দীপংকর মোহান্ত
আপডেট: ১৪:০৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে মৌলভীবাজার জেলার ঐতিহ্য, উন্নয়ন ও সম্ভাবনা
রপ্তানিমুখী ভারী শিল্প না থাকলেও আছে বড়লেখার আতর ও জেলাজুড়ে পর্যটনশিল্প
মৌলভীবাজার জেলার গ্রামাঞ্চলে শ্রমিক-লোকের অভাবে রবি-শষ্যের উর্বর জায়গা পতিতের মতো পড়ে থাকতে দেখা যায়। আবার ধানী জমিতে নির্বিচারে বসতি ঘর উঠছে। জেলা শহর কিংবা সিলেটের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় বিদেশ নির্ভর পরিবার এবং চাকরিজীবীরা দ্রুত গ্রাম ছাড়ছে। তবুও মৌলভীবাজারে সরকারি-বেসরকারি বহুমুখি পদক্ষেপের ফলে জেলায় নতুন নতুন অর্থনীতির ক্ষেত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। অল্পশিক্ষিদের জন্য নতুন করে আয়ের পথ খুলেছে বিদ্যুৎ, কম্পিউটার, মোবাইল, মোটর সাইকেল, ফ্রিজ ইত্যাদি মেরামত করার আর্থিক বাজার। এই বিকাশমান শিল্পে যথাযথ ও পরিকল্পিত উন্নয়ন হলে স্থানীয় জীবনমান যেমন সমৃদ্ধ হবে, তেমনি দেশের আর্থিক খাতের বিস্তৃতি ঘটবে। তবে মৌলভীবাজার ভারী শিল্প কিংবা রপ্তানিমুখি শিল্পের বড়ই অভাব।
কিছু কিছু শিল্প উন্মেষ ঘটার পরিবশে থাকলেও বা কাজ শুরু হলেও এগুলোর তথ্য খুব কম পাওয়া যায়। নিম্নে প্রধান-প্রধান কিছু শিল্প কিছু খাতের ধারণা দেওয়া হলো। যেগুলো এখন জেলার আয়ের পথ [প্রবাসী আয়ের যথার্থ পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি]।
পর্যটন শিল্প
বর্তমানে মৌলভীবাজার জেলায় নবাগত পর্যটন শিল্প অনেক গতিশীল। এই খাতের আয় থেকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অসংখ্য পরিবার উপকৃত হচ্ছে। অর্থৎ প্রান্তিক পরিবার থেকে উচ্চবিত্তের ঘর পর্যন্ত অর্জিত অর্থের প্রবাহ গড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ ২০/২৫ বছর আগেও আজকের পর্যটনের স্থানগুলো ছিল বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রদের কাছে ‘বন-ভোজনে’র আকর্ষণীয় জায়গা। কিন্তু বাজার অর্থনীতি সমৃদ্ধির কারণে এখন বহু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠেছে- যা শিল্পের রূপ নিয়েছে। এই খাতে নগদ আয়ের পাশাপাশি বহু কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য জেলার সাথে রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ থাকায় শ্রীমঙ্গল কেন্দ্রীক পর্যটন শিল্প অনেক চাঙা হয়েছে। এই জেলার পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চলে পর্যটন শিল্পে।
বছরে প্রায় ০৭ থেকে ০৮ লক্ষ লোক মৌলভীবাজারের নানা পর্যটন স্থানে ভ্রমণ করেন বলে অনুমান করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আসে শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। বছরে গড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ পর্যটক। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে ছোট বড় কর্মসংস্থানের পথ। পাল্টে গেছে শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সদরের পুরাতন ব্যবসা ও জন-মানসের ধারণা। খাওয়ার হোটেল ব্যবসা অনেক চাঙা ও নান্দনিক হয়েছে। শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজরে অধুনাকালের তিন তারকা ও উন্নতমানের দামী হোটেল চালু হয়েছে। বিশেষত গ্রান্ড সুলতান [শ্রীমঙ্গল], দোসাই [মৌলভীবাজার সদর] ও রাঙ্গাউটি [মৌলভীবাজার সদর] প্রভৃতি ছাড়াও রয়েছে মাঝারি আবাসিক হোটেল, বাগান বাড়ি, রিসোর্ট ও কটেজ, ইকো-কটেজ, প্রাইভেট বাসা ইত্যাদি।
সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় প্রায় ৫০-৮০টি বিভিন্ন ধরণের রিসোর্ট সেন্টার [ছোট-বড়] গড়ে ওঠেছে। সারা জেলায় ১০০টির উপরে এগুলো রয়েছে। পর্যটন মৌসুমে সরকারি বিভিন্ন বিভাগের গেস্ট হাউসও অতিথিদের আগমনে ভরে ওঠে। তাছাড়া শহরের মধ্যে কিছু বাসা-বাড়ির একাংশ পর্যটকদের জন্য ভাড়া দেওয়া রেওয়াজ চালু হয়েছে। যেখানে পারিবারিক পরিবেশে সময় কাটাতে অসুবিধা হয় না। এই বাসা-বাড়িতে নিজেরা রান্না করে খাওয়া যায়; আবার পরিবারের সাথে খাওয়ার সুযোগ থাকে। নব্য ব্যবসাটি অনেক পরিবারের আয় বাড়াচ্ছে।
বেশিরভাগ কটেজ ও রিসোর্ট গড়ে ওঠেছে পাহাড়-টিলা, পাহাড়ি ছড়া ও লেকের পাশে। এরূপ কটেজ-রিসোর্ট থেকে রাত্রি বেলা প্রকৃতিকে উপভোগের সুযোগ থাকে। নিম্ন মধ্যবিত্তের ফ্যামিলি স্যুটের হোটেলও কম নয়। পর্যটনকেন্দ্রীক হোটেলগুলোতে প্রায় ১২-১৫ হাজারের মতো সাধারণ লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে ছোট ছোট অনেক স্থায়ী ও অস্থায়ী মুখরোচক খাবারের দোকান, চা-পানের টং- দোকান ও বিপনি-বিতান তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা যায় কেবল শ্রীমঙ্গলে প্রায় নিবন্ধিত ২,০০০ দোকান রয়েছে। তারাও পর্যটকদের নানা ফরমায়েশের যোগান দাতা। প্রায় শতাধিক ব্যক্তি এখন ট্যুর গাইডকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। পর্যটনকে কেন্দ্র করে মণিপুরি হস্ত শিল্পের দোকান হয়েছে। তাছাড়া শ্রীমঙ্গলে প্রায় ২০০ টি চা-পাতা বিক্রির দোকান চলে। যাদের অধিকাংশ ক্রেতা হলো পর্যটক।
লেবু, আনারস ও চা-পাতা সংগ্রহ পর্যটকদের শখের বিষয়। প্রায় দেড় শত জিপ গাড়ি ট্যুরিস্টদের নিয়ে হাঁকিয়ে ছুটে চলে। রয়েছে অন্যান্য পর্যটন গাড়ির ব্যবসা। নিম্ন আয়ের লোকজন ট্যুরে এসে সিএনজি পর্যন্ত ব্যবহার করছেন। পর্যটন মৌসুমে শ্রীমঙ্গল পর্যটন এলাকায় শতাধিক চটপটিওয়ালা, ঝালমুড়ি বিক্রেতা এবং পান-সিগারেটওয়ালার দেখা মিলে। তারা দৈনিক গড়ে ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকার বিক্রি দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। ফলে মৌলভীবাজার জেলায় পর্যটন ভিত্তিক অর্থনীতির বিশাল বাজার বহুমুখিকরণের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলায় শিশুদের বিনোদনের জন্য ০৫-০৮টি বেসরকারি উদ্যোগে পার্ক গড়ে ওঠেছে। শ্রীমঙ্গলে একটি ব্যক্তিগত চিড়িয়াখানায় দিনদিন পর্যটকদের ভিড় জমে ওঠছে। এগুলোতে আয়ের পথ রয়েছে। কয়েকটি ইকো-পার্কও পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া পাহাড় ও তার জীব বৈচিত্র্য পর্যটকদের মূল আকর্ষণের বিষয়। এছাড়া শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ টি রিচার্স ইনস্টিটিউট, রাজঘাট চা-বাগান, হাইল-হাওর ইত্যাদি দৃষ্টিনন্দন এলাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ বেশি।
শ্রীমঙ্গলের পর সবচেয়ে বড় পর্যটন এলাকা হচ্ছে প্রচীন পাথারিয়া পাহাড়ের অংশ বিশেষ মাধবকুণ্ডের জলপ্রপাত/ঝর্ণা। জলপ্রপাতর পাশেই রয়েছে নৃগোষ্ঠী খাসি বা খাসিয়াদের বসতি। খাসিয়া বসতি থাকায় এলাকটি প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য বহন করছে। মাধবকুণ্ডের ২০০ ফুট উপর থেকে অভিরাম ঝর্ণাধারা একটা মোহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই জায়গার আশপাশের দুর্গম পাহাড়ে বর্ষাকালে জেগে ওঠে পরিকুণ্ড, রামাকুণ্ড, রজনীকুণ্ড নামে আরো কিছু জলপ্রপাত। সুদূর অতীতে সারা বছর সেখানে পানির ধারা ছিল। আবহাওয়ার কারণে পানির প্রবাহ কমেছে। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেকটা অটুট রয়েছে। মাধব কুণ্ড ইকোপার্কও আকর্ষণীয়। এছাড়া বড়লেখায় আগর শিল্প ও হাকালুকি হাওরও নন্দিত স্থান। বছরে কয়েক লাখ পর্যটক বড়লেখায় ছুটে যায়।
