ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৩:২৭, ১ আগস্ট ২০২০
ফ্রি-তেও পশুর চামড়া নিচ্ছে না কেউ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কোরবানি পশুর চামড়া ফ্রিতেও নিচ্ছে না কেউ। এতে উপজেলার অনেক কোরাবানিদাতা পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখছেন। আবার যারা বিক্রি করছেন তারাও পানির দামে পশুর চামড়া বিক্রি করছেন।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির গরুর চামড়া কেনার জন্য এবার ব্যাপারীদের তেমন আগ্রহ নেই। আবার অল্প দামে কিছু ব্যবসায়ী চামড়া ক্রয় করছেন। এক্ষেত্রে একটি চামড়ার দাম সর্বচ্ছো ৫০-৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার বিকেলে ফ্রিতেও চামড়া নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে নষ্ট হচ্ছে এতিমদের হক। কারণ কোরবানির গরুর চামড়া পুরোটাই গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
এদিকে হবিগঞ্জে ‘জাতীয় সম্পদ চামড়া, রক্ষা করবো আমরা’ স্লোগানে চামড়া রক্ষায় জেলা প্রশাসনের মনিটরিং সেল আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৯ জুলাই বুধবার জেলা প্রশাসন কর্তৃক এ কমিটি গঠন করা হয়। তবে চামড়ার ক্রেতা না থাকলেও কমিটির কোন সদস্যকে কোথাও চামড়া সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার চানপুর গ্রামের ব্যাপারী নুর মিয়া জানান, করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ির ভাড়া বেশি। আবার চামড়া দেশের বাইরে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এজন্য এবার চামড়ার দাম কম। চামড়ার দাম কমের পিছনে কোন সিন্ডিকেট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নাচক করেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক ঝুঁকি নিয়ে এবার আমরা চামড়া কিনেছি। প্রতিটি চামড়া গড়ে ৮০ টাকা করে কিনলেও বিক্রি করতে পারবো কি-না সেই নিশ্চয়তা নেই।
অন্যদিকে গরুর চামড়া বিক্রেতা মো. মহিউদ্দিন সোহাগ জানান, তার চামড়া কেনার জন্য কেউ আসেনি। আবার সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় চামড়া কী করছেন তা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
আর সুরাবই গ্রামের শাহ আলম জানান, তিনি চামড়া মাটির নিচে পুঁতে ফেলছেন। কারণ কোরবানির চামড়া কিনতে এবার কেউ আসেনি। অথচ অন্যান্য-বছর এতিমখানা থেকেও চামড়া নেয়ার জন্য লোকজন আসতো। কিন্তু এবার কেউ আসেনি।
আবার নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন জানান, চামড়া যদি একেবারেই ইমপোর্ট না করা যেত, তাহলে চামড়া ব্যবসায়ীরা এত চামড়া কিনতো না। এর পিছনে কোন সক্রিয় সিন্ডিকেট জড়িত থাকতে পারে, ব্যবসায়ীরা ঢাকাতে চড়া দামেই বিক্রি করবে।তবে চামড়া রক্ষায় জেলা প্রশাসনের মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জহিরুল ইসলামের জানান, এ বছর করোনাভাইরাসের প্রভাবেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সহযোগিতা করার।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ফোন করলে আমরা চামড়ার হোল সেলারদের কাছে সাধারণ মানুষের কোরবানির গরুর চামড়া বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করছি।
তবে চামড়া সংরক্ষণ কমিটির এ সদস্য নিজেই সরকারিভাবে নির্ধারিত চামড়ার মূল্য জানেন না। তিনি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
অথচ এবার প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ঢাকায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
আরও পড়ুন
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’
সর্বশেষ
জনপ্রিয়