Bilas Moulvibazar, Bilas

ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ এপ্রিল ২০২৫,   বৈশাখ ২ ১৪৩২

অঞ্জন রায়

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৩ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডের আগুনে তছনছ প্রবাসী উত্তমের সংসার, বাহুবলে শেষকৃত্য

উত্তম রায়ের স্ত্রী রুবি রায় ও আদরের কন্যা ভ্রিয়াংকা রায়কে বানেশ্বরপুর গ্রামে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।

উত্তম রায়ের স্ত্রী রুবি রায় ও আদরের কন্যা ভ্রিয়াংকা রায়কে বানেশ্বরপুর গ্রামে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বানেশ্বরপুর গ্রামের প্রকৌশলী উত্তম কুমার রায়। পোল্যান্ড থেকে ফিরেছেন শনিবার সকালে। তবে, তাঁর এবারের ফেরা আগেরবারের মতো নয়। কেননা, সদ্য ঘটনা বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে মা রা গেছেন তাঁর স্ত্রী, কন্যা। তাঁদের শেষকৃত্যে অংশ নিতে এসেছেন এই প্রবাসী। বেইলি রোডের আগুন যার সংসার তছনছ করে দিয়েছে মুহূর্তে। 

শনিবার (০২ মার্চ) বিকেল ৪ টায় ঢাকার বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে নি হ ত উত্তম রায়ের স্ত্রী রুবি রায় ও আদরের কন্যা ভ্রিয়াংকা রায়কে বানেশ্বরপুর গ্রামে শ্মশানে দাহ করা হয়েছে।

ভোর রাতে পোল্যান্ড থেকে ফিরে এসে শনিবার সকাল ১০ টায় উত্তম কুমার রায় স্ত্রী কন্যার মরদেহ ঢাকার হিমঘর থেকে গ্রহণ করে বেলা ৩ টার দিকে স্ত্রী কণ্যার লাশ বানেশ্বরপুর গ্রামে পৌছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যর অবতারনা হয়। তাদেরকে এক নজর দেখতে প্রতিবেশি গ্রামের শত শত মানুষ জড়ো হয়। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, উত্তম কুমার রায়ের পরিবার মাধবপুরে একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবার। ঢাকার বেইলি রোডে মা মেয়ের এমন করুণ মৃত্যু আজীবন তাদের এই কষ্ট বয়ে বেড়াতে হবে। মা ও মেয়ে হারানোর মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিয়তি কত যে নিষ্ঠুর। কপালের লিখন না যায় খন্ডন। নিজ হাতে চিতায় আগুন দিতে হয়েছে  প্রিয়তমা স্ত্রী আদরের সন্তানকে। কে জানত এমন দৃশ্য দেখতে হবে হতভাগা স্বামী ও পিতাকে। এ যেন নিয়তির লেখা। প্রিয়জন হারানোর এমন দৃশ্য দেখে শোকে পাথর হয়ে গেছেন উত্তম কুমার রায়। শুধু দুচোখ দিয়ে নিয়তির লেখা দেখছেন। বাকরুদ্ব হয়ে পড়েছেন। সোনার সাজানো গোছানো বেইলি রোডের আগুন পুড়ে তছনছ হয়ে গেছে।

এসময় তাদের শেষ বারের মতো দেখতে সাবেক সচিব অশোক মাধব রায়, চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, সাবেক চেয়ারম্যান আপন মিয়া সহ আত্নীয় স্বজন ও এলাকার বিপুলসংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিয়াংকা রায় ও তার মা বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজের কাচ্চি ভাই রেস্তোরায় খাবার আনতে গিয়ে অগ্নিকান্ডের শিকার হয়ে নিহত হন। 

১৯৯৬ সালে ভিয়াংকা রায় এর পিতা উত্তম কুমার রায় দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই কোম্পানিতে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় সেখানে ফিলিপাইনের নাগরিক রুবি রায়কে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সে ওই কোম্পানির কাজের জন্য পোলেন্ড যান। এসময় তিনি স্ত্রী কন্যাকে দেশে রেখে যান। তারা ঢাকার মালিবাগে থাকতেন।

আই নিউজ/এইচএ 

Green Tea
সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়