এছাড়াও কমলগঞ্জের মাধবপুর লেইক, বিমানবন্দর এলাকা, গলফ মাঠ, ডেফলছড়া লেইক, বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের সমাধিস্থল, রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় এখন পর্যটকদের ভিড় জমে ওঠে। কমলগঞ্জের সীমান্তবর্তী গভীর জঙ্গলে ‘হামহাম জলপ্রপাত/ঝর্ণা’ দেখতে অসংখ্য পর্যটক ছুটে যায়। কুলাউড়ার গগন টিলা ও সুউচ্চ কালা পাহাড় ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য উপযুক্ত স্থান। ঘোর বর্ষায় রাজনগর উপজেলায় অন্তেহরি হাওরে করচ গাছের নরম ঢগা পর্যটকদের ডাক দেয়। কাউয়া দিঘিহাওরটি দেখার মতো। বর্ষাকালে এ হাওরে পর্যটকদের আনাগুনা লক্ষণীয়। মৌলভীবাজারের জেলা শহরটি পাহাড়ের খুব কাছে ও মনুনদীর তীরে গড়ে ওঠে। শহরটির মায়ারি চোখ আছে। তার প্রাঙ্গণ অনেকটা পরিষ্কার। ফলে শহরটি পর্যটককে কাছে টানতে পারে। কিন্তু তার উদরের মধ্যে থাকা নৈসর্গিক ‘বেরি লেইক’টি আজ সচেতনভাবে অকার্যকর করা হচ্ছে। অন্যদিকে শহরের ফুসফুস খ্যাত সরকারি হাইস্কুলের মাঠের নান্দনিক অঙ্গহানি হচ্ছে পরিকল্পনা, দূরদৃষ্টি ও বোধের অভাবে। বিশাল বিল্ডিং গ্রাস করছে মাঠের সৌন্দর্য। এই স্থাপনা অন্য জায়গায় করলে ক্ষতি ছিল না। এব্যাপারটি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন শোভন দৃষ্টিতে দেখতে পারতেন। শহরের চোখ কানা হলে পর্যটকের চোখ জোড়াবে না।
পর্যটন শিল্প জেলায় এমন অগ্রসর হয়েছে যে, বর্তমানে স্থানীয় অধিবাসীগণ বিনোদনের জন্য আশপাশের এলাকার দৃষ্টিনন্দন স্থান দেখতে ছুটে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে এই উদীয়মান শিল্পকে গতিশীল করা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
আতর ও আগর শিল্প
বৈদেশিক অর্থকরী অরেকটি প্রচীন শিল্প হলো অতর ও আগর শিল্প। প্রায় দুই শতাব্দীকাল ধরে নীরবে সনাতনী প্রক্রিয়ায় এই শিল্প চলে আসছে। সুদীর্ঘকাল শিল্পটি অবহেলিত ছিল। ২০১৩ সালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আগর-আতরকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৪ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় আগরকে শিল্প হিসেবে অনুমোদন দেয়।
প্রাকৃতিক মিষ্ট গন্ধযুক্ত আতরের ঘ্রাণে প্রাণ জুড়ায়ে যায়। এই শিল্পের চাহিদা মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে আতর ও আগরের বিশাল বাজার রয়েছে। আগর কাঠও অনেক দামী। বিদেশে আগরকাঠের চাহিদা অনেক। মধ্যপ্রাচ্যের লোকজন নিজেদের বাসায় আগরের কাঠ পুড়িয়ে গন্ধ নেয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বড়লেখা থেকে সৌদি আবর, কুয়েত, কাতার, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, ইয়েমেন, ওমান প্রভৃতি দেশে আতর ও আগর রপ্তানি হয়। বর্তমানে ইউরোপেও আগর যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা কিছু জায়গার মাটি আগর বৃক্ষের জন্য উপযোগী বলে মনে করা হয়। ফলে বড়লেখাকে ঘিরে আগর ও আতর শিল্প গড়ে ওঠেছে। বড়লেখার