নিজস্ব প্রতিনিধি
আপডেট: ১৮:৩১, ১২ জুলাই ২০২১
চুনারুঘাটে আদিবাসীদের সহযোগিতায় বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গার দুর্গম গহীন অরণ্যে বসবাসরত হরিনমারা ও গরমছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় করোনায় অসহায় হয়ে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত, দরিদ্র ৬০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছে বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদ।
রবিবার (১১ জুলাই) বিকেলে রেমা-কালেঙ্গা অভায়রণ্যের হরিনমারা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুমন দেববর্মার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত খাদ্য সহায়তা বিতরণ সভায় বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের মহাসচিব ফিলা পতমী, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য স্বপন সাওতাল, সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্তরন্জন দেববর্মা, শ্রীমঙ্গল উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি ডমিনিক সরকার রনি, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, এটিএন বাংলার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুল হালিম, কালেরকন্ঠের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রীমঙ্গল ইত্তেফাক প্রতিনিধি অনুজ কান্তি দাশ,প্রফুল্ল দেববর্মা, সিতুষ দেববর্মা প্রমুখ।
এ সময় রেমা-কালেঙ্গার হরিমারা ও গরমছড়ি পাহাড়ি এলকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬০টি আদিবাসী পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা হিসেবে চাল, ডাল, আলু, লবন, তেল, পেঁয়াজ বিতরণ করা হয়।
খাদ্য সহায়তা বিতরণী অনুষ্ঠানে আদিবাসী নেতৃবৃন্দরা বলেন, দুর্গম পাহাড়ি সীমান্ত এলাকায় শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানাভাবে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী ত্রিপুরা পরিবার গুলোকে বাঁচাতে হলে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। নেতারা অবহেলিত ও পাহাড়ি এলাকার এসব আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও খাদ্য সংকট নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানান। তারা বলেন,পাহাড়ি আদিবাসী এসব মানুষ চিরকালই অবহেলিত। কিন্তু বর্তমান সরকার তাদের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাদের ঘরবাড়ি উন্নয়ন, শিক্ষা, যোগাযাগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আমরা দাবী করছি এসব উন্নয়নের সুফল যেন এই পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীরা পায়।
হরিনমারা ত্রিপুরা পাড়ার সভাপতি অনুজ দেববর্মা জানান, আমরা ৮টি পাড়ার ২৫০টি পরিবার নানা সমস্যায় আছি। আমাদের এখানে বিদ্যুৎ নেই, অথচ বনবিভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। তারা বনে বিদ্যুৎ লাইন নেওয়া যাবে না বলে আমাদের বঞ্চিত করছেন। আমাদের শিক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্য ও রাস্তাঘাটের কোন উন্নয়ন নেই। আমাদের কেউ অসুস্থ হলে চুনারুঘাট নিতে পারিনা। রাস্তায়ই তারা মারা যায়। তিনি এসব ত্রিপুরা আদিবাসী পরিবারে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাস্তাঘাট যোগাযাগ উন্নয়নের বিষয়ে প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি জানান।
আইনিউজ/সাজু মারছিয়াং/এসডি
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’