Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ৯ ১৪৩২

সালাহউদ্দিন শুভ, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ১১:২০, ৮ অক্টোবর ২০২৪

কমলগঞ্জে শেষ মুহূর্তের পূজার কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা

কমলগঞ্জে বিপণী বিতানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি- আই নিউজ

কমলগঞ্জে বিপণী বিতানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি- আই নিউজ

আর একদিন পরেই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে নতুন কাপড়ের চাহিদা বরাবরই থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই পূজার কেনাকাটা শুরু করেছেন। ভিড় জমতে শুরু করেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মার্কেটগুলোতে।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে সুপার মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পৌর এলাকার আল-আমীন প্লাজা, আফরোজ উদ্দিন মার্কেট, আসিদ আলী মার্কেট সহ ১০নং রোডে বেশ কয়েকটি মার্কেটে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। সকাল পেরিয়ে দুপুর হতে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। থান কাপড়, রেডিমেড কাপড়, জুতোর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। পাশাপাশি টেইলার্সগুলোতে শ্রমিকদের যেন দম ফেলার ফুরসত নেই। ক্রেতাদের মধ্যে নারী, তরুণ-তরুণীরাই বেশি। অনেক শিশু আবার বাবা-মায়ের হাত ধরে কেনাকাটা করতে এসেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুরুষদের চাইতে মহিলা ক্রেতাই বেশি আসছে। বিক্রিও বেশ ভালোই হচ্ছে। আমাদের দোকানে সব ধরণের পোষাক পাওয়া যাচ্ছে। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসছে, শেষমূহুর্তে বিক্রি আরও বাড়বে বলে আশা তাদের।

পৌর শহরের ভানুগাছ বাজারে পূজার কেনাকাটা করতে আসা অনিতা রাণী সরকারের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘পূজার বাকি আর ২দিন তাই এখন থেকেই অল্প করে কেনাকাটা করতে এসেছি। আজ চন্দন কিনেছি, লেস কিনব আবার মালাও কিনব। তিলকচন্দন আর মালা মুকুট আছে, এসবই কেনা হবে। ছেলেমেয়েদের জন্যও কিছু কেনাকাটা করেছি। দামের দিক থেকে মোটামুটি কম দামেই জিনিসপত্র পেয়েছি এখানে।’

একই ভাবে শিক্ষক অশিষ কুমার জানান, ‘পোশাকের দাম কিছুটা বাড়তি। তবুও উৎসব উপলক্ষে কেনাকাটা তো করতেই হবে। তিনি বলেন, গতকাল মা-বাবার জন্য কেনাকাটা করেছি। আজ স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে এসেছি, স্ত্রীর জন্য একটি কাতান শাড়ি কিনেছি, ছেলের জন্য প্যান্ট-শার্ট ও আমার জন্য একটি পাঞ্জাবী কিনবো।’

কসমেটিকস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘কসমেটিকসের কেনাকাটা সারা বছরই চলে। এখনও চলছে। তবে পূজা ঘিরে চাহিদা বাড়ে, এটাই স্বাভাবিক। আলহামদুলিল্লাহ বিক্রি ভালই হচ্ছে।’

‘মা ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী সুখেন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘মানুষের সামগ্রিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে পূজার খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মানুষও পূজার ব্যয় কমিয়ে আনতে চেষ্টা করেছে। এবার অনেক মৃৎশিল্পীই শুধু মাটি আর রং ব্যবহার করে মা দুর্গাকে পূজার জন্য প্রস্তুত করেছে। এ কারণেই মা দুর্গাকে সাজানোর জন্য কাপড়সহ কিছু জিনিসের চাহিদা একটু কম।’

বাদ্যযন্ত্রের কারিগর নিমাই কুমার বলেন, ‘ঢাক-ঢোল নতুন বিক্রয় হওয়ার চেয়ে পুরাতনগুলো ঠিক করতে বেশি আসেন বাদকেরা। পূজা সামনে থাকায় কাজের চাপ অন্য মাসের চেয়ে বেড়েছে।’

ভানুগাছ পৌর বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ জানান, ‘ভানুগাছ বাজারে জমজমাট কেনাবেচা চলছে। শপিং মল, মার্কেটে অনেক বেশি ভিড় দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে অন্য বারের তুলনায় বেচা-বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ী এবং বাজারে আসা ক্রেতাদের কোন ধরণের সমস্যা হচ্ছে না। সিসি ক্যামরোর মাধ্যমে ভানুগাছ বাজার পৌরবণিক সমিতির সদস্যরা সব সময় পর্যবেক্ষণ করছে।’ 

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়