নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট: ১২:১৬, ১২ জুলাই ২০২১
নবীগঞ্জে ১১ দিনে ১১০ জনের নমুনা সংগ্রহ, ৪৫ জন করােনা আক্রান্ত
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় করােনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মারাত্বকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১১ দিনে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১১০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ৪৫ জনই করােনা শনাক্ত হয়েছেন। অথচ জুন মাসে ১১০ জনের নমুনা সংগ্রহ হলে শনাক্ত হয়েছিলেন ২৩ জন।
সরকারী হিসেবে এ উপজেলায় করােনায় মারা গেছে ২ জন। অপর দিকে বেসরকারী হিসেবে তার পরিমান হবে কয়েকগুন বেশী। এ পর্যন্ত হােম আইসােলেশনে রয়েছেন ৪৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭ জন। শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ২ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে সিলেট শামছুদ্দিন হাসপাতালে। করােনায় এ পর্যন্ত মােট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১ হাজার ৮ শত ৫৭ জনের। এরমধ্যে ২৮৮ জনের শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন এ পর্যন্ত ২৩১ জন।
তবে গত কয়ক দিনে দেখা যাচ্ছে মানুষের মাঝে পরীক্ষা করানাের প্রবনতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত ১১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৪৫ জনের দেহে করােনা পজেটিভ রিপাের্ট এসেছে। আক্রান্তের হার প্রায় ৪৬%। ইতোপূর্বে আক্রান্তদের মধ্যে রবিবারের (১১ জুলাই) রিপাের্ট অনুযায়ী ১ জনও সুস্থ হননি। আক্রান্তদের ৪৮ জনই রয়েছেন হােম আইসােলেশনে। ৮ জন ছিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করােনা ইউনিটে। এর মধ্যে শ্বাস কষ্ট বৃদ্ধি পাওয়ায় ২ জনকে সিলেট শামছুদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় মােট আক্রান্ত হয়েছে ২৮৮ জন, এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩১ জন। সরকারী তথ্য মতে করােনায় এ উপজেলায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পৌর এলাকার গয়াহরি গ্রামে ১ জন, করগাঁও ইউপির মুক্তাহার গ্রামে ১ জন। বেসরকারী হিসেবে কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আরএমও ডা. চম্পক কিশাের সাহা উপরােক্ত তথ্য জানিয়েছেন। বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ ও যুবক-যুবতী জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। অনেকে ভয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিচ্ছেন না। প্রাইভেট ডাক্তারের পরামর্শ নিলেও এরা লােকালয়ে বিচরণ করছেন। ফলে করােনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। হয়তাে দেখা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই বিশেষ করে শহরাঞ্চলের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে করােনা। সরকার দেশে করােনা পরিস্থিতি মােকাবেলায় কঠোর লকডাউন ঘােষণার পর প্রশাসন তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কেউই তার তােয়াক্কা করছেন না। করােনা যে হারে লাফিয়ে বাড়ছে, তেমনিভাবে শহরে বাড়ছে মানুষের আনাগােনা এবং সিএনজি, রিক্সা, মিশুক ও টমটম গাড়ীর চলাচল। এদিকে কঠোর লকডাউনের মাঝে শহর, হাট ও বাজারে বাড়ছে মানুষের ভীড়, বৃদ্ধি পাচ্ছে রিক্সা, টমটম, মিশুক ও সিএনজি গাড়ী।
এদিকে কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শহরতলীর ছালামতপুরস্থ পৌর পশুর হাট এবং উপজেলার গজনাইপুর ইউপির জনতার বাজার পশুর হাটে সহস্রাধিক মানুষের উপচে পড়া ভীড় জমে। এতে করােনা সংক্রামনের আশংকা বিশেষজ্ঞদের। সার্বিক দিক পর্যালােচনায় দেখা যাচ্ছে উপজেলার সর্বত্র করােনার ঝুঁকি বেড়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১৫/২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৫/৭ জনের পজেটিভ রিপাের্ট আসছে। এক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারন মানুষকেও সতর্ক ও সাবধানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অন্যথায় করােনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। সরকারের ঘােষিত লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার দাবী জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞজন।
আইনিউজ/অঞ্জন রায়/এসডি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’