ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ২৭ জুন ২০২০
২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে এবার মৎস্য কর্মকর্তার মামলা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হবিগঞ্জে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। এর প্রতিবাদে শনিবার হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকরা বানিয়াচং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিহিত করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টায় টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন হবিগঞ্জের ব্যানারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশ নেয়।
উপস্থিত ছিলেন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার দুই শতাধিক সাংবাদিক।
এতে বক্তারা বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও সংবাদ প্রকাশের নীতিমালা মেনে মৎস্য কর্মকর্তা আলমের অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তারপরও হবিগঞ্জের দুই সংবাদিককে জড়িয়ে হয়রানির জন্য বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।
জানা গেছে, কয়েক মাস আগে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন মোহাম্মদ আলম। কিন্তু এখতিয়ারবহির্ভূত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত। সম্প্রতি তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজের ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বদরুল আলমসহ আরো কয়েকজনকে।
মানববন্ধনে জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, সাংবাদিকদের সবসময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাধা-বিপত্তি এলে সবাই মিলে মোকাবিলা করতে হবে।
একই সঙ্গে এই মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রত্যাহার না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে দৈনিক আমার হবিগঞ্জের সম্পাদক, প্রকাশক ও আমার এমপি ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা, সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুশান্ত দাশ গুপ্তকে পত্রিকার অফিস থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ থানা পুলিশ।
তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলার বাদী হন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আরটিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সায়েদুজ্জামান জাহির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০১৬ সালে স্থানীয় দৈনিক প্রভাকর সম্পাদক, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা তথ্যপ্রযুক্তির আইনে ৫৭ ধারায় চারটি মামলা করেন। তিন মাস কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে বের হন। বর্তমানে মামলাগুলো হাইকোর্টে স্থগিত রয়েছে।
আরও পড়ুন
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
সর্বশেষ
জনপ্রিয়