্লেখ রয়েছে। কবে নাগাদ সড়কটির কাজ ধরা হবে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনাই, তবে তিনি বলেন, প্রকল্পগুলো চালু হলে জানানো হবে।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’