সুজানগর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ টি আতর তৈরির দেশীয় প্রযুক্তির পুরাতনধাচের কারখানা রয়েছে। এই শিল্পে প্রায় পঞ্চাশ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। সাধারণত একটি আগর গাছ পরিপক্ক হতে প্রায় ১৩/১৫ বছর সময় নেয়। বয়স্ক গাছে আতর বেশি হয়। পরিণত আগর গাছ টুকরো-টুকরো করে কেটে বিশেষ পাত্রে [ডেগ] প্রায় মাস দিন জ্বাল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। নানাধাপ শেষে আতর পাওয়া যায়।
২০১৯ সালে প্রায় ৭ হাজার লিটার আতর বিদেশে যায়। প্রতি লিটারের দাম ৬ লক্ষ টাকার অধিক। দৃশ্যত আয় হয়েছিল প্রায় ৪ শত কোটি টাকার বেশি। আতর পরিবহনে নানা আইনি জটিলতা থাকায় অনেকে বিদেশে যাওয়ার পথে সঙ্গে করে নিয়ে যায়। ফলে আতরের প্রকৃত পরিমান ও বাজার মূল্য হিসেবে আসে না। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায় যে, বছরে প্রায় ৭০০-৮০০ কোটি টাকার আতর বিদেশে রপ্তানি হয়। ২০১৯ সালে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার কেজি আগর কাঠ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। সেই কাঠের মূল্য প্রায় তিনশত কোটি টাকার কাছাকাছি। বাংলাদেশ আগর এন্ড আতর ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায় যে, এই শিল্পে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিকল্পনা থাকলে গার্মেন্টস শিল্পের মতো বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। বিপণনেও আইনি জটিলতা কমনো দরকার বলে তারা মনে করেন। এখন প্রয়োজন আগর গাছের উৎপাদন বাড়ানো ও প্রক্রিজাতকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।
বর্তমানে কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় আতর উৎপাদনের কাজে শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারের ভূমি আগর চাষের পক্ষে সহায়ক বলে আগরচাষীদের ধারণা। বহির্বিশ্বের বিশাল বাজার ধরতে গেলে আগর ও আতর উৎপাদন বৃদ্ধি ও রপ্তানিকে আরো বেগবান করা দরকার।
চলবে...
আগের পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
দীপংকর মোহান্ত, লেখক ও গবেষক।
- আইনিউজে এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। এতে উঠে আসবে মৌলভীবাজারের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিসহ আড়ালে পড়ে যাওয়া বিভিন্ন তথ্য। প্রতি সপ্তাহে এই লেখাটির এক পর্ব আইনিউজে প্রকাশ করা হবে। কালের প্রবাহে চাপা পড়ে যাওয়া এই স্বয়ংসম্পূর্ণ তথ্য জানতে থাকুন আইনিউজের সঙ্গেই।
- মেয়ের বাড়িতে ইফতার: সিলেটি প্রথার বিলুপ্তি চায় নতুন প্রজন্ম
- অবশেষে ক্লাস করার অনুমতি পেল শ্রীমঙ্গলের শিশু শিক্ষার্থী নাঈম
- দেশের চতুর্থ ধনী বিভাগ সিলেট
- শ্রীমঙ্গল টু কাতারে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি নেটওয়ার্ক
মৌলভীবাজারে অনলাইন জুয়ায় রাতারাতি কোটিপতি সাগর - এসএসসির ফলাফলে বিভাগে ৩য় স্থানে মৌলভীবাজার
- বিজ্ঞাপন
মৌলভীবাজারে হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসায় লাইফ লাইন হাসপাতাল (ভিডিও) - মৌলভীবাজারে ট্যুরিস্ট বাসের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
- ১ ঘন্টার জন্য মৌলভীবাজারে শিশু কর্মকর্তা হলেন তুলনা ধর তুষ্টি
- মৌলভীবাজার শহরে একদিনে ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত
- বন্ধ থাকবে মৌলভীবাজারের ‘এমবি’