নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট: ১২:৩৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রদের মুখোমুখি অধ্যক্ষ
কলেজে ছাত্রদের মুখোমুখি অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান। ছবি- আই নিউজ
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে এবার ছাত্রদের মুখোমুখি হয়েছেন অধ্যক্ষ ফজলুর রহমান।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ঈমনের তত্ত্বাবধানে কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ হল রুমে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নানা অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি তিনি করেছেন মিথ্যাচারও।
কলেজে ভর্তি, মাসিক বেতন, শিক্ষা সফর, অর্থ তহবিল, ব্যাংকিং ব্যবস্থা, শিক্ষকদের ক্লাস ফাকি দেয়া, বিভিন্ন কমিটির আর্থিক অনিয়ম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মনসুর, সাধারণ সম্পদক আবু মেহের পনির এর দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ, কলেজের পুকুর থেকে অবৈধ ভাবে মাছ লুটসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন সাধারন শিক্ষার্থীরা।
ইংরেজি বিভাগের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ তালহা ব্যাংকিং মাধ্যমে নেয়া টাকা আত্নসাৎের বিষয় তুলে ধরে এর প্রমাণ হিসেবে একজন শিক্ষক ও অধ্যক্ষর বক্তব্য পেশ করেন যা পরবর্তীতে অধ্যক্ষ মেনে নেন। নিজেদের দায়মুক্তি দিতে সেই শিক্ষক ও অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন ‘ব্যাংক কর্মকর্তারা (অগ্রণী ব্যাংক) অর্থ দুর্নীতির সাথে জড়িত। তাদের মাধ্যমেই নাকি ব্যাংকের রিসিট জালিয়াতি করা হতো এবং সেজন্যেই কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাংক স্টেইটমেন্ট নাই।
নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রুমান আহমেদ তালুকদার ফরম ফিলাপের টাকা আত্নসাৎের বিষয় তুলে ধরে বলেন, অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের কাছে উনার অধীনস্থ শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করেছেন। যারা সরাসরি দুর্নীতির সাথে জড়িত। শিক্ষকরা ফরম ফিলাপের টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে কলেজের কম্পিউটারে এন্ট্রি দিয়ে দিতেন। অধ্যক্ষ সহ কিছু শিক্ষকরা কলেজের বাইরের এক দোকানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে টাকা আদায় করতেন। অধ্যক্ষ কলেজের ফরম সহ যেকোনো কাগজ শিক্ষার্থীদের বাধ্য করতেন সেই দোকান থেকে কিনে নিতে এবং সেই দোকানিকে বলে দিতেন টাকার পরিমাণ কত রাখবে তারা। সে দোকান থেকে কমিশন পেতেন তারা। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন দোকানের মালিক।
কলেজের পেমেন্ট সিস্টেমও অধ্যক্ষ কলেজের বাইরের সেই নির্দিষ্ট দোকানের মাধ্যমে করতে বাধ্য করতেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮০-১০০ টাকা আদায় করে নিতো সেই দোকান এবং এতেও কমিশন পেতেন শিক্ষকরা।
এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন সদোত্তর দিতে পারেন নি অধ্যক্ষ। তবে আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষা সফরে যাওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। অনিয়ম, দুর্নীতির বিষয়ে কোনো সমাধান হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আই নিউজ/এইচএ
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’